Home লাইফ স্টাইল খাওয়া ছাড়াও ডিমের রকমারি কার্যকারিতার রয়েছে

খাওয়া ছাড়াও ডিমের রকমারি কার্যকারিতার রয়েছে

-ফাইল ছবি।

ডিম হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রানীর স্ত্রী জাতির পাড়া একটি গোলাকার বা ডিম্বাকার জিনিস যা মেমব্রেনের স্তর দ্বারা ঘিরে থাকা ডিম্বক এবং বহিরাবরণের সমন্বয়ে গঠিত হয়। বহিরাবরণের মূল কাজ হলো এর অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা ভ্রূণকে এবং ভ্রূণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকে রক্ষা করা।

মুরগী ও কচ্ছপের ডিমসহ বেশীরভাগ মুখরোচক ডিমই শক্ত বহিরাবরণ বা ডিমের খোসা, অ্যালবুমেন (সাদা অংশ),ডিমের কুসুম এবং কিছু মেমব্রেন দিয়ে তৈরী। ডিমের সকল অংশই খাদ্যপোযোগী, যদিও খোসা সাধারণত বাদ দেয়া হয়। পুষ্টিগতভাবে ডিম প্রোটিন ও কোলিনের উৎকৃষ্ট উৎস।মুখরোচক রো এবং ক্যাভিয়ার হচ্ছে মাছের ডিম।

খাওয়াদাওয়া থেকে রূপচর্চায় ডিমের প্রয়োজনীয়তা কমবেশি সব বাড়িতেই রয়েছে। ডিম সেদ্ধ থেকে ডিমের ঝোল সব পদই বাঙালির প্রিয় পদ। তবে ডিম কেবল খাওয়া বা রূপচর্চাতেই কাজে লাগে এমন ভাবলে ভুল করবেন।

আরও পড়তে পারেন-

পুষ্টি মেটাতেও ডিমের চাহিদা তুঙ্গে। কম খরচে প্রোটিনের এমন সম্ভার আর কোনো খাবারে সে ভাবে নেই। কিন্তু জানেন কি, এই ডিম দিয়েই আপনি সারিয়ে ফেলতে পারেন কাটাছেঁড়ার দাগ কিংবা ঝকঝকে করে ফেলতে পারেন গয়নাও!

ডিমের এই অজানা ব্যবহারগুলো জানলে কাজে লাগাতে পারেন আপনিও। ডিমের রকমারি কার্যকারিতার দেখে নিন।

কন্ডিশনার: হঠাৎ কন্ডিশনার ফুরিয়ে গিয়েছে? চিন্তার কারণ নেই। অলিভ অয়েল আর ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে শ্যাম্পুর পর লাগিয়ে রাখুন চুলে। বাজারে প্রচলিত কন্ডিশনারের চেয়ে এই ঘরোয়া ব্যবহারে চুল ভাল হবে।

গাছের জন্য: ডিম সেদ্ধর পর সেই পানি ও ডিমের খোসা গুঁড়া করে গাছের গোড়ায় দিন। ডিমের খোসা গাছের ক্যালসিয়াম বাড়াতে খুব কার্যকর। গাছকে নানা পতঙ্গের হাত থেকেও বাঁচায় ডিমের খোসা।

গয়না পরিষ্কার: রুপার গয়না দিন কয়েক পরলেই কালো হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বাতাসের অক্সিজেনের প্রভাবেই এমনটা হয়। ডিম এই গয়নাগুলোকে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দিতে পারে সহজেই। ডিম অনেক ক্ষণ ধরে খুব শক্ত করে সেদ্ধ করে নিতে হবে এ ক্ষেত্রে। এরপর খোসা ছাড়িয়ে দু’ভাগ করে কুসুম ছাড়িয়ে নিন। এবার সেই কুসুম একটি ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রেখে হাত দিয়ে ঝুরঝুরো করে গুঁড়িয়ে নিন। এবার তাতে হালকা কোনো পেপার টাওয়েল বিছিয়ে তার উপর রাখুন রুপার গয়নাগুলো। পাত্রের মুখের চার পাশে ময়দার প্রলেপ লেপে বায়ুশূন্য করে বন্ধ করে দিন। দু’দিন পর সেই গয়নাগুলো বার করলেই দেখবেন, কালো ভাব একেবারে উধাও। ডি-অক্সিডাইজার হিসেবে ডিমের এই ব্যবহার নানা গয়নাতেও ব্যবহার করা হয়।

রক্ত বন্ধ করতে: পিকনিকে গিয়ে বা বাড়ির মধ্যেই কোনও দুর্ঘটনাবশত কেটে গেলে দেখা যায় অনেক সময় রক্ত বন্ধ হতে চায় না। এ সময় ডিমকে কাজে লাগান। এমনিতে বাড়িতে ডিম মজুত থাকে প্রায় সকলেরই। কিংবা কোথাও পিকনিকে গেলে ডিম সেদ্ধ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া আমাদের বরাবরের অভ্যাস। সেদ্ধ ডিমের খোসা ও সাদা অংশের মাঝে যা পাতলা খোসা থাকে তা ছাড়িয়ে নিন। সেই খোসা ক্ষতস্থানে চেপে ধরে থাকলেই রক্ত বন্ধ হবে দ্রুত। এমনকি দ্রুত ক্ষতের দাগ মেশাতেও এটি বেশ কার্যকর।

জুতা পরিষ্কারে: পুরনো চামড়ার জুতার মধ্যে সাদা ঘোলাটে দাগ পড়ে যায়। ছত্রাকও জন্মাতে পারে। লকডাউনে জুতার ব্যবহারই তো কমে এসেছে। ডিমের সাদা অংশ কাপড়ে নিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন।

আঠা হিসেবে: বাড়িতে আঠা ফুরিয়ে গেছে? ময়দা, চিনি, ডিমের সাদা অংশ আর অল্প পানি মিশিয়ে তৈরি করা যাবে আঠা। সেই আঠাই ব্যবহার করতে পারেন বিকল্প হিসেবে।

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।