Home পরিবার ও সমাজ ‘আমি কী পরবো তা আমার স্বাধীনতা’: এ আর রাহমান কন্যার সাফ জবাব!

‘আমি কী পরবো তা আমার স্বাধীনতা’: এ আর রাহমান কন্যার সাফ জবাব!

‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’ ছবির এক দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা অনুষ্ঠানের মঞ্চে এ আর রহমান ও তাঁর কন্যা খাদিজা রহমান। ছবি- সংগৃহীত।

উম্মাহ অনলাইন: অস্কার জয়ী সংগীতপরিচালক এ আর রাহমান। ১০ বছর আগে বলিউডের ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’ ছবির ‘জয় হো’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতপরিচালক হিসেবে অস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’ ছবির অস্কার পাওয়ার এক দশক পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুর, ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’ ছবির কলাকুশলী, এ আর রাহমান ও এ সংগীতশিল্পীর পরিবারের বেশ কয়েজন সদস্যসহ বিনোদন জগতের অনেকেই।

এদিন অনুষ্ঠানের মঞ্চে স্লামডগ মিলিওনেয়ার ও অস্কার বিষয়ক বিভিন্ন কথা বলেন রহমান। এ সময় সংগীতশিল্পী বাবার সঙ্গে মঞ্চে উঠে কথা বলেন রাহমানের মেয়ে খাদিজা রাহমান। অনুষ্ঠানে খাদিজার পরনে ছিল বাঙালি শাড়ি ও মুখাবয়ব ঢেকে রাখা নেকাব। সেদিন অনুষ্ঠানের অনেকেই খাদিজার পোশাককে বাঁকা চোখে দেখেন। এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এ আর রাহমানকে ঘিরে আলোচনার ঝড় ওঠে।

হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের অনেকেই রাহমানকে কটাক্ষ করেন বলেন, ‘কেমন করে এতো ছোট একটি মেয়েকে জোর পূর্বক নেকাব পরিয়ে রেখেছেন এ সংগীতশিল্পী।’ আরেকজন ব্যক্তি টুইট করে লিখেন, ‘একজন প্রগতিশীল সংগীতশিল্পীর কাছে এমনটা আশা করিনি।’ আরেকজন টুইট করে লিখেন, ‘মেয়েকে এভাবে আপাদমস্তক না ঢাকলে পারতেন তিনি।’

বাবাকে বিতর্কিত হতে দেখে, এ আর রাহমানের মেয়ে মুখ খুললেন। ৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার খাদিজা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘সম্প্রতি মঞ্চে বাবার সঙ্গে আমাকে দেখে অনেকেই সমালোচনা মুখর হয়েছেন। এতো বেশি সমালোচিত হতে হবে যা আমি নিজেও কখনো কল্পনা করিনি। যাই হোক, অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন যে, আমার বাবা আমাকে এমন পোশাক পরতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে মোটেও তা নয়। যারা ভুল বুঝেছেন তাদের বলতে চাই, আপাদমস্তক ঢাকা পোশাক পরতে আমি পছন্দ করি। আমি কী পরবো, না পরবো তা সম্পূর্ণ আমার স্বাধীনতা। আমার যা পরতে ভালো লাগে আমি তাই পরি। নিজের পোশাক পছন্দ করার যথেষ্ট বয়স আমার হয়েছে। এমনটা ভাবা ভুলে, যে মা-বাবাই আমার পোশাক নির্ধারণ করে দেন। তবে আমার পছন্দের প্রতি মা-বাবা দুজনেই ভীষণ শ্রদ্ধাশীল। আমার মনে হয়ে নারী কিংবা- পুরুষ, প্রত্যেক মানুষের নিজের পোশাক নির্বাচনে ব্যাক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। যেমন, আমি কী পরবো তা আমার স্বাধীনতা। তাই বলছি, দয়া করে পরিস্থিতি না বুঝে ভুলভাবে মানুষকে বিচার করবেন না’।

এর পর এ আর রাহমান একটি ছবি টুইট করেন। ছবিটি একটি অনুষ্ঠানে তোলা। তাতে এ আর রাহমানের স্ত্রী সায়ারা বানুর সঙ্গে তার দুই মেয়ে খাদিজা ও রহিমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ আর রাহমানের পরিবারের সঙ্গে আরও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ভারতের ধনকুবের নিতা আম্বানিকে। এ ছবিতে এ আর রাহমানের স্ত্রী সায়ারা মুখে নাকাব না থাকলেও মেয়ে খাদিজা ঠিকই নেকাব পরে ছিলেন।