Home রাজনীতি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ইসলামবিদ্বেষী নতুন ড্রেসকোড বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আল্লামা কাসেমী

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ইসলামবিদ্বেষী নতুন ড্রেসকোড বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আল্লামা কাসেমী

জমিয়ত মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

উম্মাহ প্রতিবেদক: রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের ড্রেসকোড থেকে মেয়েদের স্কার্ফ ও ছেলেদের টুপি ব্যবহারের পূর্বের বিধি পরিবর্তন করায় প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

আজ (১৮ জানুয়ারী) শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ইসলামী ভাবাদর্শ ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য সর্বত্র বেশ সুনাম ছিল। এতদিন বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাথায় নিয়মিত টুপি থাকতো এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের গায়ে ওড়না জড়িয়ে আর মাথায় স্কার্ফ বেঁধে স্কুলে আসতো। শিক্ষকদের অনেকে পাঞ্জাবী-টুপি ব্যবহার করতেন। ধর্মভীরু অভিভাবকগণও এ কারণেই সন্তানদেরকে এখানে স্বস্তি নিয়ে ভর্তি করাতেন।

তিনি বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে স্কুল কর্তৃপক্ষ হঠাৎ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ইচ্ছার বিপরীতে নতুন ড্রেসকোড জারি করেছে। যেখানে ছাত্রীদের জন্য হিজাবের বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে। ওড়না ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ছাত্রদের জন্য টুপি ব্যবহারের যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাধ্যবাধকতাও তুলে নিয়েছে। শিক্ষকদের পাঞ্জাবী পরায় নিরুৎসাহিত করেছে। সব দিক থেকেই ইসলামী সংস্কৃতি ও জীবনাচারের উপর বড় রকমের আঘাত ছাড়া এটা কিছু নয়।

তিনি বলেন, দৃশ্যত: ইসলামবিদ্বেষ থেকেই কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ইচ্ছার বিপরীতে না হয় এমনটা করার কথা ছিল না। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ইসলামবিদ্বেষী ড্রেসকোড বাতিল করে পূর্বোক্ত নিয়ম বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।

জমিয়ত মহাসচিব বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও কিশোর, যুবকদের মাঝে নীতি-নৈতিকতার অধ:পতন, চরিত্রবিধ্বংসী ক্রিয়াকলাপ এবং নারী নিগ্রহ, নিপীড়ন, যৌনহয়রানী ও ধর্ষণ দেশব্যাপী দিনি দিন ভয়াবহ আকারে বেড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতি থেকে জাতিকে উত্তরণে যেখানে পর্দা ও ধর্মীয় অনুশাসন চর্চা বৃদ্ধির দাবি সর্বত্র জোরালো হচ্ছে, সেখানে আইডিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষের ধর্মবিমুখী এই সিদ্ধান্ত খুবই হতাশাজনক ও আত্মবিধ্বংসী। কোনভাবেই এই সিদ্ধান্ত সুস্থসংস্কৃতি চর্চার সহায়ক তো নয়ই, বরং ধর্মভীরু পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ইসলামবিমুখী ও ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব তৈরিতে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, ৯০ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত সমাজে ইসলামবিদ্বেষী এমন কর্মকাণ্ড আমরা সকলে চেয়ে চেয়ে দেখতে পারি না। আইডিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের চাপিয়ে দেয়া এই সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে অভিভাবক ও জনসাধারণকে নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলে তাদেরকে নতুন এই বিধি বাতিলে বাধ্য করা হবে। আমরা প্রত্যশা করি, ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আগেই আইডিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষ ইসলামবিদ্বেষী নতুন এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে পরিস্থিতি শান্ত করবে।