ইসরায়েল-ইরান সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে তেহরানের সম্মতি আদায়ে কূটনৈতিক ভূমিকা রেখেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সোমবার ইরান কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের আমিরকে ফোন করেন। ওই ফোনালাপে ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ইতোমধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং তেহরানকে রাজি করাতে দোহাকে সাহায্যের আহ্বান জানান তিনি।
এরপর কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলে রয়টার্সকে জানান যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ইরান ও ইসরায়েল আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের সামরিক অভিযান সীমিত করে আনবে এবং এরপর একটি পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে এই শর্তে যে, ইরান আর কোনো হামলা চালাবে না। ট্রাম্প নিজেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলে এই সমঝোতা নিশ্চিত করেন।
তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার বা তেহরানের জাতিসংঘ মিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাগচি বলেছেন, যদি ইসরায়েল তার ‘অবৈধ আগ্রাসন’ এখনই বন্ধ করে, তাহলে ইরান আর পালটা জবাব দেয়ার কোনো ইচ্ছা রাখে না।
আরাগচি এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলেন, স্থানীয় সময় ভোর ৪টার মধ্যে ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ না করে, তাহলে ইরানের পাল্টা আক্রমণ চলতেই থাকবে।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলই যুদ্ধ শুরু করেছে, আমরা নয়। এখন পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি, তবে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হলে আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া থামাব।’
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ