অর্থ-সম্পদ সুখের একটি উপাদান। কিন্তু সব সময় টাকা-পয়সা সুখ লাভের উপাদান না-ও হতে পারে। অন্তরের সুখই প্রকৃত সুখ। এর জন্য অন্তর প্রশস্ত হওয়া জরুরি, অন্তরের দিক থেকে ধনী হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
আর অল্পে তুষ্টি অন্তরের ধনাঢ্যতা বাড়ায়। সমাজে অনেক বিত্তশালী লোক আছে, তাদের অনেক অর্থ-সম্পদ থাকার পরও বেশি পাওয়ার স্বপ্ন তাদের আরো অভাবী বানিয়েছে। আবার বহু গরিব মানুষ জীবনধারণের মতো রিজিক পেয়ে তুষ্ট। আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হৃদয় নিয়ে সে সুখে-শান্তিতে দিন গুজরান করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সম্পদের আধিক্য প্রকৃত ধনাঢ্যতা নয়, বরং প্রকৃত ধনাঢ্যতা হলো অন্তরের ধনাঢ্যতা। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৪৬)
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
তাকদিরে বিশ্বাস অন্তরের ধনাঢ্যতা বাড়ায়। আবু হুরায়রা (রা.)-কে উপদেশ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেছিলেন, তোমার তাকদিরে আল্লাহ যা বণ্টন করে রেখেছেন, তাতে সন্তুষ্ট থাকবে, তাহলে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ধনী হতে পারবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩০৫)
এর ব্যাখ্যায় ইমাম মানাভি (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি তাকদিরের নির্ধারিত রিজিক পেয়ে তুষ্ট থাকে, সে কখনো মানুষের সম্পদের দিকে প্রলুব্ধ হয় না।
ফলে সে অভাবমুক্ত থাকে এবং অন্তরের দিক থেকে ধনী হয়ে ওঠে। (মানাভি, আত-তাইসির বি শারহে আল-জামিইস সাগির : ১/২৭)
সুতরাং বান্দা অল্পে তুষ্ট থাকলে, আল্লাহ তার হৃদয় ধনী ও অভাবমুক্ত করে দেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ