Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন দাম্পত্য কলহের কারণ এবং প্রতিকারের উপায়

দাম্পত্য কলহের কারণ এবং প্রতিকারের উপায়

।। মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী ।।

স্বামী এবং স্ত্রীর সম্মিলিত পারিবারিক জীবনকে ‘দাম্পত্য জীবন’ বলা হয়। স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর সম্পর্ক মধুর হলে দুনিয়াতে জান্নাতের সুখ লাভ করা যায়। পক্ষান্তরে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কলহপূর্ণ হলে চরম অশান্তি নেমে আসে। তখন দুনিয়ার সব সুখ সে দম্পতির কাছে দুঃখে পরিণত হয়ে যায়।

স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একটু আধটু ভুল বুঝাবুঝি হওয়া স্বাভাবিক। সব ক্ষেত্রেই উভয়কে সংযমী হওয়া অপরিহার্য। নতুবা ধীরে ধীরে চরম তিক্ততা নেমে আসবে। সম্ভবত এমন কোন দম্পতি খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, যাদের জীবনে মোটেও কোন কলহ সংঘটিত হয়নি। দাম্পত্য জীবনে কলহ ঘটাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এ কলহ দীর্ঘস্থায়ী হতে দেওয়া কোন মতেই ঠিক নয়। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই উভয়ের হক ও অধিকার সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন থাকলে দাম্পত্য কলহ অনেকটা এড়িয়ে চলা সম্ভব। সাধারণতঃ নিুবর্ণিত কারণগুলোর দ্বারা দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত ঘটে থাকে।

(১) স্বামী-স্ত্রী পরস্পর মানসিক এবং আচার-আচরণে ভিন্নমুখী হলে। (২) স্ত্রীর বেলেহাজ কথাবার্তার কারণে। (৩) স্বামীর শাসক সুলভ আচরণে। (৪) স্ত্রীর রূপ-লাবণ্যে স্বামী তৃপ্ত না হলে এবং স্বামীর রূপ-সৌন্দর্যে স্ত্রী তৃপ্ত না হলে। (৫) পরস্পরের দৈহিক চাহিদা না মিটলে। (৬) স্ত্রী পরপুরুষ এবং স্বামী পরনারীর সাথে অবাধ মেলামেশা করলে। (৭) স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের ব্যাপারে অমনোযোগী হলে। (৮) স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের মধ্যে শিক্ষার সামঞ্জস্যতা না থাকলে। (৯) স্ত্রী নিজ বাপ-ভাইয়ের প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল এবং শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি অমনোযোগী হলে।

(১০) স্বামীর ছোটখাট প্রয়োজনের গুরুত্ব না দিলে। (১১) স্ত্রীর অনুরোধ বা আবদার ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলে। (১২) স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক সামঞ্জস্যতা না থাকলে। (১৩) স্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে সম্পদশালী এবং স্বামীর সম্পদ কম হলে। (১৪) স্ত্রী পর্দার প্রতি অমনোযোগী হলে। (১৫) স্বামী-স্ত্রী উভয়ে অথবা যে কোন একজন দ্বীনের ব্যাপারে উদাসীন হলে। (১৬) স্ত্রী চলাফেরায় সম্পর্ণ স্বাধীনচেতা হলে।

(১৭) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কারো কোন কুঅভ্যাস থাকলে। (১৮) স্বামী-স্ত্রীর কারো বিগত জীবনে কোন কলঙ্কময় অধ্যায় থাকলে। (১৯) স্বামী-স্ত্রী পরস্পর দীর্ঘ সময় আলাদা অবস্থানে কাটালে। (২০) স্ত্রীর হাতে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হলে।

(২১) স্বামী-স্ত্রী উভয়ের অধিকার আদায়ে অমনোযোগী হলে। (২২) উভয়ের মধ্যে ধর্মীয় সামঞ্জস্যতা না থাকলে। (২৩) বিবাহ সম্পাদনের পূর্বে এবং পরে কোন আচরণ প্রতারণামূলক হলে। (২৪) স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেললে। (২৫) স্ত্রী স্বামীকে এবং স্বামী স্ত্রীকে সন্দেহজনক চোখে দেখলে। (২৬) উভয়ে উভয়ের ছোটখাট ভুলত্রুটিকে বড় করে দেখলে। (২৭) অপরের কানকথা বিশ্বাস করে একে অপরের প্রতি সন্দেহ পোষণ করলে। (২৮) প্রকাশ্যে বা গোপনে উভয়ে উভয়ের দোষত্রুটি অপরের কাছে প্রকাশ করলে। (২৯) ছোটখাট ব্যাপারে জিদ ধরে থাকলে। (৩০) পরস্পর পরস্পরের প্রতি হৃদ্যিক আকর্ষণ হারিয়ে ফেললে।

এছাড়া আরও বহুবিধ প্রকাশ্য ও গোপন কারণে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মাঝে দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত ঘটতে পারে। প্রতিটি মানুষের চেহারা এবং স্বভাব যেমন এক নয়, তেমনি সব দাম্পত্য কলহের ধরনও এক নয়। দেখা যায়, এক দম্পতির মাঝে যে কারণে কলহ সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক একই কারণে আরেক দম্পতির কোন প্রতিক্রিয়াই হয়নি। দ্বিতীয় দম্পতি ঘটনাটিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছেন।

দাম্পত্য কলহ রোধে বাজারে কোন প্রতিষেধক পাওয়া যায় না। এর একমাত্র প্রতিষেধক হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের হক ও অধিকার সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল থাকা এবং যথাযথভাবে সে অধিকার আদায় করতঃ পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। দুনিয়ার জীবনে তথা দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চাইলে অবশ্যই প্রত্যেককে এ ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। নতুবা ছোটখাট দাম্পত্য কলহ ধীরে ধীরে প্রকট রূপ ধারণ করে গোটা পরিবারের শান্তি বিঘ্নিত করবে। এ ব্যাপারে স্বামী-স্ত্রীর যত্নবান হওয়া খুবই জরুরী।

প্রত্যেক দম্পতি যদি তাদের দাম্পত্য জীবনে নিুবর্ণিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে একটু যত্নবান হন এবং স্বয়ং দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হন, তবে ইন্শাআল্লাহ দাম্পত্য কলহ সহজেই মিটে যেতে বাধ্য। সেগুলো অতীব সংক্ষিপ্তাকারে নিম্নে বর্ণনা করা হল-

(১) স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের সম্পর্ক হতে হবে বন্ধুত্বপূর্ণ। (২) পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে, পুরুষরা নারীর উপর কর্তৃত্ব করবে। এ আয়াতের আলোকে একতরফাভাবে নারীদের উপর একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে পুরুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কোন অবস্থাতেই নারীদের উপর অন্যায় (জুলুম) করা যাবে না। ভুলে গেলে চলবে না, বিদায় হজ্বে হযরত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদের নারীদের হক সম্পর্কে অসীয়ত করে যাচ্ছি। তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে। এটি তোমাদের জীবনে কল্যাণ বয়ে আনবে। তোমাদের কেবল একটি অধিকার আছে, তা এই যে, স্ত্রী যদি প্রকাশ্যে অন্যায় করে তবে তাকে তোমার শয্যা থেকে পৃথক করে দেবে কিংবা হালকা আঘাতে শাসনও করতে পার। যদি সে তোমার অনুগত হয়, তবে তাকে আর কষ্ট দিয়ো না। তাদের উপর তোমাদের হক আছে। তোমাদের হক এই যে, সে যেন তোমার শয্যায় অন্য কাউকে আসতে না দেয় আর তাদের হক এই যে, তোমরা উত্তম রূপে তাদের ভরণ-পোষণ প্রদান করবে। (তিরমিযী শরীফ)।

(৩) নারীদের বক্রতা স্বভাবজাত, এটা তাদের দোষ নয়। হযরত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, নারীদেরকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, তুমি যদি পাঁজরের হাড় সোজা করতে চাও, তাহলে তা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার বক্রতা বজায় রেখেই উপকৃত হতে হবে, কাজে লাগাতে হবে। মূলতঃ এটি গভীর প্রজ্ঞাপূর্ণ বিরল উপমা স্বরূপ। তাই প্রত্যেক স্বামীকে এ ব্যাপারে অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে তথা স্ত্রীর বক্রতা মেনে নিলেই দাম্পত্য জীবন মধুময় হবে।

(৪) হযরত আবু হুরাইরাহ্ (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি যদি মানুষকে অন্য কোন মানুষের সামনে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে তার স্বামীর সামনে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম। (তিরমিযী শরীফ)।

এ হাদীসের আলোকে প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য স্বীয় স্বামীকে সবচেয়ে বেশী শ্রদ্ধাভক্তি ও সম্মান প্রদর্শন করা জরুরী। প্রত্যেক স্ত্রীকে এ ব্যাপারে অধিক যত্নবান হওয়া অপরিহার্য। স্বামীর কোন খারাপ স্বভাবের জন্য তাকে অবজ্ঞা করা যুক্তিযুক্ত নয়। বরং স্বামীকে আন্তরিক শ্রদ্ধাভক্তি ও খেদমত দ্বারা তার মন জয় করতঃ সেই খারাপ স্বভাব পরিবর্তনে সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে।

(৫) প্রত্যেক স্ত্রীকে তার স্বামীর আর্থিক অবস্থার উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। স্বামীর আর্থিক সামর্থ অনুসারে জীবন যাপন করতে হবে। অতিরিক্ত দাবী করা বা মুখ বেজার করে রাখা উচিত হবে না। নিজের কথার উপর কখনো জিদ করা ঠিক হবে না। প্রাথমিকভাবে স্বামীর কথা জেনে নিয়ে পরবর্তীতে বিষয়টি একান্তে ফায়সালা করাই উত্তম হবে। স্বামীর ক্রয় করা দ্রব্যাদির সরাসরি সমালোচনা বা প্রত্যাখ্যান করা ঠিক নয়। তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশী।

(৬) স্ত্রীকে সর্বদা স্বামীর খেদমতে নিয়োজিত রাখতে হবে। অর্থাৎ স্বামী যেন স্ত্রীর ভালবাসা এবং খেদমতে তৃপ্ত হন, সে জন্য সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তদ্রূপ স্বামীকে স্ত্রীর প্রতি আন্তরিক মুহাব্বত প্রদর্শন করতঃ স্ত্রীর মনোরঞ্জনের সম্ভাব্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে কোন ভুল বুঝাবুঝি যত শীঘ্র সম্ভব মিটিয়ে ফেলতে হবে। নইলে তৃতীয় পক্ষ মি. ইবলিশ এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে উভয়ের শান্তি নষ্ট করে দেবে। ইবলিশ মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।

(৭) প্রত্যেক স্ত্রীকে তার রূপ যৌবন স্বীয় স্বামীর জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই এর অপব্যবহার করা যাবে না। অধুনা সমাজে এর পুরোপুরি উল্টো অবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে। অর্থাৎ আধুনিক মহিলারা বাইরে বের হলে সেজেগুজে বের হন বটে কিন্তু স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য সাজসজ্জার প্রয়োজনই বোধ করেন না। আমাদের সমাজের অধিকাংশ মহিলারাই এ রোগে আক্রান্ত। দাম্পত্য জীবন সুখময় করতে প্রত্যেক স্ত্রীকে এ অভ্যাস পরিহার করে শুধুমাত্র স্বামীর জন্যই সাজসজ্জার অভ্যাস করতে হবে। নইলে দাম্পত্য জীবনের মূল সুখ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

(৮) স্বামী-স্ত্রী উভয়ে উভয়ের হক সম্বন্ধে জ্ঞাত হতে হবে এবং আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে। অধিকাংশ দম্পতি কুরআন-হাদীস মত স্বামী-স্ত্রীর হক এবং অধিকার সম্বন্ধে পুরোপুরি ওয়াকিফহাল না থাকার কারণে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি নেমে আসে। এ ব্যাপারে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে প্রয়োজনীয় বা¯ব পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরী।

(৯) এককভাবে প্রত্যেক স্বামীকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি তীক্ষ দৃষ্টি রাখার ফলশ্রুতিতে দাম্পত্য জীবন সুখময় হতে পারে। এর মধ্যে অধিকাংশগুলো সুন্নাতের মর্যাদা সম্পন্ন। বিষয়গুলো হচ্ছে-

(ক) স্ত্রীর অভিমান সহ্য করা (খ) শরীয়তের সীমার মধ্যে স্ত্রীর মন খুশী করতে চেষ্টা করা (গ) স্ত্রীর সাথে হাসিঠাট্টা করা (ঘ) স্ত্রীর আরামের প্রতি লক্ষ্য রাখা (ঙ) স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করা (চ) স্ত্রীর মুখে আদর করে খাবার তুলে দেওয়া (ছ) খোরপোষে সংকীর্ণতা না করা (জ) স্ত্রীর জন্য হাত খরচ প্রদান করা (ঝ) স্ত্রীর মন জয় করতে চেষ্টা অব্যাহত রাখা (ঞ) উভয়ের মধ্যে উপহার বিনিময় করা (ট) স্ত্রীর কাছে রাত্রি যাপন অব্যাহত রাখা (ঠ) শুধু স্ত্রীর দোষ নয়, গুণগুলোও দেখা (ড) স্ত্রীর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরামর্শ করা ইত্যাদি।

(১০) অনুরূপভাবে প্রত্যেক স্ত্রী নিুোক্ত বিষয়গুলোর ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ অর্থাৎ পালনে সচেষ্ট হলে নিশ্চিত দাম্পত্য জীবন সুখময় হবে। বিষয়গুলো হচ্ছে- (ক) স্ত্রীর জন্য স্বামীর হকই সবচেয়ে বড় (খ) স্বামীকে অন্যায়ভাবে কষ্ট বা মনে ব্যথা না দেওয়া। এরূপ স্ত্রী জাহান্নামী (গ) স্বামীর ডাকের সংগে সংগে সাড়া দেওয়া জরুরী (ঘ) স্বামীকে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গ্রহণ করা (ঙ) স্বামীর অবাধ্য না হওয়া। অবাধ্য স্ত্রী জাহান্নামী (চ) স্ত্রীর শ্রেষ্ঠ আমল ফরযের পর স্বামীর খেদমত (ছ) নেককার হওয়ার সাথে স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনকারী স্ত্রী জান্নাতী (জ) নারীরা দুনিয়ার হুর (ঞ) স্বামীর নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা স্ত্রী লা’নত প্রাপ্ত (ট) স্বামীকে তুচ্ছ জ্ঞান করা দুর্ভাগ্যের আলামত ইত্যাদি।

সর্বপ্রথম দ্বীনের হুকুম মান্য করে পরবর্তীতে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ে উভয়ের জন্য নিবেদিত প্রাণ থাকতে হবে। স্মরণ রাখা দরকার, বান্দার প্রতি প্রথম দাবী হচ্ছে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের। পরবর্তীতে পুরুষের জন্য গর্ভধারিনী জননী এবং স্ত্রীর জন্য স্বীয় স্বামীর দাবীই সবচেয়ে বেশী। অর্থাৎ কোন পুরুষ স্বীয় জননীকে অবজ্ঞা করে এবং কোন স্ত্রী তার স্বামীকে অবজ্ঞা করে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জনে কখনোই সক্ষম হবে না।

আসুন, আমরা সকলে দ্বীনকে জানি ও মানি এবং আদর্শ দাম্পত্য জীবন গড়তে সচেষ্ট হই। আল্লাহ্ তাআলা মেহেরবানী করে আমাদেরকে জান্নাতের সুখ তথা দাম্পত্য সুখ দুনিয়াতে ভোগ করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

লেখকঃ মুহাদ্দিস- জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ঢাকা, খতীব- তিস্তা গেট জামে মসজিদ টঙ্গী এবং কেন্দ্রীয় অর্থসম্পাদক- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। ই-মেইল- muftijakir9822@gmail.com