ধর্ষণ প্রতিরোধে ২১ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিতে ধর্মীয় সভা ও মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ন্ত্রণের দাবীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের বক্তব্য প্রত্যাহারে দাবী জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
আজ প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, জঘন্য অপরাধ ধর্ষণের বিরুদ্ধে তাওহিদী জনতাসহ দেশবাসী যখন রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছে। ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের কথা বলছে। সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করেছে। সেই মুহূর্তে প্রত্যক্ষ ও পরাক্ষভাবে ধর্মীয় সভা ও মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ন্ত্রণের দাবী তুলে তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা মূলত: ধর্ষণকারীদের পক্ষাবলম্ব করেছে।
তারা বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরী, রামেন্দু মজুমদার, নারিউদ্দিন ইউসুফ গংরা সব সময় ধর্ম ও ইসলামের বিশোদ্গারে ব্যস্ত। তারা সব সময় জ্ঞানপাপির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তাদের বক্তব্য প্রমান করে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বন্ধ হোক তা তারা চায় না। তা চাইলে তারা কোনভাবেই ধর্মসভা ও মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ন্ত্রণের দাবী করতে পারতো না।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ধর্ষণ বন্ধে ধর্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। যিনা, ব্যাভিচার, পর্ণোগ্রাফির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, মাদকদ্রব্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অশ্লীলতা, বেহায়াপণা বন্ধ করতে হবে। নারীর মর্যাদা এবং অধিকার সংরক্ষণে কুরআন-হাদীসের শিক্ষাসমূহ জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ২১ বিশিষ্ট নাগরিকের ধর্মীয় সভা ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিরোধী বিবৃতি অবিলম্বে প্রত্যাহরের দাবী জানান। তা না হলে দেশবাসী ধর্ষণকারীদের সাথে সাথে নাস্তিক্যবাদী ও ধর্মবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এফইউবি