Home ইসলাম যেসব বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন একজন মুমিনের জন্য অপরিহার্য

যেসব বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন একজন মুমিনের জন্য অপরিহার্য

।। মাওলানা তাজুল ইসলাম আশরাফী ।।

ঈমানদার ব্যক্তিকে মুমিন বলা হয়। মু’মিনের জন্যে অপরিহার্য বিষয়াবলী আলোচনার পূর্বে ‘ঈমান’ কাকে বলে তা জেনে নেয়া প্রয়োজন। ‘ঈমান’ এর শাব্দিক অর্থ- অন্তরে বিশ্বাস স্থাপন তথা আস্থা জ্ঞাপন করা।

হযরত আয়েশা (রাযি.) ও অধিকাংশ উলামাদের মতে পরিভাষায় ‘ঈমান’ হলো- প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এবং তিনি আল্লাহর পক্ষ হতে যে দ্বীন ও শরীয়ত নিয়ে এসেছেন তা সত্য বলে বিশ্বাস করার নাম ঈমান। ইমাম আবু হানিফা (রাহ.) বলেন, এতদ্বিষয়ে অন্তরের বিশ্বাস ও মৌখিক স্বীকৃতির একত্রিকরণ হলো ঈমান।

ইমাম মালেক, শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ (রাহ.)এর মতে ঈমান হলো- অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা বাস্তবায়নের সমষ্টিগত রূপ দানের নাম। মোটকথা ঈমান হলো হুযর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব বিষয়াদি শরীয়তের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং আল্লাহ তাআলা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যেসব বিষয়ে অবগত করিয়ে দিয়েছেন সেসব বিষয়গুলোকে বিনা যুক্তিতে মনেপ্রাণে মেনে নেয়া।

এবার মূল বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। জগতের অধিকাংশ মানুষই নিজেকে ঈমানদার তথা মু’মিন বলে দাবী করে থাকে। অথচ ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত অনেক বিষয়ে অনেক লোককেই অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যায়। শরীয়তের অন্তর্ভুক্ত যে কোন বিষয়কে অবিশ্বাস করে কোন অবস্থাতেই ঈমানদার হওয়া যায় না। উক্ত আলোচনায় একজন মু’মিনের জন্যে অত্যাবশ্যকীয় ঈমানের মৌলিক কয়েকটি বিষয় স্থান পেয়েছে।

(১) আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসঃ প্রথমেই একজন মু’মিনের জন্যে যা অপরিহার্য সেটা হলো আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন। যেমন- আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি আসমান, যমীন, ফেরেশ্তা, মানব-দানব, চন্দ্র-সূর্য, আরশ-কুরসী, লৌহ-কলম, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদি সবই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ অনাদি ও অনন্ত, সকলের পূর্ব হতে আছেন, তাঁর কোন শেষ নেই। তিনি চিরঞ্জীব এবং সকল কিছুর উপর তাঁর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা রয়েছে। সৃষ্টি জগতে তাঁর অবিদিত কিছুই নেই। তিনি সব কিছুই দেখেন ও জানেন। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী ও মুহ্তাজ নন, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ দেয়নি জন্ম। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান নেই। আল্লাহর অনুরূপ কিছুই হতে পারে না। তিনি সর্বাপেক্ষা বড় এবং সকল হতে পৃথক। তিনি আহার ও নিদ্রা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত। আল্লাহ মানব-দানব ও সকল সৃষ্টিকুলের হিসাব রাখেন এবং সবার অন্তরের বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত।

তিনিই একমাত্র ইবাদতের যোগ্য। অর্থাৎ অন্য কারো ইবাদত করা যাবেনা। তিনি মানুষের ভাল-মন্দের অধিকারী এবং আল্লাহ সব রকমের দোষ-ত্র€টি থেকে একেবারেই মুক্ত। যে তাঁর সামান্য ইবাদতও করবে তিনি তার সাওয়াব দেন। আল্লাহ ন্যায় বিচারক ও হাশরের মাঠের মালিক। ক্বিয়ামত দিবসে তিনিই একমাত্র চিরঞ্জীব। সৃষ্ট জীবের ন্যায় তিনি হাত, পা, কান ইত্যাদি আকৃতি থেকে মুক্ত। তিনি আলেমুল গায়েব ও অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে পরিজ্ঞাত। মানুষকে রাজা বা প্রজা বানানো একমাত্র তাঁরই হস্তে নির্ধারিত।

(২) ফেরেশ্তা সম্পর্কে ঈমানঃ আল্লাহ তাআলা কিছু সংখ্যক জীব নূর দ্বারা সৃষ্টি করে তাদেরকে আমাদের চর্ম চক্ষুর আড়ালে রেখেছেন। তাদেরকে ‘ফেরেশ্তা’ বলা হয়। অনেক কাজ তাদের উপর ন্যস্ত আছে। তারা কখনো আল্লাহর হুকুমের খেলাফ কোন কাজ করে না। তাদের সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। কিছু সংখ্যক ফেরেশ্তা মাতৃগর্ভে সন্তানের দায়িত্বে নিয়োজিত আর কিছু সংখ্যক আদম সন্তানের রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। কিছু সংখ্যক ফেরেশ্তা মানুষ মরার পর সওয়াল-জওয়াব করার দায়িত্বে নিয়োজিত। সমস্ত ফেরেশ্তাদের মধ্যে চারজন ফেরেশ্তা আল্লাহর মুকাররব তথা অতি নৈকট্য লাভকারী- যথাক্রমে হযরত জিবরাঈল (আ.), মিকাঈল (আ.), ইসরাফীল (আ.) ও হযরত আজরাঈল (আ.)। মোটকথা আল্লাহ তাআলা তাদের যে কাজে নিয়োজিত করে দিয়েছেন তারা সে কাজেই লিপ্ত আছেন।

(৩) কিতাব সম্পর্কে ঈমানঃ আল্লাহর পক্ষ হতে নবীগণের উপর ছোট বড় অনেক কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে। তন্মধ্যে বড়গুলোকে কিতাব ও ছোটগুলিকে ছহীফা বলা হয়।

পয়গাম্বরগণ যাতে নিজ নিজ ক্বওম তথা জাতিকে ধর্মের কথা শিক্ষা দিতে পারেন, সে জন্যে আল্লাহ তাআলা এসব কিতাব তাঁদের উপর নাযিল করেছেন। হযরত জিব্রাঈল (আ.)এর মাধ্যমে এ কিতাবসমূহ নাযিল করা হয়েছে। প্রেরিত এ সমস্ত কিতাবগুলোর মাঝে চারটি কিতাব অতি প্রসিদ্ধ। (১) তাউরাত হযরত মূসা (আ.)এর উপর নাযিল কৃত (২) যাবর হযরত দাঊদ (আ.)এর উপর নাযিল কৃত (৩) ইঞ্জীল হযরত ঈসা (আ.)এর উপর নাযিল কৃত এবং (৪) কুরআন শরীফ, যা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল কৃত।

মহাগ্রন্থ কুরআনই সর্বশেষ আসমানী কিতাব। কুরআনের পর আর কোন কিতাব আল্লাহর তরফ হতে নাযিল হয়নি, হবেও না। ক্বিয়ামত পর্যন্ত কুরআন শরীফের হুকুমই চলতে থাকবে। অন্যান্য কিতাবগুলোতে পথভ্রষ্ট লোকেরা অনেক কিছু পরিবর্তন করে ফেলেছে, কিন্তু কুরআন শরীফ হিফাযতের ভার স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই নিয়েছেন। অতএব, একে কেউ পরিবর্তন করতে পারবেনা।

(৪) নবী-রাসূল সম্পর্কে আক্বীদাঃ আল্লাহ তাআলা বিশ্ববাসীর হিদায়াতের জন্যে অসংখ্য নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন। তারা আগমন করেছেন জাতিকে সৎপথ দেখাবার জন্যে। তাঁরা সবাই আল্লাহ তাআলার বান্দা ও সকল নবীই মানুষ ছিলেন। কোন নবীই মিথ্যার ধুম্রজালে আবদ্ধ হননি, সবাই ন্যায়পরায়ণ ও সত্যবাদী ছিলেন। পয়গাম্বরদের মধ্যে সর্বপ্রথম ছিলেন হযরত আদম (আ.) এবং সর্বশেষ ছিলেন আমাদের নবীয়ে রহমত হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

অন্যান্য সব পয়গাম্বর এ দু’জনের মধ্যবর্তী সময়ে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে কোন কোন পয়গাম্বরের নাম অনেক প্রসিদ্ধ। যেমন- হযরত নূহ (আ.), হযরত ইসমাঈল (আ.), হযরত ইয়াকূব (আ.), হযরত দাঊদ (আ.), হযরত সুলাইমান (আ.), হযরত আইয়ুব (আ.), হযরত মূসা (আ.), হযরত হারুন (আ.), হযরত যাকারিয়া (আ.), হযরত ইয়াহ্ইয়া (আ.), হযরত ইলিয়াছ (আ.), হযরত লত (আ.), হযরত যুলকিফল (আ.), হযরত ছালেহ্ (আ.) ও হযরত শোয়াইব (আ.) প্রমুখ।

আরও পড়তে পারেন-

উল্লেখ্য যে, আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কেউ নবী হবেন না বা আসবেন না ক্বিয়ামত পর্যন্ত। তদুপরি যদি কেউ নবী দাবী করে, তাহলে সে অবশ্যই মিথ্যাবাদী, পথভ্রষ্ট ও চরম ভণ্ড-প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত হবে। নবীদের জ্ঞানের উৎস হলো অহী- তথা আল্লাহ প্রদত্ত বাণী। গায়েব জানানো ব্যতীত তাঁরা অদৃশ্য সম্পর্কে কোন খবর জানতেন না। সর্বোপরি তাঁরা ছিলেন নি®žাপ ও গুনাহ্মুক্ত এবং নবী-রাসূলগণের সকলেই নিজেদের উপর অপির্ত দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছেন।

(৫) সাহাবায়ে কিরাম (রাযি.) সম্পর্কে বিশ্বাসঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালামের জীবদ্দশায় যারা ঈমান এনেছেন এবং স্বচক্ষে হুযর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছেন, তাঁদেরকে সাহাবী বলা হয়। তাঁদের উপর আল্লাহ তাআলা পুরোপুরিভাবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সাহাবীদের অনেক মর্যাদার কথা কুরআন, হাদীসে বর্ণিত আছে। তাঁদের সকলের ব্যাপারে সু-ধারণা রাখতে হবে এবং তা হলো ঈমানের অপরিহার্য দাবী। তাঁদের সম্পর্কে কোন কলহ-বিবাদের কথা শুনলে মনে করতে হবে যে, তা ভুলবশতঃ হয়ে গেছে।

কারণ, মানব মাত্রই ভুলত্র€টি হয়ে থাকে। সুতরাং তাঁদের কোন নিন্দাবাদ করা যাবেনা। তাঁদের ব্যাপারে নাক ছিট্কানো ঈমানের অপূর্ণাঙ্গতার পরিচায়ক। সাহাবীদের মধ্যে চারজন সাহাবী সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার অধিকারী। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযি.), তিনি হুযর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর প্রতিনিধি হিসাবে দ্বীন-ইসলাম রক্ষার সুবন্দোবস্ত করেন তাই তাঁকে প্রথম খলীফা বলা হয়। তারপর হযরত উমর (রাযি.) দ্বিতীয় খলীফা হন। পর্যায়ক্রমে হযরত উসমান (রাযি.) ও হযরত আলী (রাযি.) তৃতীয় ও চতুর্থ খলীফা হয়েছিলেন।

সাহাবীদের মর্তবা এত উচ্চ পর্যায়ের যে, একজন বড় হতে বড় অলী একজন ছোট হতে ছোট সাহাবীর সমতুল্য হতে পারেনা।

(৬) ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমানঃ যেদিন সমস্ত মানুষ ও প্রাণী মরে যাবে এবং সমগ্র দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে, পাহাড়-পর্বত তুলার ন্যায় উড়তে থাকবে, তারকাসমূহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে- মোটকথা যেদিন সমস্ত মাখলুক ধ্বংস হয়ে যাবে সেই দিনকে ক্বিয়ামতের দিন বা মহাপ্রলয়ের দিন বলা হয়। সেই ক্বিয়ামত অবশ্যই ঘটবে। পবিত্র কুরআনে বহুবার ক্বিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আলোচনা করা হয়েছে। তবে মূল ক্বিয়ামতের পূর্বে কিছু আলামত প্রকাশ পাবে যা হবে ক্বিয়ামত আগমনের নিকটবার্তা। তন্মধ্যে একটি আলামত বা নিদর্শন হলো- ইমাম মাহ্দী (আ.) আগমন করবেন এবং অতি ন্যায়পরায়ণতার সাথে রাজত্ব করবেন।

এমনিভাবে কানা দাজ্জালের আবির্ভাব হবে, সে দুনিয়ার মধ্যে বড় ফিত্না-ফাসাদ সৃষ্টি করবে। হযরত ঈসা (আ.) আসমান হতে অবতরণ করে কানা দাজ্জালকে হত্যা করবেন। আরেকটি আলামত হলো- ইয়াজুজ-মা’জুজ (এক বিশেষ জাতি) সমস্ত দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে, সব কিছু তছনছ করে দিবে। অবশেষে খোদার গযবে ধ্বংস হবে। এমনিভাবে এক অদ্ভূত প্রাণী মাটি ভেদ করে বের হবে এবং মানুষের সাথে কথা বলবে। সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদয় হবে আবার পশ্চিম দিকেই অস্ত যাবে। কুরআন শরীফ উঠে যাবে এবং অল্পদিনের মধ্যে সমস্ত মুসলমান মরে যাবে। শুধু কাফিররাই থেকে যাবে। তাদের উপর ক্বিয়ামত কায়েম হবে। এরকম আরো অনেক আলামত আছে যা ক্বিয়ামত নিকট কালে ঘটবে বা প্রকাশ পাবে। সুতরাং ক্বিয়ামত যে হবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। ঈমান বলতেই এই ক্বিয়ামতের উপর বিশ্বাস স্থাপন নিতান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

(৭) বেহেশত ও দোযখ সম্পর্কে আক্বীদাঃ পৃথিবীটা হল আখেরাতের ক্ষেত স্বরূপ। কৃষক যেমন যমীনে মেহনত করার পর ভাল ফসলের আশা করে, তেমনিভাবে মানবের জন্যেও দুনিয়াটা হল কৃষকের যমীনের ন্যায়, যদি দুনিয়ায় ঈমান-আমল যথাযথ রেখে পরকালে যাত্রা করতে পারে, তাহলে তার জন্যে রয়েছে অফুরন্ত শান্তির স্থান। আর সেটা হলো, বেহেশত। যেখানে রয়েছে ইচ্ছানুযায়ী সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও ভোগ-বিলাস। আর তা কখনো শেষ হবে না। বেহেশত আল্লাহর এক নিয়ামত আর সে বেহেশ্তের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো আল্লাহর দিদার লাভ।

আর যদি অলস কৃষকের ন্যায় যমীনে আগাছা লাগিয়ে রাখে তথা ঈমান ও আমলবিহীন যিন্দেগী করে অভাগার মত পরপারে যাত্রা করে, তাহলে তার জন্যে রয়েছে শাস্তির আবাসস্থল জাহান্নাম। অর্থাৎ- দোযখ। যাতে রয়েছে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট। দুনিয়ার আগুনের চেয়ে সত্তর গুণ তাপ বর্ধিত অগ্নিকুণ্ড, যার মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে খোদাদ্রোহী, পাপী, নাফরমান, বেআমল ও কাফির-মুশরিকদেরকে। হ্যাঁ, যদি ঈমান থাকে তাহলে পাপ কার্যের ফলভোগ করার পর বেহেশত স্থান দেওয়া হবে। আর কাফির-মুশরিকরা চিরস্থায়ী বাসিন্দা হবে সেই দোযখের।

সুতরাং ঈমানদার নর-নারীকে অবশ্যই উপরে আলোচিত বিষয়াদির প্রতি নিরেট ও নির্ভেজাল সন্দেহমুক্ত আক্বীদা রাখতে হবে। সামান্য সংশয়ের সৃষ্টি হলে ঈমানে কসুরী এসে যাবে। আর অপূর্ণ ঈমান নিয়ে পরকালে ছাড় পাওয়া কখনো সম্ভব নয়। আল্লাহ আমাদেরকে পূর্ণ ঈমানদার হওয়ার তাওফীক দান করুন।

লেখক: শায়খুল হাদিস- তিলপাড়া মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, খিলগাঁও, ঢাকা ও মিফতাহুল উলূম মাদ্রাসা, বাড্ডা, ঢাকা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক- সানমুন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, নয়াপল্টন, ঢাকা।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।