রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি আগামী মে মাসে চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন। উভয় দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার মধ্যে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রথম বিদেশ সফর হবে এটি।
পশ্চিমারা গত দুই বছরে রাশিয়া ও চীনকে বর্ধিত উদ্বেগের সঙ্গে দেখেছে। কারণ দেশ দুটি বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছে। পাশাপাশি তারা বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতেও চায়।
পুতিন মস্কোর একটি ব্যাবসায়িক ফোরামে কোনো বিস্তারিত উল্লেখ না করে এদিন বলেন, ‘মে মাসে একটি সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
ইউক্রেনের ওপর সামরিক হামলার জন্য পশ্চিমাবিশ্ব রাশিয়াকে অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আঘাতের পর থেকে মস্কো বেইজিংকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক লাইফলাইন হিসেবে দেখে আসছে। বেইজিং ও মস্কো একটি ‘সীমাহীন’ অংশীদারি ঘোষণা করেছে।
এর কয়েক দিন আগে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর পূর্ণ মাত্রার সামরিক আক্রমণ শুরু করেছিল। অধিকাংশ পশ্চিমা দেশ মস্কোর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরও এই দুই দেশ সম্পর্ক প্রসারিত করেছে।
চীন ইতিমধ্যে সস্তা রাশিয়ান জ্বালানি আমদানি এবং সাইবেরিয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসের চালানসহ বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিনকেন চীনের সঙ্গে কঠোর আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে অবতরণ করার সময় পুতিনের ঘোষণাটি এলো। ওয়াশিংটন প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে রয়েছে। সূত্র: এএফপি।
উম্মাহ২৪ডটকম:আইএএ