Home জাতীয় হজ নিবন্ধনের বাড়ানো সময়ও শেষ, কোটা ৫০ হাজার খালি

হজ নিবন্ধনের বাড়ানো সময়ও শেষ, কোটা ৫০ হাজার খালি

হজের নিবন্ধনে বাড়ানো তিন দফা সময় শেষ হলো আজ বৃহস্পতিবার। এরপরও হজযাত্রীর কোটা ৫০ হাজারেরও বেশি খালি রয়েছে।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। প্রথম নিবন্ধনের সময় ছিল ১০ ডিসেম্বর। পরে নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। হজযাত্রীদের সাড়া না পাওয়ায় সর্বশেষ নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ১৮ জানুয়ারি করা হয়।

সৌদি আরবকে এবারের হজযাত্রীর সংখ্যা জানানোর তাগিদ থাকায় নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। কিন্তু হজ এজেন্সিগুলোর চাপে শেষ পর্যন্ত হজের নিবন্ধনের সময় ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো। সেই সময় আজ শেষ হলো। সময় আরও বাড়ানো হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন। চলতি বছর হজ পালনে সৌদি সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় গত ৮ জানুয়ারি।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে হজ পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ৭৬ হাজার ৮২১ জন হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৬৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭২ হাজার ৬৫৬ জন। সেই অনুযায়ী, এখনো ৫০ হাজার ৩৭৭ জন নিবন্ধন করেননি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাদের হজযাত্রীর সংখ্যা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো জানাতে পারেনি। হজযাত্রীর সংখ্যা চূড়ান্ত না হওয়ায় বাংলাদেশের নামে মিনায় তাবু বরাদ্দ হয়নি। সংখ্যা জানাতে আরও দেরি করলে মিনায় অনেক দূরে তাবু নিতে হবে, যা হজযাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হবে। তাই নিবন্ধনের সময় আর না বাড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি।

আরও পড়তে পারেন-

তবে কোটার বড় অংশ খালি থাকায় পরবর্তী বছরগুলোতে কোটা পাওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এবার সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজে যেতে সর্বনিম্ন খরচ কুরবানিসহ প্রায় ৬ লাখ টাকা। যদিও গত হজের খরচের তুলনায় এটা অনেকটা কম।

সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। সাধারণ প্যাকেজে চলতি বছরের চেয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম খরচ হবে।

অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা। চলতি বছরের তুলনায় খরচ কমেছে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার সব হজযাত্রীকে কুরবানির খরচ আলাদা করে নিতে হবে।

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।