ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নানাবঅনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, অভিযোগগুলোর সত্যতা প্রমাণিত হলে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার এক যৌথ বিবৃতিতে এ অবস্থান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ডাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির যেসব তথ্য-প্রমাণ প্রকাশিত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা উচিত।
সাদা দল মনে করে, এই প্রতিবেদন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। একইসঙ্গে মুক্তবুদ্ধির চর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
সাদা দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনে যেসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে ঢাবি প্রশাসনকে অবিলম্বে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। অভিযোগগুলোকে ভুল প্রমাণ করার দায়িত্বও প্রশাসনের ওপর বর্তায়।
এজন্য প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর বা বাইরে থেকে যোগ্য সদস্য নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে।
তারা আরও বলেন, তদন্তে কারচুপির প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় এই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।
সাদা দলের বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়, ‘‘যদি অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত না হয়, তবে ২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচনও ঢাবির শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের প্রহসনমূলক ও কলঙ্কিত নির্বাচন হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে—যেমন অতীতে ফ্যাসিবাদের আমলে অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের মূলে আঘাত হানা হয়েছিল।’’
উম্মাহ২৪ডটকম:আইএএ