Home ইসলাম মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল ক্বদর: ফাযায়েল ও মাসায়েল

মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল ক্বদর: ফাযায়েল ও মাসায়েল

।। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন।।

প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইব্নে আবি হাতেম (রাহ্.) তাফ্সীরের ইমাম হযরত মুজাহিদ (রাহ্.) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক দিন সাহাবায়ে কিরামের বৈঠকে বনী ইসরাঈলের এক মুজাহিদের কথা উল্লেখ করেন। যিনি এক হাজার মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে আল্লাহর রাস্তায় লিপ্ত ছিলেন। এ কথা শুনে সাহাবায়ে কিরাম আফসোস প্রকাশ করেন যে, এক হাজার মাস অর্থাৎ তিরাশি বছর চার মাস তো এ যুগে অনেকে জীবনও পায় না। তাই হযরত মূসা (আ.)এর উম্মতের মত এত অধিক সাওয়াব লাভের অবকাশও উম্মতে মুহাম্মদীর নেই। সাহাবায়ে কিরামের এ আফ্সোস অনুশোচনাকালে হযরত জিব্রাঈল (আ.) আল্লাহর পক্ষ হতে কুরআন মাজীদের সূরা ‘ক্বদর’ নিয়ে হযরত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আগমন করেন। সে সূরায়ে ক্বদরে বলা হয় যে, লাইলাতুল ক্বদর এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। অর্থাৎ শবে ক্বদরের ইবাদত এক হাজার মাসের অবিশ্রান্ত ইবাদতের চেয়েও অধিক সাওয়াব রাখে। (বাইহাক্বী শরীফ, মাআরিফুল কুরআন)।

এ হাদীস হতে বুঝা যায় যে, শবে ক্বদরের মত এত নিয়ামতের রাত আল্লাহ্ তাআলা অন্য কোন উম্মতকে দান করেননি। তাই শবে ক্বদরের এ অফুরন্ত বরকতময় রাতের অনুসন্ধান প্রত্যেক মুসলমানদের কর্তব্য।

শাব্দিক ব্যাখ্যাঃ ক্বদরের এক অর্থ হল, মর্যাদা ও মাহাত্ম্য। অফুরন্ত মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের প্রেক্ষিতে এ রাতকে ‘লাইলাতুল ক্বদর’ বলা হয়। বিখ্যাত আলেম হযরত আবুবকর উররাক (রাহ্.) বলেন, এ রাতের ইবাদত-বন্দেগীর কল্যাণে একজন নগণ্য মানুষও আল্লাহ্র দৃষ্টিতে মর্যাদা সম্পন্ন হতে পারে।

ক্বদরের দ্বিতীয় অর্থ হল, তাক্বদীর ও হুকুম। সৃষ্টির প্রথম দিনে প্রত্যেক মানুষের ভাগ্যে যা কিছু লেখা থাকে, এক রমযান হতে অপর রমযান পর্যন্ত তার সরবরাহের হুকুম ও দায়-দায়িত্ব আল্লাহ্ তাআলা এ রাতেই ফেরেশ্তাদের দিয়ে দেন। হযরত ইব্নে আব্বাস (রাযি.)এর এক বর্ণনা মতে শা’বান মাসের ১৫তম রজনী অর্থাৎ শবে বরাতে আল্লাহ্ এক বছরের জন্য বান্দার রুযী-রিয্ক, হায়াত-মউত ও অন্যান্য তাক্বদীরী ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আর শবে ক্বদরে সেসব সিদ্ধান্তের প্রয়োগ এবং রুযী-রিয্ক প্রভৃতি সরবরাহের দায়িত্ব আল্লাহ্ ফেরেশ্তাদের দিয়ে থাকেন। (কুরতুবী)।

লাইলাতুল ক্বদর নির্ধারণ

ক্বদরের রাত নির্ধারণের ব্যাপারে উলামা ও ইমামগণের বহু উক্তি রয়েছে। তন্মধ্যে কতিপয় উক্তি নিম্নে বর্ণিত হল-

(এক) ইমাম আবু হানিফা (রাহ্.)এর মতে শবে ক্বদর রমযানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বছরের যে কোন রাতে তা হতে পারে। সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে হযরত ইব্নে আব্বাস ও ইব্নে মাসঊদ (রাযি.) হতেও এ ধরনের উক্তি বর্ণিত আছে। আরিফে রব্বানী হযরত মুহিউদ্দীন ইব্নে আরবী (রাহ্.) বলেন, আমি শবে ক্বদরকে দুই বার রমযান শরীফে এবং দুই বার শা’বান মাসে প্রত্যক্ষ করেছি।

তাই আমার বিশ্বাস শবে ক্বদর বছরের বিভিন্ন মাসে ঘুরতে থাকে। (দুই) অধিকাংশ ইমাম বিশেষতঃ হানাফী মাযহাবের ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ (রাহ্.)এর মতে এবং ইমাম আবু হানিফা (রাহ্.)এর অপর এক উক্তি মতে শবে ক্বদর রমযান মাসে হতে পারে। (তিন) ইমাম মালেক ও ইমাম আহ্মদ (রাহ্.)এর মতে রমযানের শেষ দশকে হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। (চার) প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত আল্লামা ইব্নে খুযাইমাহ্ (রাহ্.) এবং আরো অনেক আলেমের মতে রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাত অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রজনীতে হওয়ার সম্ভাবনা অধিক।

আরও পড়তে পারেন-

(পাঁচ) শাফেঈ মাযহাবের ইমামগণের মতে বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে ২১ তারিখে হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। (ছয়) তবে অধিকাংশ আলেমের মতে ২৭ তারিখে হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এ ব্যাপারে ইমাম আবু হানিফা (রাহ্.)এরও একটি উক্তি পাওয়া যায়। আল্লামা আইনী (রাহ্.) উমদাতুল ক্বারী নামক গ্রন্থে লিখেন, ২৭ তারিখের রাতে শবে ক্বদর হওয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ আলেমের উক্তি ঐক্যমত পাওয়া যায়। মোটকথা, শবে ক্বদর নির্ধারণে বিভিন্ন হাদীস থাকায় ইমামগণের বিভিন্ন উক্তি পরিলক্ষিত হয়। তবে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হাদীস মতে রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশী দেখা যায়।

বুখারী শরীফের হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, রমযানের শেষ দশকে শবে ক্বদরের অনুসন্ধান কর। মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে, শবে ক্বদরকে রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে অনুসন্ধান কর। বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে ২৭ তারিখের সম্ভাবনা বেশী। তদপ্রতি কতিপয় সাহাবীরও সমর্থন রয়েছে। এমন কি বুযুর্গ সাহাবী হযরত উবাই ইব্নে কা’ব (রাযি.) এ ব্যাপারে নিশ্চিত।

সারকথা, শবে ক্বদরের মহান ফযীলতের রাতকে যথাসম্ভব গোটা রমযানে তালাশ করা উচিত। অর্থাৎ রমযানের প্রত্যেকটি রাত যদি যথাযথ ইবাদত ও তাওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে অতিবাহিত করা হয়, তবে শবে ক্বদর অবশ্যই নসীব হবে বলে দৃঢ় আশা করা যায়। আর তা সম্ভব না হলে অন্ততঃ শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে জাগ্রত থেকে যিক্র-আযকার, তাসবীহ্-তাহলীল, তিলাওয়াতে কুরআন, নফল নামায প্রভৃতির মাধ্যমে শবে ক্বদরের ফযীলত হাসিল করা যেতে পারে। আর কিছু না হলে অবশ্যই ঈশা ও ফজরের নামায জামাআতের সাথে আদায় করে নিলে শবে ক্বদর নসীব না হওয়ার আশঙ্কা নেই বল্লেই চলে। কারণ, হাদীস মতে ঈশা ও ফজরের নামায জামাআতের সাথে আদায় করা সম্পূর্ণ রাত ইবাদত করার সমতুল্য। আর যদি বেজোড় রাতগুলো পূর্ণভাবে ইবাদতের মধ্যে অতিবাহিত করার সুযোগ না হয়, তবে অন্ততঃ ২৭ তারিখের রাতের গুরুত্ব দেওয়া এবং পুরো রাত ইবাদত-বন্দেগীতে নিয়োজিত থাকা দরকার। (ক্বাযী খান, মাআরিফুস্ সুনান)।

গোপনীয়তার রহস্য

লাইলাতুল ক্বদরের রাতকে গোপন রাখার মধ্যে রয়েছে আল্লাহর বিরাট হিকমত ও রহস্য। প্রত্যেক মূল্যবান বস্তু হাসিল করা যেমন কষ্টসাধ্য ব্যাপার, তেমনি আল্লাহর উদ্দেশ্য হল এ মহামূল্যবান রাতের অনুসন্ধানে বান্দা সাধনা করুক। এক রাতের জন্য ত্রিশটি রাত জাগ্রত থাকুক।

আমরা দুনিয়ার কত তুচ্ছ জিনিসের জন্য কত রাতের নিদ্রা হারাম করে দিই। কিন্তু এক হাজার মাসেরও অধিক মর্যাদা সম্পন্ন একটি রাতের জন্য কিছু কষ্ট স্বীকার করতে পারি না!

শ্রদ্ধেয় উলামায়ে কিরাম লাইলাতুল ক্বদরের গোপনীয়তার এই রহস্যও ব্যক্ত করেছেন যে, লাইলাতুল ক্বদর যদি নির্দিষ্ট রাতে অনুষ্ঠিত হত এবং তা মানুষের জানা থাকত, তবে অনেক অলস ও গাফেল হতভাগ্য ব্যক্তি এমন একটি মহান রাতের মর্যাদা না দিয়ে আল্লাহর গযবে পতিত হত।

হাদীস শরীফে আছে, “এক দিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে গিয়ে জনৈক সাহাবীকে নিদ্রাবস্থায় দেখেন। তিনি নিজে কিছু না বলে হযরত আলী (রাযি.)কে বললেন, লোকটিকে উঠিয়ে দাও। পরে সাহাবায়ে কেরাম হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! প্রত্যেক নেক কাজে আপনাকে অগ্রবর্তী দেখি কিন্তু এখানে আপনি নিজে না বলে আলী (রাযি.)কে হুকুম দিলেন কেন? উত্তরে ইরশাদ করলেন, আমি যদি তাকে ডাকি এবং এতদ সত্ত্বেও সে না উঠে, তবে বড় অপরাধী হযে পড়তো”। সুবহানাল্লাহ।

তেমনি শবে ক্বদর গোপন থাকাও এক বড় নিয়ামত। শবে ক্বদর নির্দিষ্ট থাকলে কেউ জেনেশুনে যদি এর যথাযথ গুরুত্ব না দেয়, তবে আল্লাহ্র গযব হতে বাঁচার কোন উপায় থাকবে না।

লাইলাতুল ক্বদরের ফযীলত

এর প্রধান ফযীলত সম্পর্কে কুরআন মাজীদে সূরাতুল ক্বদর-এ বর্ণিত আছে, এক হাজার মাস বা তিরাশি বছর চার মাস ইবাদতের চেয়ে সে এক রাতের ইবাদতের সাওয়াব অনেক বেশী। কত বেশী তার কোন সীমা-পরিসীমা নেই। দুই গুণ বা তিন গুণ বা দশ গুণ বা একশ’ গুণও হতে পারে। বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি শবে ক্বদরে দন্ডায়মান থাকে অর্থাৎ ইবাদত করে দ্বীনের হুকুম মনে করে এবং সাওয়াবের নিয়্যাতে, তবে তার অতীত গুনাহ্ মাফ হয়ে যায়। (বাইহাক্বী শরীফ)।

অপর হাদীসে আছে, ক্বদরের রাত্রে হযরত জিব্রাঈল (আ.) একদল ফেরেশ্তা নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং প্রত্যেক সেই বান্দার জন্য দোয়া করেন যাকে নামাযে দন্ডায়মান বা অন্য কোন ইবাদতে নিয়োজিত দেখে। (মাআরিফুল হাদীস)। অন্য এক হাদীসে আছে, (রমযানের) এ মাসটি তোমাদের নিকট আসল। এ মাসে এমন এক রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের বরকত থেকে বঞ্চিত, সে সকল মঙ্গল হতে বঞ্চিত হল। (ইব্নে মাজাহ্)। অর্থাৎ এ রাতে যার ইবাদতের কোন অংশ নেই তার মত হতভাগ্যও আর কেউ নেই। শবে ক্বদরের মহত্ব এ একটি বিষয় হতেও পরিস্কার হয় যে, এ রাতেই কুরআন মাজীদ নাযিল হয়। তাই এ রাতের মর্যাদা অপরিসীম।

লাইলাতুল ক্বদরের বিশেষ দোয়া

যরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযি.) একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন, শবে ক্বদর যদি কখনও আমি পাই তবে কোন্ দোয়াটি আল্লাহ্র নিকট পাঠ করব? তিনি বল্লেন, এ দোয়াটি পাঠ করবে- “আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফ্ওয়া ফা’ফু আন্নী”। অর্থ- হে আল্লাহ্! আপনি অসীম ক্ষমাশীল, ক্ষমা আপনার পছন্দ। অতএব, আমার গুনাহ্ মাফ করুন। (তিরমিযী শরীফ, ইব্নে মাজাহ্ শরীফ)।

লাইলাতুল ক্বদরের কতিপয় মাসায়েল

*মুফ্তিয়ে আযম আল্লামা মুফ্তী মুহাম্মদ শফী (রাহ্.) বলেন, এই পবিত্র রজনীকে শুধু জুলুস এবং ওয়ায মাহফিলে কাটিয়ে শুয়ে পড়া বড়ই অকল্যাণকর। ওয়ায মাহ্ফিল তো প্রত্যেক রাতে হতে পারে। ইবাদতের এই মূল্যবান সময়টি আর তো ফিরে আসে না। হ্যাঁ, যে সব ব্যক্তি সারা রাত জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগী করার হিম্মত করে, তারা রাতের প্রথম ভাগে কিছু ওয়ায-নসীহত শ্রবণ করে নফল ইবাদত, তাওবা-ইস্তিগফার এবং দোয়ায় লিপ্ত হতে পারে। (জাওয়াহিরুল ফিক্বাহ্)।

শ্রদ্ধেয় উলামায়ে কিরাম শবে ক্বদরের গোপনীয়তার এ রহস্যও ব্যক্ত করেন যে, শবে ক্বদর যদি নির্দিষ্ট রাতে অনুষ্ঠিত হত এবং তা মানুষের জানা থাকত, তবে অনেক অলস ও গাফেল হতভাগ্য ব্যক্তি এমন একটি মহান রাতের মর্যাদা না দিয়ে আল্লাহর গযবে পতিত হত।

* শবে ক্বদর ও শবে বরাতে অতিরিক্ত খানাপিনার আয়োজন করা কোন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। আর এই প্রচলন আমাদের সাল্ফে সালিহীনদের (পূর্বসুরীদের) মধ্যেও ছিল না। তবে আশুরার দিন অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা একটি হাদীস দ্বারা মুবাহ্ প্রমাণিত হতে পারে।

* যদি কেউ শবে ক্বদরের আলামত পেয়ে থাকে, তবে সে যেন তা পোগন রাখে এবং ইখলাসের সাথে ভাল করে দোয়া করে। (ফাত্ওয়ায়ে শামী)।

* শবে ক্বদর উপলক্ষ্যে নির্দিষ্ট কোন ইবাদত কিংবা নামাযের কোন নির্ধারিত রাক্আতের উল্লেখ নেই। যতটুকু সম্ভব সারা রাত জাগ্রত থেকে নামায, বিশেষ করে সালাতুত্ তাসবীহ্, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া-দরূদ, তাসবীহ্-তাহলীল ও তাওবা-ইস্তিগফারে নিমগ্ন থাকার চেষ্টা করবে।

* শবে-ক্বদর একই ভাবে শবে-বরাতে মসজিদে কিংবা মাজারে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা এবং মাজারে-দরগাহে ঘোরাফেরা করা সম্পূর্ণ শরীয়ত পরিপন্থী। সুতরাং এই মোবারক রাতগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করতে এসব কু-প্রথা বর্জন করা এবং বেশী বেশী ইবাদত-বন্দেগী ও আল্লাহর দরবারে দোয়া মুনাজাত করা দরকার।

লেখকঃ প্রখ্যাত মুফতি, ‍মুফাসসির, মুহাদ্দিস এবং সহযোগী পরিচালক- জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।