Home ইসলাম যে ১০ উপায়ে সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করবেন

যে ১০ উপায়ে সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করবেন

সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করতে ইসলামী শরিয়তের কিছু নির্দেশনাও আছে। যার কয়েকটি হলো—

১. নিজে নামাজে যত্নবান হওয়া :  শিশুরা বড়দের দেখে শেখে। তাই সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করার প্রথম শর্ত মা-বাবা ও অভিভাবক নিজেরা নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া। নতুবা শুধু উপদেশ খুব বেশি ফলপ্রসূ হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা যা করো না, তোমরা তা কেন বলো? তোমরা যা করো না তোমাদের তা বলা আল্লাহর কাছে অতিশয় অসন্তোষজনক।’ (সুরা : সফ, আয়াত : ২-৩)

২. নামাজ পড়ার সময় সন্তানকে পাশে রাখা : মা-বাবা যখন নামাজ আদায় করবে সন্তানকে পাশে রাখবে। যেন সন্তান তার অনুকরণ করে। (বুখারি, হাদিস : ৫১৬)

৩. বুঝমান সন্তানকে মসজিদে নেওয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে বুঝমান ও অবুঝ উভয় ধরনের শিশুকে মসজিদে নেওয়ার বিবরণ পাওয়া যায়। (নাসায়ি, হাদিস : ৫০)

তবে ইসলামী আইনজ্ঞরা বলেন, শিশু বুঝমান হওয়া বা তার বয়স সাত বছর হওয়ার আগে মসজিদে না নেওয়া উত্তম। কেননা এতে অভিভাবক ও অন্য মুসল্লিদের নামাজে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

আরও পড়তে পারেন-

৪. হাতে-কলমে নামাজ শিক্ষা দেওয়া : সন্তান সাত বছর বয়সে উপনীত হলে তাকে হাতে-কলমে নামাজ শিক্ষা দেবে মা-বাবা। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের হাতে-কলমে নামাজ শিক্ষা দিতেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে নামাজ আদায় করতে দেখো, সেভাবে নামাজ আদায় করো।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০০০৮)

৫. নামাজের জন্য পুরস্কার দেওয়া : সন্তান যেন নামাজের প্রতি যত্নবান হয়, এ জন্য তাকে পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে। ফজরের নামাজের জন্য উঠলে, মসজিদে নামাজের জামাতে হাজির হলে, নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় দোয়া, তাসবিহ ও সুরা মুখস্থ করলে তাকে পুরস্কৃত করা যেতে পারে। এ ধরনের উৎসাহমূলক পুরস্কার প্রদানে ইসলাম উৎসাহিত করে। সম্প্রতি তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে বেশ সাড়া পাওয়া গেছে।

৬. নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরা : সন্তানের সামনে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরা প্রয়োজন। নামাজের গুরুত্ব, নামাজ আদায়ের সুফল, নামাজ না পড়ার কুফল ও শাস্তি ইত্যাদি বর্ণনা করা যেতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘অন্ধকারে মসজিদে গমনকারীর জন্য কিয়ামতের দিন পূর্ণাঙ্গ আলো লাভের সুসংবাদ দাও।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৫৬১)

৭. নামাজ সম্পর্কিত ঘটনা শোনানো : নামাজ কিভাবে ফরজ হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের প্রতি কতটা যত্নবান ছিলেন, সাহাবিরা যুদ্ধের ময়দানেও কিভাবে নামাজ আদায় করেছিলেন এবং বুজুর্গ আলেমরা নামাজের মাধ্যমে কিভাবে জীবনের বিভিন্ন সংকট মোকাবেলা করেছেন—সেসব ঘটনা শিশুদের শোনালে তারা নামাজে উৎসাহি হবে।

৮. নামাজের জন্য জবাবদিহি : সন্তান ঠিকমতো নামাজ পড়ছে কি না, সেদিকেও মা-বাবাকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং নামাজে অলসতা করলে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৫৬)

৯. প্রয়োজনে শাস্তি দেওয়া : মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও। তাদের বয়স ১০ বছর হওয়ার পর নামাজের জন্য প্রহার করো এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)

১০. সন্তান নামাজি হওয়ার জন্য দোয়া করা : সন্তান যেন নামাজের প্রতি যত্নবান হয় এ জন্য মা-বাবা দোয়া করবে। যেমন ইবরাহিম (আ.) দোয়া করেছেন, ‘হে আমার রব, আমাকে নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী করুন এবং আমার বংশধরকে, হে আমার রব আমার দোয়াকে কবুল করুন।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪০)

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।