ডেস্ক রিপোর্ট: কোটি টাকাতেই স্বপ্নপূরণ! সাধারণের নাগালে এবার মহাকাশ! এর জন্য নভশ্চর হওয়ার প্রয়োজন নেই। টানা প্রশিক্ষণের কসরৎ নেই। ফেললে কড়ি, সোজা পাড়ি মহাকাশে! আপনার বাহন একটি বেলুন! অতএব, ট্যাঁক থেকে এক কোটি খসালেই আপনিও ‘মহাকাশচারী’!
এও আবার হয় না কি? প্রকৃতিকে ‘বশে’ আনা মানুষের কাছে সবই সম্ভব। রকেট যদি মহাশূন্য ভেদ করতে পারে, তা হলে বেলুনও পারবে। এবং সেটা করেও দেখিয়ে দিয়েছেন আমেরিকার ‘স্পেস পার্সপেক্টিভ’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞানীরা। এমনটাই দাবি সংস্থার। সব ঠিকঠাক চললে একুশের শুরুতেই মহাকাশের উদ্দেশে ওড়ানো হবে সেই বেলুন। যদিও তা পরীক্ষামূলক। সফল হলেই সাধারণ মানুষের যাত্রা শুরু। বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মহাকাশ এখন হাতের মুঠোয়। তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক স্পেস সেন্টার। চাঁদে পাড়ি দিয়েছে মানুষ। মঙ্গল-অনুসন্ধানে পাঠানো হচ্ছে মহাকাশ যান। এর মধ্যেই ‘স্পেসএক্স’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা প্রথম মহাকাশে মানুষ পাঠায়। এবার মহাকাশকে কার্যত পর্যটনকেন্দ্র বানিয়ে ফেলতে তোড়জোড় শুরু করেছে ‘স্পেস পার্সপেক্টিভ’। প্রতিযোগিতায় শামিল হচ্ছে বিশ্বের আরো একাধিক সংস্থা। কারণ, মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা।
আরও পড়তে পারেন-
ইসলাম গ্রহণ করায় সিলভিয়া ইতালিয়ান চরমপন্থীদের বিদ্বেষের শিকার হন
ফিলিস্তিনের কোরআনে হাফেজা চার যমজ বোনের প্রশংসায় মুসলিম বিশ্ব
ভারতের মতো শ্রীলঙ্কাও মুসলমানদেরকে কলঙ্কিত করতে করোনভাইরাসকে হাতিয়ার করছে
ঘৃণা-বিদ্বেষ নয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট থাকুক
উলামায়ে কেরাম পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘বিবর্তনবাদ’ শিক্ষা বাতিলের দাবি কেন তুলেছেন?
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও জানে পয়েন্টার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি তাদের বেলুনে চড়েই মহাকাশে যাওয়া সম্ভব। খরচ পড়বে ১.২৫ লক্ষ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এক কোটি ৬ লাখ টাকা। এই খরচ অবশ্য মাথাপিছু। পয়েন্টার জানিয়েছেন, যাত্রাপথ মাত্র ছ’ঘণ্টার। দু’ঘণ্টার মধ্যেই আরোহীরা পৃথিবী থেকে প্রায় এক লাখ ফুট উপরে চলে যাবেন। সেখান থেকে পৃথিবীকে দেখা এবং মহাকাশের রহস্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের শুরুতেই আলাস্কার কোডিয়াকে অবস্থিত ‘স্পেস পোর্ট কমপ্লেক্সে’র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ‘স্পেসশিপ নেপচুন’ বেলুনটিকে পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশে পাঠানো হবে। তাতে শুধুমাত্র গবেষণার প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্র থাকবে। সফল হলে, আগামী দু’-এক বছরের মধ্যেই বেলুনে সওয়ার হবে মানুষ। চালক ছাড়াও আটজন থাকবেন বেলুনে। পানশালা থেকে শুরু করে বিশ্রামাগার এবং স্যোশাল মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার বিশেষ জায়গাও থাকবে এই বেলুনে। পয়েন্টার জানিয়েছেন, আলাস্কা থেকে বেলুনটিকে উৎক্ষেপণ করা হলেও, সেটা অবতরণ করবে কেনেডি স্পেস সেন্টারে। দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখেই বেলুনের অবস্থান থাকবে অতলান্তিক সাগরের উপরে। সেখানে একটি জাহাজও থাকবে সর্বক্ষণ। দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকাজে লাগানো হবে তাকে।
বিশেষ প্রযুক্তির এই বেলুন তৈরিতে ‘স্পেস পার্সপেক্টিভ’-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ইংল্যান্ডের একটি বেসরকারি সংস্থা। এই সংস্থাই আবার ‘স্পেসএক্স’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাইপারলুপ পরিবহণ ব্যবস্থাও তৈরি করছে। সূত্র: বর্তমান।
উম্মাহ২৪ডটকম:এমএমএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com