কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তি পেতেই হবে। তিনি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে আল-আনসারি বলেন, নেতানিয়াহুর ভাষা ও নীতিতে তারা অভ্যস্ত যেখানে প্রতিটি ব্যর্থতার পরই নিজের নীতিকে ঢাকতে ‘বার্তা’ দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা নেতানিয়াহু ‘একটি বার্তা’ হিসেবে উল্লেখ করলে কাতার তা সমালোচনা করে। আল-আনসারি বলেছেন, “আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কারণে তাকে শাস্তি পেতে হবে।”
রোহিঙ্গা ও গাজা ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা ‘বাস্তবসম্মত’ মনে হচ্ছে না। তাঁর মতে, ইসরায়েলি নীতির ধারা ও সমাধানচেষ্টা নেতা-স্তরের কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলোর ওপরও জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
আল-আনসারি আরও বলেন, কাতার এখন মূলত নিজের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ রাখা, গাজায় চলমান হামলার জবাব দেওয়া, ভবিষ্যতে একই ধরনের ঘটনায় পুনরাবৃত্তি রোধ ও দায়ীদের বিচারের চেষ্টা—এই বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব মানবিক ও নিরাপত্তাজনিত ইস্যুগুলো বহির্বিশয়ের রাজনৈতিক আলোচনার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে আন্তর্জাতিক সূত্রে বলা হয়েছে যে ব্যাপক সংখ্যক লোক নিহত হয়েছেন; এই ধরনের পরিসংখ্যান ব্যবহার করলে অনুগ্রহ করে সর্বশেষ বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে যাচাই করে সংযুক্ত করুন।
উম্মাহ২৪ডটকম:আইএএ