Home স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা রাতারাতি বিপুল পরিমাণ আইসিইউ স্থাপন সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রাতারাতি বিপুল পরিমাণ আইসিইউ স্থাপন সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

- প্রতিকী ছবি।

কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ আইসিইউ স্থাপন করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কোভিড-১৯ জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে আইসিইউ এর বদলে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) এ হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা স্থাপন ও সাধারণ ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই থাকলে হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা স্থাপন করে এইচডিই তে রূপান্তর করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর ও কোভিড হাসপাতালগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এমন নির্দেশনা দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের সকলকে আইসিইউ এর ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। চাইলেই রাতারাতি বিপুল পরিমাণ আইসিইউ স্থাপন সম্ভব নয়।’

গত ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় বলেছেন, করোনা মহামারী দীর্ঘায়িত হতে পারে, তাই পরিকল্পনাও দীর্ঘমেয়াদি নেওয়া প্রয়োজন। সারাদেশের সকল পর্যায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে করোনা মোকাবেলার জন্য জন্য সক্ষম করে তুলতে হবে।

কোভিড রোগীর চিকিৎসায় স্থানীয় উৎস থেকে রেমডিসিভির কিনতে কেন্দ্রীয় ওষুধাগারকে (সিএমএসডি) নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সিএমএসডির গুদামে ৪০০ রেমডিসিভির মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান।

আরও পড়তে পারেন-

কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিটি জেলা-উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী বেড, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন কনসেট্রেটর, ভেন্টিলেটর সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার এ বিষয়ে দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। উপজেলার রোগী যাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা পায়, সেজন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরবরাহ করা এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের রোগীদের সেখানেই রাখার জন্য সকল ফিল্ড হাসপাতাল, আইসোলেশন সেন্টার পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, সিএমএসডিতে ৩৬১টি ফাইভ ফাংশনাল এবং থ্রি ফাংশনাল আইসিইউ, ২২৫৮টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ৮০৪০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ১৬৬টি ভেলিন্টলেটর ও ৩৩৫টি হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা রয়েছে।

এছাড়া, ২৯.৬৬ লাখ পিপিই, ৬.১৪ লাখ মাস্ক ও ৪০০ রেমডিসিভির মজুদ আছে সিএমএসডিতে। গত ১ এপ্রিল পর্যন্ত ৩.৭৬ লাখ আরটি-পিসিআর কিট মজুদ থাকার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, আরও এক লাখ কিট কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিএমএসডি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্থানীয় পর্যায় থেকে আরও বেশি রেমডিসিভির কেনার পরামর্শ দিয়েছে ক্রয়কারী সংস্থাটিকে।

কোভিড মোকাবেলায় জরুরি বিবেচনায় পিসিআর কনসামবেলস, পিপিই এবং পিসিআর কিট সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সিএমএসডি।  

অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুকূলে যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খরচ করতে না পারায় সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ৪০০ কোটি টাকা কমিয়ে ১০০ কোটি নির্ধারণ করা হচ্ছে। 

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।