Home ইসলাম মসজিদে উঁচু গলায় কথা বলা নিষিদ্ধ

মসজিদে উঁচু গলায় কথা বলা নিষিদ্ধ

।। আহমাদ রাইদ ।।

মসজিদে সব সময় মুসল্লিরা চুপচাপ আল্লাহর ইবাদত করবে। কখনো অনর্থক কথাবার্তায় লিপ্ত হবে না। মসজিদ সালাতের স্থান। এখানে কণ্ঠ উঁচু করে কথা বলা চলে না।

এতে মসজিদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। বিশেষ করে জামাত শুরুর আগে যে মসজিদ বাজারে পরিণত হয়, তা থেকে রাসুল (সা.) কঠোর ভাষায় নিষেধ করেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ১০০২)

জনৈক ব্যক্তি জোরে কথা বললে রাসুল (সা.) রেগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাকে এসে ধমক দেন। (বুখারি, হাদিস : ৪৭১)

আরও পড়তে পারেন-

ওমর (রা.) মসজিদে আওয়াজ করার দরুন দুই ব্যক্তিকে শাসিয়ে দেন, ‘তোমরা যদি এই মদিনা শহরের বাসিন্দা হতে, তাহলে মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলার কারণে আমি দুজনকেই কঠোর শাস্তি দিতাম। ’ (বুখারি, হাদিস : ৪৭০)

বিশেষ করে জুমার দিন মসজিদে কোনো আওয়াজ করবে না। এমনকি কেউ কথা বললেও বলা যাবে না যে তুমি চুপ কর বা চুপ থাকো। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লিকে চুপ থাক বলবে, অথচ ইমাম খুতবা দিচ্ছেন, তাহলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৯৩৪; মুসলিম, হাদিস : ৮৫১)

আলেমরা বলেন, মসজিদে দুনিয়াবি কথাবার্তা ও কাজ-কর্মের স্থান বানানো অথবা এ উদ্দেশ্যে মসজিদে একত্র হওয়া হারাম। তবে কোনো দ্বিনি কাজের উদ্দেশ্যে বা ওজরবশত মসজিদে যাওয়ার পর প্রসঙ্গক্রমে দুনিয়াবি কোনো বৈধ কথাবার্তা বলা জায়েজ।

এর বৈধতা রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবিদের আমল দ্বারা প্রমাণিত। তবে কারো ইবাদতের সময় ছাড়া সাধারণ অবস্থায় কারো ইবাদত পালনে ক্ষতি না করে প্রয়োজনে মুসল্লিরাও মসজিদে কথা বলতে পারবে। জাবের বিন সামুরা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) যে স্থানে সালাত আদায় করতেন সূর্য পূর্ণভাবে উদয় না হওয়া পর্যন্ত ওই স্থান থেকে উঠতেন না।

সূর্য উদয় হলে উঠে দাঁড়াতেন। আর ইত্যবসরে কথাবার্তা বলতেন এবং জাহেলি যুগের কাজ-কারবারের আলোচনা করে সাহাবারা হাসতেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)ও মুচকি হাসতেন। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৯৪)

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।