Home ইসলাম ঈদুল আযহার নামায পড়ার নিয়ম

ঈদুল আযহার নামায পড়ার নিয়ম

কাঠমান্ডুর কাশ্মিরি তাকিয়া মসজিদে নেপালী মুসলমানদের ঈদের নামার আদায়ের দৃশ্য। - ফাইল ছবি।

ঈদুল আযহা বা কুরবানির ঈদ। ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ কুরবানি। প্রতিবছর যিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ এ ঈদ পালিত হয়। সে হিসেবে আগামীকাল ২১ জুলাই পবিত্র কুরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

যদিও করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে হচ্ছে। ঈদের নামাজের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। ঈদগাহে ব্যাপক জনসমাগম করে ঈদের নামাজ না পড়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতি বিবেচনায় মসজিদে বা ঈদগাহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযহার নামায পড়া হবে। যেহেতু হজ্জের মাসে আত্মত্যাগের এ ঈদ মুসলিম উম্মাহর সব ধরনের পশুত্বকে নির্মূল করে। কুরবানির ঈদের নামাজ সকাল সকাল আদায় করা হয়। ঈদের নামাজের পরই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে পশু কুরবানি করতে হয়।

বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যান। তাই মুসলিম উম্মাহর সুবিধার্থে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো—

* ঈদের নামাজ ২ রাকাআত। যা আদায় করা ওয়াজিব এবং জামাআতে আদায় করতে হয়।

* ঈদের ২ রাকাআত নামাজে অতিরিক্ত ৬ তাকবির দিতে হয়।

আরও পড়তে পারেন-

প্রথম রাকাআত: আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল আজহার ২ রাকাআত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবিরের সাথে ইমামে পেছনে আদায় করছি বলে নিয়ত বাঁধতে হয়। প্রথমেই তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধবেন।

ইমাম ও মুসল্লিরা নিয়ত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ এ দোয়াটি পড়বেন-

سبحانك اللهم وبحمدك وتبارك اسمك وتعالى جدك ولا إله غيرك

সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।

তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরাও আস্তে আস্তে তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাঁধবেন।

এরপর ইমাম সাহেব সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু-সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু-সিজদা করবেন।

দ্বিতীয় রাকাআত: ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মেলানোর পর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ৩ তাকবির প্রথম রাকাআতের মতোই আদায় করবেন। এরপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন।

এ নিয়মে ঈদুল ফিতরও আদায় করা হয়। উভয় ঈদের আগে-পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নেই। এমনকি ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইক্বামতেরও প্রয়োজন হয় না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে করোনামুক্ত করুন। প্রতিবছর সুন্দর ও সুস্থ ভাবে ঈদের নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।