ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ফ্যাসিবাদ উৎখাতে যেসব পক্ষ ভূমিকা রেখেছে, তাদের সবাইকে দায়িত্বশীল ও সতর্ক আচরণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া-পাওয়ার বিষয় থাকতেই পারে, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলে দাবি আদায়ের রাজনীতি কিংবা পারস্পরিক বিরোধিতার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের ফলে জাতির সামনে রাষ্ট্রের নীতিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, কোনোভাবেই সে সুযোগ নষ্ট করা যাবে না।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, অভ্যুত্থান–পরবর্তী দেশের মানুষের অভূতপূর্ব অকুণ্ঠ সমর্থনে আপনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনার দায় শহীদদের রক্ত ও আহত ব্যক্তিদের বেদনার প্রতি। তাদের রক্ত ও জীবন উৎসর্গকে সার্থক করতে সংস্কারের গুরুদায়িত্ব আপনাকে পালন করতেই হবে। কোনো দল বা ব্যক্তিবিশেষের চাপ, অসহযোগিতা, বাধাকে উপেক্ষা করুন। ১৮ কোটি জনতার দেওয়া দায়িত্ব আপনি অবিচল থেকে পালন করুন। দেশবাসী আপনার পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশা আল্লাহ।
সৈয়দ রেজাউল করীম আরও বলেন, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব-কর্তব্য ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে। কোনোভাবেই এর ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। এতে রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। তাই রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে নিজ কর্মপরিধির মধ্যে সতর্ক ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ