।। মুনিরা হাসান ।।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন শ্রম আইনে ‘গণিকাবৃত্তিকে বৈধ শ্রম হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান’-সংক্রান্ত একটি সুপারিশ উত্থাপন করেছে। এ প্রস্তাব দেশের সংবিধান, বিচারিক দৃষ্টিভঙ্গি, ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের পরিপন্থি হওয়ায় তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল স্টেকহোল্ডার হলো এ দেশের জনগণ। যেকোনো জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে গণিকাবৃত্তিকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। গণমানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে এমন প্রস্তাব উত্থাপন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধ ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
ইসলামে যিনা ও ব্যভিচার একটি শাস্তিযোগ্য পাপ এবং আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণকারী একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য। কুরআন এবং হাদিসসমূহে এটি উল্লিখিত রয়েছে। কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, যে কোন প্রকারের যৌন ক্রিয়াকলাপ যা বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত সম্পাদিত হয় সেগুলো যিনা বলে গণ্য হবে এবং তা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য সমানভাবে শাস্তিযোগ্য।
আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারের কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ ইরশাদ করেন- وَ لَا تَقۡرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَ سَآءَ سَبِیۡلًا ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। তা একটি অশ্লীল কাজ এবং খারাপ পন্থা।’ (সূরা বনি ইসরাঈল- ৩২)।
ব্যভিচারের শাস্তিও মারাত্মক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- اَلزَّانِیَۃُ وَ الزَّانِیۡ فَاجۡلِدُوۡا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنۡهُمَا مِائَۃَ جَلۡدَۃٍ ۪ وَّ لَا تَاۡخُذۡكُمۡ بِهِمَا رَاۡفَۃٌ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اِنۡ كُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۚ وَ لۡیَشۡهَدۡ عَذَابَهُمَا طَآئِفَۃٌ مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
‘(অবিবাহিত) ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশত করে বেত্রাঘাত করো। আল্লাহর আইন কার্যকর করার ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়ামায়া তোমাদেরকে যেন প্রভাবিত না করে, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাত দিনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে থাকো।
একদল মু’মিন যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে’। (সূরা আন নূর- ২)। আর বিবাহিত হলে তাদের শাস্তি হলো, কোমর পর্যন্ত মাটির নিচে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন- إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يُّرْفَعَ الْعِلْمُ ، وَيَثْبُتَ الْجَهْلُ، وَيُشْرَبَ الْخَمْرُ، وَيَظْهَرَ الزِّنَا
“কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, মূর্খতা ছেয়ে যাবে, (প্রকাশ্যে) মদ্য পান করা হবে এবং প্রকাশ্যে ব্যভিচার সংঘটিত হবে”। (সহীহ বুখারী, হাদিস- ৮০, সহীহ মুসলিম, হাদিস- ২৬৭১)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- বিচার দিবসে তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না ও তাদের পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হলো ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী দরিদ্র।
হযরত ইবন মাসউদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় গুনাহ কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। অথচ তিনি প্রত্যেক প্রাণীর স্রষ্টা। আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কী? তিনি বললেন, তোমার সন্তান তোমার সঙ্গে আহার করবে- এ আশঙ্কায় তাকে হত্যা করা। আমি আবার আরজ করলাম, তারপর কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে তোমার ব্যভিচার করা। (সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম)।
মায়মুনাহ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন- لاَ تَزَالُ أُمَّتِيْ بِخَيْرٍ مَا لَمْ يَفْشُ فِيْهِمْ وَلَدُ الزِّنَا، فَإِذَا فَشَا فِيْهِمْ وَلَدُ الزِّنَا؛ فَأَوْشَكَ أَنْ يَّعُمَّهُمُ اللهُ بِعَذَابٍ
“আমার উম্মত সর্বদা কল্যাণের ওপর থাকবে যতক্ষণ না তাদের মধ্যে জারজ সন্তানের আধিক্য দেখা না দিবে। যখন তাদের মধ্যে জারজ সন্তান বেড়ে যাবে, তখনই আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ব্যাপক আযাব দিবেন”। (সহীহুত তারগীবী ওয়াত তারহীবী, হাদিস- ২৪০০)।
আল্লামা জাজিরি (রহ.) তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ব্যভিচার ও এর প্রভাবের ক্ষতি অগণিত। এতে চারিত্রিক, ধর্মীয়, শারীরিক, সামাজিক, পারিবারিক সর্বোপরি পাপ কাজে জড়িয়ে পাপিষ্ট হওয়ার ক্ষতি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারীর দোয়া কবুল করেন না। তার থেকে ঈমানের নূর চলে যায়। যেখানে ব্যভিচার চলে, সেখানে রহমতের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যভিচার চুরি, হত্যা ইত্যাদি থেকেও মারাত্মক। ব্যভিচারের ফলে এইডসের মতো কঠিন রোগ হয়।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
কতোটা হতাশা, দুঃখ ও ক্ষোভের বিষয় যে, ৯২ ভাগ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশে এই জঘন্য অপকর্ম ও কবীরা গুনাহের কাজকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নিতে পারে? নারী কমিশন এতো বড় দুঃসাহস কী করে হলো, তাদের খুঁটির জোর কোথায় সেটাও ভাবার বিষয়। দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল, ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনেরা নারী কমিশনের এই প্রতিবেদন বাতিল করতে বারংবার দাবি জানানোর পরও অন্তর্বর্তী সরকার এখনো এ বিষয়ে নির্বিকার। সরকারকে অবশ্যই বুঝতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে চলতে পারবে, কিন্তু ধর্মের উপর আঘাত কোনভাবেই মেনে নিবে না। নারী কমিশনের দুর্গন্ধযুক্ত এই প্রতিবেদন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলে সাধারণ জনতার ক্ষোভ দাবানলের মতো জ¦লে ওঠতে সময় লাগবে না। সুতরাং সরকারের উচিত ধর্ম, সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী এই প্রতিবেদন বাতিলের পাশাপাশি নারী কমিশনকে বাতিল করে প্রতিনিধিত্বমূলক নতুন কমিশন গঠন করা।
বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলোয় অনুচ্ছেদ ১৮(২)-এ বলা হয়েছে, ‘গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হলো গণিকাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। যদিও অনুচ্ছেদ ৮(২) অনুযায়ী দ্বিতীয় ভাগের মূলনীতিগুলো বিচারিকভাবে বলবৎযোগ্য নয় অর্থাৎ রাষ্ট্রকে এই মূলনীতি বাস্তবায়নে বাধ্য করা যাবে না, তবে এই মূলনীতিবিরোধী কোনো কাজ করলে তা অবশ্যই সংবিধান লঙ্ঘন হবে এবং তখন সেটি নিরোধ করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রকে বিচারিকভাবে বাধ্য করা যাবে। কুদরত-ই-এলাহী পনির মামলায় বিচারক নাইমুদ্দিন আহমেদের রায়ে এবং ড. কামাল হোসেনের যুক্তিতে এই গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপিত হয়।
ড. কামাল হোসেন যুক্তি দেন, সংবিধানের এই মূলনীতিগুলো হবমধঃরাবষু বহভড়ৎপবধনষব, অর্থাৎ রাষ্ট্র যদি ওই নীতিমালাবিরুদ্ধ কোনো আইন প্রণয়ন করে বা কার্যক্রম গ্রহণ করে, তাহলে আদালত তা বাতিল ঘোষণা করতে পারেন। এই যুক্তির প্রেক্ষিতে স্পষ্ট হয় যে, গণিকাবৃত্তিকে বৈধ শ্রম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।
শুধু সাংবিধানিক যুক্তিতে নয়, বাংলাদেশের সামাজিক মূল্যবোধেরও বিরুদ্ধে যায় এই প্রস্তাব। এ দেশের সমাজবিন্যাস গড়ে উঠেছে ধর্মীয়, পারিবারিক ও নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে। ইসলাম ধর্মে গণিকাবৃত্তিকে হারাম ঘোষিত করা হয়েছে, অন্য ধর্মগুলোতেও এটি নিষিদ্ধ ও ঘৃণিত হিসেবে বিবেচিত। তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গণিকাবৃত্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা দেওয়া একান্তই অগ্রহণযোগ্য।
এ ছাড়া সমাজের নৈতিক কাঠামোর দিক থেকেও এটি এক ভয়াবহ সিদ্ধান্ত হতে পারে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নৈতিক বিকাশে এই প্রস্তাব একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করে। গণিকাবৃত্তিকে শ্রম হিসেবে বৈধতা দিলে তা যৌনতার বাণিজ্যিকীকরণকে উৎসাহিত করবে, যা সমাজে ভোগবাদী মানসিকতা ও পারিবারিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি করবে। নারী পাচার ও শিশু নিপীড়নের পথ প্রশস্ত করবে এবং সমাজে নারীর মর্যাদাহানির মাধ্যমে গভীর সংকট সৃষ্টি।
আমাদের সমাজে এখনো নারীকে নানাভাবে বঞ্চনা, বৈষম্য ও সহিংসতার মুখোমুখি হতে হয়। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নারীকে শুধু ভোগের বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করার অপসংস্কৃতি আরো বৈধতা পাবে, যা নারীর ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদা ও সামাজিক অবস্থানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। একদিকে রাষ্ট্র নারী অধিকার ও নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলবে, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীকে বিক্রির পণ্য হিসেবে বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব রাখবে- এটি এক ভয়াবহ দ্বিচারিতা। এমন অবস্থান নারীকে অবমাননার দিকে ঠেলে দেবে এবং সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যের পথকে আরো প্রশস্ত করবে। ফলে সমাজে এক গভীর নৈতিক ও মানবিক সংকটের সৃষ্টি হবে, যার প্রভাব পড়বে পরবর্তী প্রজন্মের মূল্যবোধ গঠনের ওপরও।
এসব বিবেচনায়, গণিকাবৃত্তিকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বদলে রাষ্ট্রের উচিত এই পেশা থেকে তাদের বের করে আনা এবং ধীরে ধীরে দেশ থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণিকাবৃত্তি সম্পূর্ণ নিরোধ করা। বর্তমানে যারা এই পেশায় জড়িত, তাদের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের পরিবার ও সমাজে পুনঃপ্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তারা সমাজের স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসতে পারেন। যারা ইতোমধ্যে এই পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা জরুরি।
বিকল্প হিসেবে তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, হস্তশিল্প, গার্মেন্টস বা কৃষি ভিত্তিক কাজে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিকল্প জীবিকা গড়ে তোলা যেতে পারে। পাশাপাশি একটি ন্যায়ভিত্তিক পুনর্বাসন আইন প্রণয়ন সময়োপযোগী। বিশেষায়িত সামাজিক নিরাপত্তা আইন ও পুনর্বাসন আইন প্রণয়ন করে যৌনকর্মে জড়ানো ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং বিকল্প জীবন নিশ্চিত করা যেতে পারে। গণিকাবৃত্তির সামাজিক ও ব্যক্তিগত ক্ষতিকর দিক; বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।
অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য অতীব জরুরি, অবিলম্বে ধর্ম, সমাজ ও মানবিকতাবিরোধী নারী কমিশনের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গণিকাবৃত্তি নির্মূলের উদ্দেশ্যে একটি মানবিক, নৈতিক ও টেকসই রূপরেখা প্রণয়ন করা। পেশা হিসেবে স্বীকৃতি নয়, বরং পুনর্বাসনের মাধ্যমে এই ঘৃণ্য পেশাকে সমাজ থেকে নির্মূল করাই হবে সত্যিকার ‘সংস্কার’ এবং নারীর মর্যাদাকে সমুন্নত করা। একই সাথে ধর্ম ও সামাজিক চিন্তা-চেতনাবিরোধী বিদ্যমান নারী কমিশনকে বাতিল করে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। আশা করি, সরকার এই ইস্যুতে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, রওজাতুস সালিহাত মহিলা মাদ্রাসা, উত্তরা, ঢাকা।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ