Home মতামত হাসিনা ও মোদির মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ

হাসিনা ও মোদির মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ

‘যে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, সেই মন নিয়ন্ত্রণ করে’- জিম মরিসন।

দক্ষিণ এশিয়ায় হুমকিতে আছে গণতন্ত্র। নাগরিক স্বাধীনতার পরিসর এখানে সংকুচিত হয়ে আসছে। কর্তৃত্ববাদী নেতাদের কাছে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ একটা শক্তিশালী অস্ত্র হয়ে গেছে। দুজন নেতা এ ক্ষেত্রে এগিয়ে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা আর ভারতের নরেন্দ্র মোদি। দুজনেই মিডিয়ার স্বাধীনতা দুর্বল করে দিয়েছেন। প্রাণবন্তু মিডিয়া জগৎকে উভয়েই তারা প্রচারের অস্ত্রে পরিণত করেছেন।

মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে হাসিনা আর মোদির কৌশল প্রায় অভিন্ন। তারা ভিন্নমতকে দমন করেছেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সীমিত করে দিয়েছেন। আর মিডিয়াকে জনসমর্থন আদায়ের অস্ত্রে পরিণত করেছেন। এটা শুধু মিডিয়া দমনের পর্যায়ে থাকেনি। গণতন্ত্রের বৃহত্তর অধঃপতনের অংশ হয়ে উঠেছে এটা। জর্জ অরওয়েল যেমনটা বলেছেন, মুক্ত গণমাধ্যমকে অবশ্যই সমালোচনা আর বিরোধিতা করতে হবে। ভারতে আর হাসিনার বাংলাদেশে এই নীতি হুমকির মুখে পড়েছে। সাংবাদিকতা আর মুক্ত বিতর্ক ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছে।

১. গণমাধ্যমে মালিকানা ও স্বজনপ্রীতি

‘সাংবাদিকতা হলো সেই জিনিস প্রকাশ করা, যেটা কেউ মুদ্রিত দেখতে চায় না; বাকি সবকিছুই গণযোগাযোগ’-জর্জ অরওয়েল।

হাসিনার আমলে বাংলাদেশে মিডিয়ার মালিকানা আওয়ামী লীগের অনুগত ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গিয়েছিল। এই মিডিয়া মালিকদের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। দলের এজেন্ডা অনুসরণ করেছে তারা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা উধাও হয়ে গেছে। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিধ্বনি হয়েছে সম্পাদকীয় নীতিমালায়।

ভারতে মোদি সরকারের আমলে মিডিয়ার মালিকানা হাতে গোনা কিছু করপোরেট গ্রুপের হাতে চলে গেছে। আদানি গ্রুপ ও রিলায়েন্স গ্রুপের মধ্যে অন্যতম। এই গ্রুপগুলো টিভি, প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ায় শেয়ার কিনেছে। মিডিয়ার বৈচিত্র্য এতে কমে গেছে। সংবাদমাধ্যমগুলো সরকারের বয়ান মেনে কাজ করেছে।

২. নজরদারি, ভীতি প্রদর্শন এবং আইনি হয়রানি

‘মুক্ত গণমাধ্যম ভালো বা খারাপ হতে পারে, কিন্তু কোনো স্বাধীনতা না থাকলে সেটা খারাপ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না’- আলবেয়ার কাম্যু।

বাংলাদেশে হাসিনার সমালোচনাকারী সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে মামলা করা হয়েছে। সৎ সাংবাদিকতাকে শাস্তি দিয়েছে আইন। ফলে ভিন্নমত কার্যত নীরব হয়ে গেছে।

ভারতও একই ধরনের কৌশল ব্যবহার করেছে। আনলফুল অ্যাকটিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্টের অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্পাদকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ঘরবাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে, কর তদন্তের নামে হয়রানি করা হয়েছে। পেগাসাস স্পাইওয়্যার দিয়ে বহু মিডিয়াকর্মীর ওপর ব্যাপক নজরদারি করা হয়েছে।

৩. সম্মতি উৎপাদন এবং প্রচারণা

হাসিনার শাসনামলে মিডিয়ায় রাষ্ট্রীয় বয়ানই আধিপত্য করেছে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে। বিরোধীদের তখন বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমগুলো নিজ থেকে সংবাদ সেন্সর করেছে। যারা করেনি, তাদের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ভারতে, সরকারপন্থি চ্যানেলগুলোর নতুন নাম হয়েছে গদি মিডিয়া। টেলিভিশন উপস্থাপকরা সেখানে মোদির বিজেপি দলের মুখপাত্রের ভূমিকায় নেমেছে। ভিন্নমতকে তারা ষড়যন্ত্র হিসেবে উপস্থাপন করছে এবং সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রশংসা করছে। সংবাদভিত্তিক বিতর্ক অনুষ্ঠানগুলোয় সরকারের বয়ানের প্রতিধ্বনি হচ্ছে মাত্র। তথ্য-উপাত্ত সেখানে চরম উপেক্ষিত হচ্ছে।

৪. স্বাধীন কণ্ঠস্বর ও বিকল্প মিডিয়ার দমন

‘সত্যের জায়গায় যখন নীরবতা চলে আসে, তখন নীরবতাটাই মিথ্যা’- ইয়েভজেনি ইয়েভতুশেঙ্কো।

হাসিনা সরকার আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, নেত্র নিউজ এবং দৈনিক দিনকালের মতো মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো টার্গেট করেছিল। ভুয়া মামলা দিয়ে সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নির্যাতন করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সেন্সরশিপ, আর্থিক চাপ এবং আইনি চাপের মুখে পড়েছে। সাংবাদিকরা হয় পালিয়ে গেছেন অথবা নিজেদের সংযত করতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু অনুগত সাংবাদিকদেরই হাসিনার আমলে সাংবাদিক পাস দেওয়া হয়েছে।

ভারতে দ্য ওয়্যার, স্ক্রল এবং আল্ট নিউজের মতো স্বাধীন গণমাধ্যম প্ল্যাটফরমগুলোয় আর্থিক অডিটের নামে হয়রানি করা হয়েছে। সেখানে বিজ্ঞাপন দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপরতা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকরা সেখানে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। তাদের রিসোর্সও সীমিত হয়ে গেছে। সাহসী সাংবাদিকতা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

৫. জনগণের ধারণা এবং আস্থার অভাব

‘গণমাধ্যমের সুরক্ষা এ জন্য দেওয়া হয়, যাতে তারা সরকারের গোপন বিষয়গুলো খুঁজে বের করে মানুষকে জানাতে পারে’- হুগো ব্ল্যাক।

এ ধরনের কর্মকাণ্ড মূলধারার গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে। বাংলাদেশে মানুষ সংবাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হতে শুরু করেছে। কিন্তু সেখানে প্রচুর অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ভারতে, নাগরিক সাংবাদিকতা এবং ইউটিউবাররা অনেক ফলোয়ার পেয়েছে। কারণ মানুষ মূলধারার পক্ষপাতমূলক গণমাধ্যমগুলোকে পরিত্যাগ করেছে।

আরও পড়তে পারেন-

৬. সীমান্ত পেরিয়ে বয়ানকে অস্ত্র বানানো হচ্ছে

মোদির অধীনে ভারতের গদি মিডিয়া আগ্রাসীভাবে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা গল্প ছেপে যাচ্ছে। তারা দাবি করছে, হিন্দুরা সেখানে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ ধরনের রিপোর্টগুলো দুটো স্বার্থ উদ্ধার করছে। ভারতের মধ্যে বিজেপির এজেন্ডা পূরণ করছে এগুলো। পাশাপাশি বাংলাদেশের বৈশ্বিক ইমেজ তারা নষ্ট করছে। ভারতীয় চ্যানেলগুলো ছোটখাটো ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করেছে। কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই তারা দাবি করেছে যে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এখানে হিন্দুদের রক্ষা করার কোনো বিষয় নেই। বরং বাংলাদেশ সরকারকে ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরার জন্যই এটা করা হয়েছে।

হাসিনার আমলে বাংলাদেশের মিডিয়া চুপ করে ছিল। ভারতের মিথ্যা দাবির তারা কোনো জবাব দেয়নি। এমনকি জাতীয় মর্যাদাও যখন হুমকিতে পড়েছে, তখনো অধিকাংশ মিডিয়া নীরবতা পালন করেছে। এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের মিডিয়া কতটা গভীরভাবে সেন্সরশিপের ভেতর দিয়ে গেছে। দেশকে রক্ষা না করে এই মিডিয়াগুলো হাসিনা সরকারের প্রতি অনুগত ছিল। এই নীরবতা বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে এবং দেশের বাইরে ভুল তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছে।

৭. তোষণের রাজনীতি

হাসিনা সরকার তাদের অনুগত সম্পাদক আর সাংবাদিকদের সুবিধা দিয়েছে। এসব তথাকথিত সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাতায়াতের বিশেষ সুবিধা পেয়েছে। তারা হাসিনার সঙ্গে বিদেশ সফরে গেছেন। সাংবাদিক হিসেবে না, বরং দলীয় সমর্থক হিসেবে। সংবাদ সম্মেলনগুলো হয়ে উঠেছে সাজানো অনুষ্ঠান। সাংবাদিকরা হাসিনার প্রশংসার জন্য সাজানো, তোষামোদি প্রশ্ন করেছে এবং বিরোধীদের ব্যাপারে নেতিবাচক কথা বলেছে।

এই ‘নাটুকে সাংবাদিকতা’র কারণে ব্রিফিংগুলো প্রচারণার শোতে পরিণত হয়েছে। শক্ত প্রশ্নের পরিবর্তে দর্শকরা রিহার্সেল করা তোষামোদ শুনেছে। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের মতো ব্যক্তিদের ব্যাপারে কটু কথা বলা ছিল খুবই নিয়মিত বিষয়। ড. ইউনূসের যেসব অর্জন, এই অপপ্রচারের মাধ্যমে সেগুলোকে খাটো করা হয়েছে এবং বিতর্ককে দলীয় লড়াইয়ে পরিণত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এগুলো সমালোচনার মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের সাজানো গণমাধ্যম নিয়ে পর্যবেক্ষকরা ঠাট্টা করেছেন। এগুলো তারা দুর্বল মিডিয়ার প্রমাণ হিসেবে দেখেছেন।

এই কৌশলটা নতুন কিছু নয়। চীনের শি জিনপিং এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের মতো নেতারাও মিডিয়া বয়ানকে নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুগত সাংবাদিকদের ব্যবহার করেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে সাংবাদিকতা সত্যের অনুসন্ধান বন্ধ করে দেয়। এটা সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা এবং রাষ্ট্রের বৈধতা উৎপাদনের হাতিয়ারে পরিণত হয়। বাংলাদেশে এই সিস্টেমকে সেভাবে কেউ চ্যালেঞ্জও করেনি। মিডিয়া একতরফা বয়ানের মুখপাত্র হয়ে গেছে। রাজনৈতিক অর্জনের জন্য সেখানে সত্যকে বলি দেওয়া হয়েছে।

৮. চতুর্থ স্তম্ভের সংরক্ষণ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বাংলাদেশ মিডিয়া রিফর্ম কমিটি পুনর্গঠনের প্রস্তাব করেছে। তারা স্বাধীন ‘ন্যাশনাল মিডিয়া এথিকস অ্যান্ড ওভারসাইট কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব করেছে। এই কমিশনের কাজ হবে অপপ্রচার ও অনৈতিক চর্চাগুলোর নজরদারি করা। মিডিয়ার মালিকানার বিষয়টি স্পষ্ট করা এবং তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। ‘পাবলিক ব্রডকাস্টিং চার্টার’ তৈরি করা গেলে মিডিয়া তখন জনগণের জন্য কাজ করবে, সরকারের জন্য নয়।

কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পছন্দের ব্যক্তিদের সুবিধা দেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধের জন্য যেসব সাংবাদিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের খবর সংগ্রহ করবে, তাদের মধ্যে বৈচিত্র্য থাকতে হবে এবং তাদের সুষ্ঠুভাবে বাছাই করতে হবে। অনুসন্ধানী সাংবাদিক, অনলাইন মিডিয়া এবং কমিউনিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া গেলে ভবিষ্যতে কোনো জনগণের বিতর্ককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সংস্কার কমিটি বলেছে, মিডিয়া সরকারের প্রতিধ্বনি করতে থাকলে গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না। মিডিয়াকে অবশ্যই বিবেকের আয়না হতে হবে।

৯. মিথ্যা প্রতিবেদন উত্তেজনা বাড়ায়

১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের দ্য ডেইলি স্টার একটি মিথ্যা রিপোর্ট ছেপেছিল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়কে অপহরণ করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভারতীয় মিডিয়া সঙ্গে সঙ্গেই সেই সংবাদটিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রকাশ করেছে। এটাকে তারা হিন্দু নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে প্রচার করেছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে ভারত সরকার বাংলাদেশের নিন্দা করেছে। সাধগুরুর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তি এটাকে ‘জংলি হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু খবরটি ছিল মিথ্যা। ডেইলি স্টার খবরটি সরিয়ে নিয়েছে। দাবির পক্ষে প্রমাণ হাজির করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার কঙ্কন কর্মকারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঢাকার একটি টিম অনুসন্ধান করে এ ধরনের অপহরণ বা হত্যার কোনো প্রমাণ পায়নি। এ ঘটনাটিতে বোঝা গেছে, মিথ্যা প্রতিবেদন কীভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও অভ্যন্তরীণ টানাপড়েন উসকে দিতে পারে।

মোদি আর হাসিনার অধীনে মিডিয়া যেভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, সেখানে একটা অভিন্ন কৌশল বোঝা যায়। উভয়েই তাদের গণতান্ত্রিক চেহারা ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট করেছেন। তারা আইনকে দমনের জন্য আর প্রযুক্তিকে প্রচারণার জন্য ব্যবহার করেছেন। কিন্তু প্রতিরোধ সব সময় বেড়েছে। অ্যাকটিভিস্ট, স্বাধীন গণমাধ্যম এবং বৈশ্বিক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলো পাল্টা আঘাত হেনেছে। থমাস জেফারসন বলেছেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা নির্ভর করছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর।’ দক্ষিণ এশিয়ায় এই স্বাধীনতা পুরোপুরি না হারালেও অনেকটাই দুর্বল হয়ে গেছে।

লেখক: যুক্তরাষ্ট্রের সাভানা স্টেট ইউনিভার্সিটির ব্যবসা, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভারত, জাপান ও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে লিখে থাকেন।

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।