আমাদের প্রত্যেকের কর্মব্যস্ত দিনে চোখে বেশি চাপ পড়ে। ঘুমানোর সময় ছাড়া আমাদের চোখ জোড়া সারাদিনই কাজ করে। কখনো কম্পিউটারের সামনে, কখনো টেলিভিশনের সামনে বা কখনো মনোযোগ দিয়ে কিছু পড়া হয়। এর মধ্যে চোখের বিশ্রামের কথা ভাবার অবকাশ হয় না।
অত্যন্ত সংবেদনশীল এই অঙ্গের প্রতি খেয়াল রাখা আমাদের সবার জন্য জরুরি।
প্রতিদিনকার কিছু অভ্যাস আপনার চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী..
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
১. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। বাইরে যাওয়ার সময় চোখের সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যারা চশমা পড়েন তারা অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধী চশমা কিনতে পারেন চোখের সুরক্ষার জন্য।
২. ফোন কিংবা কম্পিউটারের পর্দার দিকে বেশি সময় ধরে তাকিয়ে থাকার ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। মাথাব্যথা দেখা দেয়। এজন্য কাজের মাঝে বিরতি নেওয়া জরুরি। এ জন্য প্রত্যেক ২০ মিনিট পরপর ২০ ফুট দূরত্বে থাকা কোন কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড ধরে তাকিয়ে থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
৩. শুধু ফোন কিংবা কম্পিউটার নয়, বই পড়তে পড়তেও আপনার চোখকে বিশ্রাম দেওয়া অত্যাবশ্যক। এখানেও গবেষকদের দেওয়া ২০ মিনিট-২০ ফুট-২০ সেকেন্ডের পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করুন।
৪. সারাক্ষণ ঘরে আবদ্ধ না থেকে বাইরের পরিবেশ দেখার মাধ্যমে চোখকে বিশ্রাম দেওয়া যায়। তাই চোখের সুরক্ষার জন্য বাইরে ঘুরতে যেতে পারেন। অবশ্যই সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না যেন!
৫. ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা শুধু চোখ নয় পুরো দেহের জন্যই ভালো। চোখের গ্লুকোমা রোগের জন্য ধূমপান অনেকাংশে দায়ী।
৬. গাজর, মিষ্টি আলু, লাল ও সবুজ মরিচ, সবুজ শাক ইত্যাদি সবজি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আপনার খাদ্যতালিকায় এসব যুক্ত করে চোখের সুরক্ষায় উপকারিতা পেতে পারেন।
৭. চোখে ধূলাবালি বা পোকা পড়লে হাত দিয়ে চোখ ঘষবেন না। এতে চোখের আরো ক্ষতি হয়। এর পরিবর্তে আই ড্রপ দিয়ে চোখ পরিষ্কারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
সূত্র: সি নেট ডট কম
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ