রুল জারি হলেও প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী অধ্যাপক ইউনূস নিজে এমনভাবে ঘোষিত হতে ইচ্ছুক নন এবং সরকারও তাঁকে এ ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা সম্পর্কিত রুলের জবাব সময়মতো দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্রেস উইং। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
রাষ্ট্রীয় সংস্কারে ভূমিকা রাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেছেন। এর প্রেক্ষিতে সরকার গতকাল এক বিবৃতিতে প্রেস উইং জানিয়েছে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট থেকে যে রুল জারি করা হয়েছে, সেটি সরকারের নজরে এসেছে এবং আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর সরকার যথাসময়ে এই রুলের জবাব দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার স্পষ্ট করতে চায় যে, অধ্যাপক ইউনূস নিজে এমনভাবে ঘোষিত হতে ইচ্ছুক নন এবং সরকারও তাঁকে এ ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না। আবেদনকারী নিজ উদ্যোগে এই রিটটি দায়ের করেছেন বলে মনে হয় এবং কীসের ভিত্তিতে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে-তা পরিষ্কার নয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় সংস্কারে ভূমিকা রাখায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সোমবার হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। জনপ্রশাসন, মন্ত্রিপরিষদ, প্রতিরক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এ বছরের মে মাসে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এমদাদুল হক এই রিট করেছিলেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ