Home রাজনীতি ‘সিলেটে রায়হান হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি দিন’

‘সিলেটে রায়হান হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি দিন’

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, সিলেটে পুলিশী হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ৮ দিন পরেও চিহ্নিত আসামীদের গ্রেফতার না হওয়া গভীর উদ্বেগজনক। এতে অপরাধে জড়িয়ে পড়া সদস্যদের প্রতি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রকাশ পায়।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, রায়হান যে পুলিশী নির্যাতনে নিহত হয়েছেন, এই নিয়ে সিলেটসহ দেশবাসীর মনে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই। কিন্তু রায়হানের মৃত্যু নিয়ে শুরু থেকেই নানা রকমের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে সিলেট পুলিশ প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে, এই হত্যাকা-ের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারে কোন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়নি। অথচ ঘটনার শুরুতেই বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরের নাম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সামনে চলে আসে। এরপর এসআই আকবর হোসেনসহ চারজন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হল। তাহলে কেন তাদের নাম আসামী হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হল না? কেন হেফাজতে থাকা ওই ফাঁড়ির ৮ পুলিশ সদস্যকে এখনো গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে না? পুলিশ হেফাজতে থাকা সন্দেহভাজন প্রধান আসামী এসআই আকবরকে পালিয়ে যেতে কারা সহায়তা করেছে? এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর সিলেট পুলিশকে দিতে হবে।

আল্লামা কাসেমী বলেন, সারা দেশে খুন-খারাবি, ধর্ষণ, সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ মহামারির রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন অপরাধ ও হত্যাকা-ের মতো ঘটনায় যখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের সংশ্লিষ্টতার খবর মিডিয়ায় একের পর এক আসতে থাকে, তাতে দেশের সামগ্রীক পরিস্থিতি কতটা অবনতিশীল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়তে পারেন-

তিনি বলেন, আমরা হতাশা ও ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছি, নানা অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় একদিকে প্রশাসন নিরপেক্ষ পদক্ষেপ নিতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে, অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রভাব ও হস্তক্ষেপের অজ¯্র ঘটনা শুনতে পাই। এতে করে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা নিজেদেরকে জবাবদেহিতা বা শাস্তির ঊর্ধ্বে ভেবে নির্বিঘ্নে একের পর এক অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। ফলে জনমনে দিন দিন হতাশা ও ক্ষোভের আগুন বাড়ছে।

জমিয়ত মহাসচিব বলেন, সিলেটের রায়হান হত্যাকা-ের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে জনগণকে শান্ত করা যাবে না। এটা যে পুলিশী হত্যাকা- ছিল, দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। অবিলম্বে সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার এবং নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দায়ীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বাহিনীকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে ও ভঙ্গুর ভাবমূর্তি রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনেরও কর্তব্য নিরপেক্ষ আইনপ্রয়োগে পূর্ণ সহযোগিতা করা। অন্যথায় জনমনে বাড়তে থাকা ক্ষোভ থেকে উদ্ভূত যে কোন পরিস্থিতির দায় সরকার’সহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই নিতে হবে।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।