Home ইসলাম তারাবীহ’র ফযীলত ও পূর্ণাঙ্গ মাসায়েল

তারাবীহ’র ফযীলত ও পূর্ণাঙ্গ মাসায়েল

।। মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী ।।

পবিত্র রমযানুল মুবারক মাসে একজন মুসলমানের জন্য রোযা এবং তারাবীহ’র গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না। দিনের বেলায় রোযা এবং রাত্রি বেলায় তারাবীহ্ মাহে রমযানের প্রধান বৈশিষ্ট। রোযা এবং তারাবীহ্ দ্বারা আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ হতে বিগত জীবনের সকল পাপ মোচন করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। যারা একমাত্র প্রভুকে রাযী-খুশী করার নিমিত্তে রোযা এবং তারাবীহ্ আদায় করবে, আপন প্রভুর রহমত ও মাগফিরাত তাদের পদযুগল চুম্বন করবে। হযরত আবু হুরাইরা (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান শরীফে তারাবীহর প্রতি অতি উৎসাহ প্রদান করতেন। তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমযান রজনীতে ঈমান ও পূন্যের আশায় তারাবীহর নামায আদায় করবে, তার পূর্ববর্তী পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসলিম-২/২৫৯, শুআবুল ঈমান-৩/১৭৬, সহীহ্ ইবনে খুযাইমাহ-৩/৩৩৬)।

অপর এক হাদীসে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের উপর (দিনের বেলায়) রমযানের রোযাকে ফরয করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য (রাতের বেলায়) তারাবীহ্কে সুন্নাতরূপে ঘোষণা দিলাম, যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াবের আশায় রমযানের দিনে রোযা রাখবে আর রাত্রিতে তারাবীহর নামায আদায় করবে, সে তার পাপ-পঙ্কিলতা থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন সন্তান মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়। (নাসায়ী-১/২৩৯, ইবনে খুযাইমাহ্-৩/৩৩৫)।

রাসূলে কারীম (সা.)এর যুগে তারাবীহঃ

হযরত আয়েশা (রাযি.) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহে রমযানের মধ্য রজনীতে গৃহ থেকে বের হয়ে মসজিদে গমন করেন। মসজিদে তিনি নামায (তারাবীহ) পড়া আরম্ভ করলেন। অতঃপর সকাল বেলায় গত রাতের নামায সম্পর্কে তারা পরস্পর আলোচনা করেন। দ্বিতীয় রাতেও প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায় করলে লোকেরা তাঁর পেছনে নামাযের ইক্তিদা করেন। তবে প্রথম রাতের চেয়ে দ্বিতীয় রাতে মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়। ভোর বেলায় সেই নামায নিয়ে আলোচনা হয়।

তৃতীয় রাতেও একই পদ্ধতিতে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও অন্যান্য লোকেরা তারাবীহর নামায আদায় করলেন। পূর্বের চেয়ে এই রাতে অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে। অতঃপর যখন চতুর্থ রাতের পালা আসে, তখন পুরো মসজিদ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মুসল্লীদের সংখ্যাধিক্যের কারণে মসজিদ ছোট বলে মনে হয়। কিন্তু এ রাতে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে তাশরীফ আনয়ন করেননি।

ফজরের নামায আদায়ের পর তিনি সর্বপ্রথম আল্লাহ্ তাআলার প্রশংসা করেন। অতঃপর মুসল্লীদের লক্ষ্য করে তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা যে (গতরাতে) এখানে এসেছিলে তা আমার অজানা নয়, তবে আমার ভয় হচ্ছিল যে, যদি এ নামায (তারাবীহ) তোমাদের উপর ফরয করে দেওয়া হয়, তখন তোমরা তা আদায় করতে সক্ষম হবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে গেলেন আর তারাবীহর নিয়ম এভাবে রয়ে গেল। (বুখারী-১/২৬৯, মুসলিম-১/২৫৯ শুআবুল ঈমান-৩/১৭৬)।

উল্লিখিত হাদীস দ্বারা একথা প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে মাত্র তিনদিন জামাআতের সাথে তারাবীহ্ আদায় করেন। এরপর তিনি স্বতন্ত্রভাবে জামাআতের সাথে তারাবীহ্ আদায় পরিত্যাগ করেন, যাতে এ নামায উম্মতের উপর ফরয হয়ে না দাঁড়ায়। তবে তিনি তারাবীহর প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন। হযরত উমর ফারূক (রাযি.)এর শাসনামলের প্রারম্ভিক যুগ পর্যন্ত স্বতন্ত্রভাবে ধারাবাহিকতার সাথে তারাবীহের প্রথা চালু ছিল না। সাহাবায়ে কিরাম তখন নিজ নিজ দায়িত্বে তারাবীহের নামায আদায় করতেন।

অতঃপর একদা হযরত উমর (রাযি.) রমযানের রাত্রিতে মসজিদে গমন করে দেখতে পেলেন, লোকেরা কেউ একাকী বিচ্ছিন্নভাবে তারাবীহ্ আদায় করছেন, আবার কেউ জামাআতের সাথে আদায় করছেন। তখন হযরত উমর (রাযি.) বলেন, আমার মতে সবাইকে এক ইমামের পিছনে ঐক্যবদ্ধ করে দিলে উত্তম হবে। অতঃপর তিনি এ কাজের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। এবং হযরত উবাই ইবনে কা’বকে ইমাম বানিয়ে সবাইকে তাঁর পেছনে জড়ো করে দেন। অতঃপর দ্বিতীয় রাতে হযরত উমর (রাযি.) মসজিদে তাশরীফ আনয়ন করে সবাইকে সংঘবদ্ধভাবে এক ইমামের পেছনে নামায পড়তে দেখে বল্লেন, এ নতুন পদ্ধতি কতই না উত্তম। (বুখারী শরীফ-১/২৬৯)।

আবুদাঊদ শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত উমর (রাযি.) সবাইকে উবাই ইবনে কা’ব (রাযি.)এর ইমামতিতে একত্রিত করে দেন এবং হযরত উবাই বিশ রাকআত তারাবীহ্ পড়াতেন। (১/২০২ পৃষ্ঠা)।

ইয়াযিদ ইবনে রোমান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত উমর (রাযি.)এর যুগে লোকেরা বিশ রাকআত তারাবীহ্ আদায় করতেন। (সুনানে কুবরা-২/৪৯৬ পৃষ্ঠা)।

সাহাবায়ে কিরামের ঐক্যঃ

বিশ রাকআত তারাবীহ্ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ঃ জালীলুল ক্বদর সাহাবাদের উপস্থিতিতে হযরত উমর (রাযি.) যখন উবাই ইবনে কাআব (রাযি.)কে জামাআতের সাথে বিশ রাকআত তারাবীহ্ আদায়ের আদেশ প্রদান করেন, তখন সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে কেউ হযরত উমর ফারূক (রাযি.)এর সাথে বিরোধিতা বা দ্বিমত পোষণ করেননি, বরং সকলেই হযরত উমর (রাযি.)এর সে প্রথাকে সমর্থন করে নিয়মিতভাবে তাঁরা বিশ রাকআত তারাবীহ আদায় করেন।

আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রাহ্.) বলেনঃ বিশ রাকআত তারাবীহের উপর সাহাবাগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। (মিরকাত-৩/১৯৪)। প্রসিদ্ধ ইমামদের মধ্যে ইমাম আবু হানিফা, ইমাম আহমদ, ইমাম শাফেয়ী এবং ইমাম মালেক (রাহ.) (এক উক্তি মতে) বিশ রাকআত তারাবীহ্ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ হওয়ার মত পোষণ করেন। স্বয়ং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও প্রমাণিত যে, তিনি মাহে রমযানে বিশ রাকআত তারাবীহ্ আদায় করেছেন। (মুসান্নাফ ইব্নে আবী শায়বা-২/৩৪৯)।

সনদ সূত্রে যদিও এ হাদীসকে কেউ কেউ দুর্বল বলেছেন, তবুও উম্মতের ঐক্যমতের দরুণ এ হাদীস নিশ্চয় সহীহ্ হাদীসসমূহের সমপর্যায়ে পৌঁছে। উম্মতের ঐক্যই হাদীসটি সহীহ্ হওয়ার জ্বলন্ত প্রমাণ। নিম্নে তারাবীহের কতিপয় আহ্কাম উল্লেখ করা হল-

তারাবীহের নামাযের নিয়্যাত প্রসঙ্গঃ

অন্যান্য নামাযের মত এভাবে নিয়্যাত করবে যে, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে তারাবীহের দু’রাকআত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নামায আদায় করছি। প্রতি দু’রাকআতে এভাবে নিয়্যাত করা উত্তম। তবে এক নিয়্যাতে বিশ রাকআতও আদায় করা যেতে পারে। (ফাতওয়ায়ে রহীমিয়্যাহ্-১/৩৫৪)।

তারাবীহের নামাযে কুরআন শরীফ খতম করাঃ

নিজে পড়ে হোক কিংবা শ্রবণ করে হোক তারাবীহের নামাযে একবার সম্পূর্ণ কুরআন খতম করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্। আর তা মসজিদে জামাআতের সাথে আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়াহ্। মহল্লার কিছু সংখ্যক মানুষ মসজিদে জামাআত আদায় করলে অন্যান্যদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি সকলেই মসজিদ ত্যাগ করে অথবা জামাআত ছাড়াই তারাবীহ্ আদায় করে, তাহলে সবাই মসজিদ ও জামাআত ছেড়ে দেওয়ার দরুণ গুনাহ্গার হবে। (দুররে মুখতার-১/৪০৮, ফাতওয়ায়ে আলমগিরিয়্যাহ্-১/১১৬)।

তারাবীহে ইমাম প্রসঙ্গঃ

নির্ভরযোগ্য উক্তি অনুযায়ী ফরয কিংবা নফল নামাযে নাবালেগ (অপ্রাপ্ত বয়স্ক) ছেলের পেছনে বালেগদের ইক্তিদা শুদ্ধ হবে না। (ফাতওয়ায়ে শামী-১/৫৪১)।

ঈশার নামায পড়েনি এমন হাফেয সাহেবের পেছনে তারাবীহ্ শুদ্ধ হবে না। দু’চার রাকআত আদায়ের পর জানা গেল, হাফেয সাহেব ঈশার নামায আদায় করেননি। তাহলে মুসল্লীদের সে নামায পুনরায় আদায় করতে হবে। (বাদায়ে’-১/৬৪৪)।

কুরআন দেখে দেখে তিলাওয়াত করাঃ

সউদী আরবসহ বিভিন্ন দেশে দেখা যায়, ইমাম সাহেব কুরআন শরীফ হাতে নিয়ে দেখে দেখে তিলাওয়াত করে তারাবীহ্তে ইমামতী করেন। আমাদের হানাফী মাযহাব মতে, এভাবে দেখে দেখে তিলাওয়াত করে নামাযের ইমামতী করলে নামায ভেঙ্গে যাবে। এসব হাফেয সাহেবদের পেছনে নামাযের ইক্তিদাও শুদ্ধ হবে না। (আইনী-১/৭৮৫, ফাত্ওয়ায়ে আলমগিরিয়্যাহ্-১/৫৩)।

তারাবীহের রাকআতে মতবিরোধ হলে করণীয়ঃ

তারাবীহের রাকআত নিয়ে মুসল্লীদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিলে অর্থাৎ- কেউ বলে আঠার রাকআত হয়েছে, কেউ বলে বিশ রাকআত হয়েছে। এক্ষেত্রে ইমাম সাহেবের রায়ই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। আর যদি ইমাম মুক্তাদি উভয়ে সন্দেহে পতিত হয়, তাহলে একা একা দু’রাকআত পড়ে নিবে, জামাআতের সাথে নয়। (রহীমিয়্যাহ্-১/৩৫৫)।

চার রাকআতের পর হাত তুলে দোয়া করাঃ

অনেক মসজিদে দেখা যায়, প্রতি চার রাকআত পর পর ইমাম সাহেব উচ্চ স্বরে দোয়া করেন আর মুক্তাদিগণ আমীন আমীন বলে থাকেন এবং এটাকে নামাযের জন্য আবশ্যকও মনে করা হয়। কিন্তু এ প্রথা শরীয়তের দলীলাদি দ্বারা প্রমাণিত নয়।

কারণ, শরীয়ত মুসল্লীদেরকে প্রতি চার রাকআতের পর তাস্বীহ, তাহলীল, যিকির-আযকার, দরূদ শরীফ পাঠ ইত্যাদি বিষয়ে ইখতিয়ার দিয়েছে, সুতরাং এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন কাজকে জরুরী মনে করা বা তৎপ্রতি কাউকে বাধ্য করা শরীয়তের আলোকে অনুচিত। (ফাতওয়ায়ে শামী-১/৬৬১, ফাতওয়ায়ে রহীমিয়্যাহ্-১/২৫২)।

তারাবীহ্তে রুকুর অপেক্ষায় থাকাঃ

তারাবীহের নামায চলা কালীন সময়ে অনেক লোককে দেখা যায়, মসজিদের এক পার্শ্বে রুকুর অপেক্ষায় বসে থাকে। অতঃপর ইমাম যখন রুকুতে যাওয়ার উপক্রম করেন, তখন নামাযে শামিল হয়। মূলতঃ এর দ্বারা তারাবীহের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন প্রকাশ পায়। এবং এটা মুনাফিকদের সাথে সাদৃশ্যও বটে। যা অবশ্যই নিন্দনীয় ও বর্জনীয়। সুতরাং রুকুর অপেক্ষায় না থেকে তাকবীরে তাহরিমার সাথে সাথে নামাযে শামিল হয়ে যাওয়া উচিত। (আলমগিরিয়্যাহ্-১/১১৯, মাহমুদিয়্যাহ্-২/৩৪৫)।

দ্বিতীয় রাকআতে ভুলে দাঁড়িয়ে গেলে করণীয়ঃ

যদি তারাবীহের দ্বিতীয় রাকআতে না বসে ভুলে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে যতক্ষণ তৃতীয় রাকআতের সিজদা আদায় না করবে, ততক্ষণের মধ্যে বসে যাবে। এবং সিজদায়ে সাহু আদায়ের মাধ্যমে নামায সমাপ্ত করবে। আর যদি ইমাম সাহেব তৃতীয় রাকআতের সিজদা করে ফেলে, তাহলে তার সাথে আরো এক রাকআত যোগ করবে এবং সিজদায়ে সাহু আদায় করবে। তবে চার রাকআতের মধ্যে শুধুমাত্র শেষের দু’রাকআতই তারাবীহের মধ্যে গণ্য হবে। প্রথম দু’রাকআত তারাবীহ্ বলে গণ্য হবে না, তা নফল হয়ে যাবে। খতমে তারাবীহর ক্ষেত্রে এই প্রথম দু’রাকআতে তিলাওয়াতকৃত কুরআনের অংশ পুনরায় তিলাওয়াত করতে হবে। (ক্বাযী খান-১/১১৩, ফাতওয়ায়ে আলমগিরিয়্যাহ্-১/১১৮)।

তারাবীহের বিশেষ দোয়া প্রসঙ্গঃ

প্রতি চার রাকআতের পর মুসল্লীদের মুখে একটি দোয়া শোনা যায়। মূলতঃ এ দোয়াটি নির্ভরযোগ্য সনদ দ্বারা কোন হাদীসে বর্ণিত হয়নি। অবশ্য আল্লামা শামী (রাহ.) ফাতাওয়ায়ে শামী গ্রন্থে এটি উল্লেখ করেছেন। চার রাকআত পর পর এ দোয়াটি পড়া আবশ্যক মনে করা ঠিক নয়। এর পরিবর্তে অন্য দোয়া-দরূদও পড়া যাবে।

কুরআন খতমের সময় মিষ্টি বিতরণঃ

তারাবীহ্তে খতমে কুরআনের রাত্রে মিষ্টি-শিরণী ইত্যাদি বিতরণ দ্বারা অধিকাংশ মসজিদের আদব রক্ষা করা যায় না বিধায় এ প্রথা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। বিশেষ করে মিষ্টি বিতরণের জন্য মুসল্লীদের কাছ থেকে চাপ সৃষ্টি করে চাঁদা কালেকশন করা আরো বেশী দোষণীয়। এভাবে উক্ত রাতে মসজিদে আলোক সজ্জা করা, জাঁকজমকের সাথে অতিরিক্ত লাইটের ব্যবস্থা করাও অপচয়ের দরুণ শরীয়ত সম্মত নয়। (ফাতওয়ায়ে রহীমিয়্যাহ্-৪/৩৮৯)।

লেখকঃ মুহাদ্দসি- জাময়িা মাদানয়িা বারধিারা ঢাকা, খতীব- তিস্তা গেট জামে মসজদি টঙ্গী এবং অর্থসম্পাদক- জময়িতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদশে। ই-মইেল- muftijakir9822@gmail.com