জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মর্যাদাপূর্ণ এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সাইপ্রাস ও ফিলিস্তিন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বন্ধুপ্রতিম দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা অনেক আগে এটার প্রতিযোগী দিয়েছি।
আমাদের প্রতিযোগিতা ছিল সাইপ্রাসের সঙ্গে। কিন্তু ফিলিস্তিন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে অনেক পরে এটাতে যোগ দিয়েছে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা চার বছর আগের সিদ্ধান্ত। এই সরকার সেটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমরা অনেক আগে এটার প্রতিযোগী হয়েছি এবং আমাদের প্রতিযোগিতা ছিল সাইপ্রাসের সঙ্গে। অনেক পরে ফিলিস্তিন এটাতে যোগ দিয়েছে এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। সাধারণত, যোগাযোগ করার বিষয়টি স্বাভাবিক।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২০২৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সাইপ্রাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি।
নির্বাচিত হলে তৌহিদ হোসেন ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ পদে নির্বাচিত হলে তিনি দ্বিতীয় বাংলাদেশি হবেন, যিনি সাধারণ পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, ১৯৮০-এর দশকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এ পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
উম্মাহ২৪ডটকম:আইএএ