Home ধর্মীয় প্রশ্ন-উত্তর যেসব কারণে হজ্জে ‘দম’ দিতে হয় এবং ‘দম’ আদায়ের নিয়ম

যেসব কারণে হজ্জে ‘দম’ দিতে হয় এবং ‘দম’ আদায়ের নিয়ম

প্রশ্ন: আমরা জানি, হজ্জের মধ্যে জিনায়েতের কারণে দম দিতে হয়। এই দম দেয়ার নিয়ম কী? এবং এটি কারা খেতে পারবে?

– আবু বকর, পাবনা।

ফতোয়া: উট, গরু ও ছাগল; এই তিন শ্রেণির প্রাণির যেকোনো একটি দিয়েই জিনায়েতের দম আদায় করা যায়। তবে সর্বোত্তম হলো দমের জন্য উট নির্বাচন করা। তারপর গরু, এরপর ছাগল।

তবে দুটি ক্ষেত্রে তথা জুনুবী অবস্থায় তাওয়াফে যিয়ারত করলে বা উকূফে আরাফার পর সহবাস করলে দম স্বরূপ ছাগল দেওয়া জায়েয হবে না; বরং উট বা গরু দিতে হবে। বয়সের ক্ষেত্রে কুরবানীর পশুর যে হুকুম, দমের ক্ষেত্রেও সেই হুকুম প্রযোজ্য।

জিনায়াতের দম কুরবানীর তিন দিনসহ বছরের যে কোনো সময়ে আদায় করতে পারবে। তবে হারাম শরীফের চৌহদ্দিতেই আদায় করতে হবে। যবাই করার পর প্রাণীর রশি, লাগাম ও গোশত মিসকীনদেরকে সদাকা করে দিবে।

হারাম শরীফের মিসকীনদের তুলনায় যদি হারামের বাইরের মিসকীনরা বেশি মুখাপেক্ষী না হয়, তাহলে হারাম শরীফের মিসকীনদেরকেই সদাকা করা উত্তম।

হজ্জে দুই ধরনের দম দেয়া হয়। এক. দমে শোকর। যেমন- হজ্জে তামাত্তু ও হজ্জে কেরানের দম। এ প্রকারের দম থেকে দমদাতাসহ অন্য যে কোনো ব্যক্তিই খেতে পারবে। দুই. দমে জিনায়াত ও ইহসার। অর্থাৎ- হজ্জে কোনো ওয়াজিব তরক হওয়ার দরুন যেই দম আবশ্যক হয়।

এমনিভাবে ইহরাম বাঁধার পর হজ্জে যেতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় যে দম আবশ্যক হয়, এ প্রকারের দম থেকে দমদাতা নিজে ভক্ষণ করতে পারবে না। এমনিভাবে কোনো ধনী মানুষও তা থেকে ভক্ষণ করবে না। এটি গরীব মিসকীনদের মাঝে বণ্টন করে দিতে হবে। (ফাতহুল কাদীর- ৩/১৬১, ৩/১৬২, রদ্দুল মুহতার- ২/৬১৬, আল বাহরুর রায়েক- ৩/৭৮)।

উত্তর দিয়েছেন- আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন
মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসীর ও সহকারী পরিচালক-
জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

আরও পড়তে পারেন-