Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিমান কেন ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ে?

বিমান কেন ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ে?

আপনি বিমানে চড়ে কোথাও যাত্রা করেছেন। উড্ডয়নের প্রায় ২০ মিনিট পেরিয়েছে। হঠাৎই আপনার কানে ক্যাপ্টেনের গলার স্বর ভেসে এল। তিনি আরোহীদের উদ্দেশে বলছেন, ‘ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ, আমরা এখন ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছি।’ 

কিংবা তিনি বলতে পারেন ৩৬ হাজার ফুট, ৪০ হাজার ফুট অথবা ৩৩ হাজার ফুট। বিমান কত উচ্চতায় উড়ছে বা উড়বে সেটি সুনির্দিষ্ট নয়। তবে বিমান কেন এত উচ্চতায় ওড়ে, তার পেছনের বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

বিমান সাধারণত ৩০ হাজার থেকে ৪২ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ে থাকে। কারণ, যত উপরে যাওয়া হয়, বাতাসের ঘনত্ব ততই কমতে থাকে। আর তখন কম জ্বালানি ব্যবহার করে আরও দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে বিমান ওড়ানো এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

এ বিষয়ে সাবেক পাইলট ও যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যান বাব বলেন, ‘বেশিরভাগ বাণিজ্যিক বিমানেরই আকাশে ওড়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সীমানা রয়েছে। আমরা যাকে ‘সার্ভিস সিলিং’ বলে থাকি। সার্ভিস সিলিং সীমানায় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে বিমান আর উঁচুতে যেতে পারে না এবং মাধ্যাকর্ষণ এটিকে নিচের দিকে টানতে শুরু করে।’

আরও পড়তে পারেন-

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতে, এত বেশি উচ্চতায় ওড়ার কারণে আবহাওয়াজনিত সমস্যাগুলোও এড়ানো যায়। আর এত উচ্চতায় অন্যান্য ঝামেলাও কম থাকে।

প্রতিটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটের নির্দিষ্ট ক্রুজিং উচ্চতা নির্ধারণের জন্য ফ্লাইট ডিসপ্যাচাররা (এয়ারলাইন ডিসপ্যাচার বা ফ্লাইট অপারেশন অফিসার নামেও পরিচিত) বিমানের উড্ডয়নের আগে এর কর্মক্ষমতা, ওজন, বাতাস ও আবহাওয়াজনিত অবস্থা, এয়ার ট্রাফিক, ফ্লাইটের গতিপথ ইত্যাদি বিবেচনা করে ফ্লাইট পাথ পরিকল্পনা করেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার সময় একটি বিমান সর্বোচ্চ যে উচ্চতায় উড়ে থাকে, সেটিই ক্রুজিং উচ্চতা।

অধ্যাপক ড্যান বলেন, সাধারণভাবে বলতে গেলে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে ওড়া বিমানগুলোকে অবশ্যই ৩৬ হাজারের মতো জোড় সংখ্যার উচ্চতায় উড়তে হবে। আর উত্তর, উত্তর-পূর্ব, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ওড়া বিমানগুলোকে উড়তে হবে ৩৭ হাজার ফুটের মতো বিজোড় সংখ্যার উচ্চতায়। এটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের বিভিন্ন উচ্চতায় উড়তে থাকা বিমানগুলোকে নিরাপদে আকাশে ওড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

ফ্লাইটের সময় পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে ক্রুজিং উচ্চতার পরিবর্তন হতে পারে। যেমন- যদি কোনো বিমানের পাইলটরা একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় ওড়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার কথা জানান, তখন ওই বিমানের পেছনে আর যে বিমানগুলো উড়েছে, সংকেত পেয়ে সেগুলোও তাদের ক্রুজিং উচ্চতা সুবিধামতো ঠিক করে নিতে পারে।

উম্মাহ২৪ডটকম:এসএএম

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

[দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন]