জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সভাপতি এবং দারুল উলূম দেওবন্দের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা সৈয়দ আরশাদ মাদানী জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা পরিদর্শন করেছেন। গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় তিনি জামিয়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে প্রতিষ্ঠানটির শায়খুল হাদীস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সহকারী পরিচালক মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতী মুনির হোসাইন ও মুফতী জাকির হোসাইন আল্লামা মাদানীকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান।
এরপর আল্লামা সৈয়্যদ আরশাদ মাদানী জামিয়া প্রধান আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সাথে সাক্ষাত করতে তাঁর কার্যালয়ে যান। সালাম ও মুসাফাহা শেষে ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রভাবশালী মুসলিম নেতা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন। এ সময় আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী মাওলানা মাদানীর কাছে আসামের মুসলমানদের নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এবং ভারতীয় মুসলমানদের সার্বিকি অবস্থা জানতে চান। আল্লামা মাদানীও বাংলাদেশের মুসলিম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা প্রসঙ্গ এবং কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তাবলীগ জামাতের চলমান সংকট নিয়েও উভয় নেতার মধ্যে আলাপ হয়। অত্যন্ত হৃদ্যতা ও আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশেই প্রায় আধঘণ্টা ব্যাপী মতবিনিময় হয়। এ সময় জামিয়ার মুফতী, মুহাদ্দিস ও সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুশল ও মতবিনিময় শেষে আল্লামা আরশাদ মাদানী তাঁর সম্মানে জামিয়া প্রধান আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর দেওয়া ভোজসভায় যোগ দেন। কাচ্চি বিরয়ানী ও নানা উপাদেয় বাংলা খাবার এবং বিভিন্ন ফল, দধি ও মিষ্টি দিয়ে সম্মানিত অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয়। ভোজ সভায় আল্লামা মাদানী ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে উপস্থিত উলামায়ে কেরামের সাথে কথা বলেন। এরপর আল্লামা মাদানী জামিয়ার গেস্ট হাউজে এক ঘণ্টা সময় বিশ্রাম গ্রহণ করেন।
বিশ্রাম থেকে ওঠে জামিয়ার মসজিদে যোহরের নামায আদায় শেষে আল্লামা আরশাদ মাদানী বিদায় নিয়ে জামিয়া ত্যাগ করেন। এ সময় জামিয়া শিক্ষক-ছাত্রগণ হাত নেড়ে তাঁকে আন্তরিকভাবে বিদায় জানান। আল্লামা মাদানীও হাত নেড়ে সকলকে বিদায় জানান। #