Home ইসলাম আজানের জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে যা করণীয়

আজানের জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে যা করণীয়

।। মুফতি আবদুল্লাহ নুর ।।

শহরাঞ্চলে এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদের দূরত্ব কম হয়। ফলে একই বাসা থেকে একাধিক মসজিদের আজান শোনা যায়। প্রশ্ন হলো, যে ব্যক্তি একাধিক মসজিদের আজান শোনেন তিনি কিভাবে আজানের উত্তর দেবেন? ব্যক্তি যেকোনো একটি মসজিদের আজানের উত্তর দেবে, নাকি সে সবগুলো মসজিদের আজানের উত্তর দেবে?

ইসলামী আইনজ্ঞ আলেমরা বলেন, আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কেউ কেউ এটাকে ওয়াজিবও বলেছেন।

কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দেশসূচক বাক্য ব্যবহার করে বলেছেন, যখন তোমরা আজান শুনতে পাও, তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তা বোলো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১১)

যদি কেউ একাধিক মসজিদের আজান শোনে যার একটি শেষ হওয়ার পর আরেকটি শুরু হয়, তবে সে প্রথম মসজিদের আজানের উত্তর দিলে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর যদি সব মসজিদের আজান একই সঙ্গে শুরু হয়, তবে সে নিকটবর্তী মসজিদ বা নিজ মহল্লার মসজিদের আজানের উত্তর দিলে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তবে উভয় অবস্থায় একাধিক মসজিদের আজানের উত্তর দেওয়ার অবকাশ আছে।

আরও পড়তে পারেন-

ব্যক্তি যতবার আজানের উত্তর দেবে, ততবারই সওয়াব লাভ করবে। এ জন্য আলেমরা একাধিক আজানের উত্তর দেওয়াকে মুস্তাহাব বলেন। শায়খ আলিশ (রহ.) বলেন, যখন একসঙ্গে একদল মুয়াজ্জিন একের পর এক আজান দেয়, তখন প্রথম আজানের উত্তরই ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট হবে। (মানহুল জলিল : ১/২০২)

আল্লামা মাওয়ার্দি (রহ.) বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় মুয়াজ্জিনের আজানের উত্তর দেওয়া বৈধ; বরং এটা মুস্তাহাব। (আল-ইনসাফ : ১/৪২৬)

আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘ব্যক্তি দ্বিতীয় বা তার পরবর্তী মুয়াজ্জিনের উত্তর দেবে। কেননা তা মুস্তাহাব। নবীজি (সা.)-এর যুগের আমলও অনুরূপ ছিল। এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দিষ্ট না করেই বলেছেন, যখন তোমরা আজান শুনতে পাও, তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তা বোলো। (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা : ৫/৩২৪)

আল্লাহ সবাইকে দ্বিনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।