Home জাতীয় সামাজিক স্বার্থ নিয়েও আলেমদেরকে কথা বলতে হবে: আল্লামা জুনায়েদ আল-হাবীব

সামাজিক স্বার্থ নিয়েও আলেমদেরকে কথা বলতে হবে: আল্লামা জুনায়েদ আল-হাবীব

আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যক্তিত্ব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি খতীবে বাঙাল আল্লামা জুনায়েদ আল-হাবীব বলেন, মুসলমানদের বর্তমান দুদর্শা কাটিয়ে উঠতে বৃহত্তর উম্মাহ গড়ার বিকল্প নেই। আর বৃহত্তর উম্মাহ গড়তে হলে অবশ্যই ঈমান-আক্বীদার পাশাপাশি আদর্শ নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক সংকট নিয়েও আলেমদেরকে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, কওমী মাদরাসা সমূহ হচ্ছে দ্বীনের মারকাজ। এখান থেকেই আদর্শিক শিক্ষা দিয়ে আদর্শ নাগরিক ও সুস্থ সমাজ গড়ার শিক্ষা দেওয়া হয়। সকল ঈমানদার মুমিনের উচিত, দ্বীনি মারকাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ও সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। গতকাল (১২ ফেব্রুয়ারী) সোমবার সুনামগঞ্জ দিরাই ৩ দিন ব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)এর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করা মুমিনদের জন্য অপরিহার্য। রাসূলের সুন্নাত ও জীবন পথনির্দেশিকা থেকে মুসলমানরা সরে যাওয়ার কারণেই বর্তমানে নানাভাবে তারা দুর্দশাগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি বৃহত্তর উম্মাহ গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাতিল ও ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তি নানাভাবে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ জিইয়ে রাখতে ও বৃদ্ধি করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আজ মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সকল ধর্মের মানুষ একতাবদ্ধ, অথচ আমরা মুসলমানরা এক হতে পারছি না। আমাদের মধ্যে দিন দিন বিভক্তির হার বেড়েই চলেছে। এর একটাই কারণ, আমরা দ্বীন থেকে সরে যাচ্ছি। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের আদেশ-নিষেধকে শক্তভাবে আঁকড়ে রেখে জীবন পরিচালনা করছি না।

তিনি বলেন, বৃহত্তর উম্মাহ গড়তে হলে ব্যক্তি স্বার্থের চিন্তা বাদ দিয়ে ইসলাম ও জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। ব্যক্তিগত লোভ-লালসা পরিত্যাগ করে উম্মাহ’র স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। গীবত ও পরনিন্দা পরিত্যাগ করতে হবে। আর সর্বস্তরে যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে হতাশার আরেকটা দিক হচ্ছে, দক্ষ নেতৃত্বের অভাব। সমাজ, সংগঠন ও দলের মধ্যে স্বাধীন মতামতের চর্চা সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। আদর্শ থেকেও ব্যক্তিতুষ্টি বেড়ে গেছে। এসব পরিত্যাগ ছাড়া কখনোই বৃহত্তর উম্মাহ গড়া যাবে না।

আল্লাহ জুনায়েদ আল-হাবীব বলেন, সামাজিক কর্মকান্ডে আলেম-উলামা ও ইসলামপন্থীদেরকে আরো বেশী সম্পৃক্ত হতে হবে। ঈমান-আক্বীদা ও ইসলামী বিষয়ে সতর্ক-সচেতন থাকার পাশাপাশি সামাজিক ও নাগরিক স্বার্থ নিয়েও আলেমদেরকে সোচ্চার তৎপরতা ও সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে আদর্শ নাগরিক ও সুস্থ সমাজ গড়তে কাজ করাও ইসলামের মধ্যেই। সুতরাং মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সামাজিক সংকট নিয়েও আলেমদেরকে কথা বলতে হবে।