Home রাজনীতি দেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, ষড়যন্ত্রকারীরা উৎখাত হবে:...

দেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, ষড়যন্ত্রকারীরা উৎখাত হবে: আল্লামা কাসেমী

গতকাল (৫ আগস্ট) জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব মিলনায়তনে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ওলামায়ে কেরামের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর জেলা জমিয়তের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগরতলা বিমানবন্দর এর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে এক কিলোমিটার জমি চেয়েছে বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের এই জমি চাওয়ার প্রেক্ষিতে যেভাবে আমাদের সচিবালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা ভারতীয় এই প্রস্তাবের স্বপক্ষে একের পর এক যুক্তি তুলে ধরছেন, তা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য গভীর উদ্বেগজনক। আমরা ভেবে কুল পাই না, এসব কর্মকর্তা সচিবালয়ে বসে দেশের স্বার্থে কাজ করছেন, নাকি ভারতীয় স্বার্থে?

আল্লামা কাসেমী বলেন, দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি সোনার চেয়েও দামী। দেশ কারো দান নয় আবার করো সম্পদ নয়। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশের ইঞ্চি মাটি। এর থেকে বিন্দু পরিমান ভূমিও কাউকে দেওয়ার দু:সাহস দেখানো হলে রক্তের গঙ্গা বয়ে যাবে। দেশের মানুষ ফোটা ফোটা রক্ত দিয়ে হলেও প্রতি ইঞ্চি মাটি রক্ষা করবে। দেশ নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করতে চাইলে, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের আখের গোছাতে চাইলে ষড়যন্ত্রকারীরাই উৎখাত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ ও মাটি নিয়ে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস এখন স্পষ্ট। জনগণকে দেশের মাটি ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হেফাজতে সচেতন, সরব, সোচ্চার ও আত্মত্যাগী হতে হবে। শক্তিশালী দেশ গড়তে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এবং শান্তি কায়েম করতে দুর্বার কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞানের নাম দিয়ে দেশের মানুষের ঈমান-আক্বিদা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র থেকে পাঠ্যপুস্তকে বিবর্তনবাদ ঢুকানো হয়েছে। এটা ইহুদীবাদি ষড়যন্ত্র। দেশের মানুষকে বোকা বানাতেই বিজ্ঞান তত্ত্বের কথা বলা হচ্ছে। মূলত: বিবর্তনবাদের খোলসে জাতির ঈমান হরণের মহাষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন চলছে। এই বিবর্তন শিক্ষা অবশ্যই বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এই কুফরী দর্শনের শিক্ষার বিরুদ্ধে গণজোয়ার তৈরি হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের আদর্শ হচ্ছে দারুল উলুম দেওবন্দ সুতরাং আমাদের জন্য উত্তম হবে পরিপূর্ণ দারুল উলুম দেওবন্দকে অনুসর অনুকরন করা। দারুল দেওবন্দ শুধুমাত্র দরস তাদরিসের নাম নয়। বরং দেওবন্দ তো হচ্ছে তাজকিয়ায়ে নফস, দাওয়াত ও তাবলীগ, সিয়াসি জিন্দেগীর নাম।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সকলকে ইসলাম ও মুসলমানের তাহজিব তামাদ্দুন রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। মাটিও মানুষের প্রয়োজনে সবাইকে সঙ্গ বদ্ধ কাজ করতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সাহেব বলেন, বর্তমান সময়ের দাবি হচ্ছে উলামায়ে কেরামের একতা। আমরা সকল ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ ভাবে জমিয়তের ছায়াতলে কাজ করা দরকার।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার, সহ সভাপতি মাও.ছলিমুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ, মুফতি ত্বোহা খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক বাদশা, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মইনুদ্দিন মানিক, সহ আরো নেত্রীবৃন্দ।

সভা পরিচালনা করেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি শাব্বির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার আহমদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেয়ামতুল্লাহ।

ট্রাম্প যামানায় যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতসন্ত্রাস বা বর্ণবাদের ভয়াবহ উত্থান!