Home ওপিনিয়ন রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের রাজনৈতিক গুরুত্বটা কোথায়?

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের রাজনৈতিক গুরুত্বটা কোথায়?

- তারেকুল ইসলাম।

।। তারেকুল ইসলাম ।।

সেকুলারদের গডফাদাররা বলে, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করলে দেশ ‘প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক’ হয়ে উঠবে। আসলেই কি তাই?

অথচ সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা সত্ত্বেও কিভাবে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটলো? সেকুলাররা কি এটার জবাব দিতে পারবে?

আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব মূলত সরকারের। সেখানে সরকারের ব্যর্থতাকে আড়াল করতে সংখ্যাগুরু মুসলিমদের ওপর দায় চাপানো সেকুলারদের আরেকটা এজেন্ডা। সেই আরেকটা এজেন্ডা হলো, বিএনপি-জামাতের ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে আ’লীগকে কঠিন সময়গুলোতে ডিফেন্ড করা এবং যেকোনো মূল্যে আ’লীগকে ক্ষমতায় রাখার পক্ষে বয়ান হাজির করা।

এছাড়া, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকাকালীনই রাসূল সা.-এর অবমাননাসহ নানাভাবে এদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে একের পর এক আঘাত করা হয়েছে। আলেম-ওলামা ও ইসলামপন্থীদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। কই কখনো দেখেছেন, এসবের প্রতিবাদে সেকুলারদের ন্যূনতম আওয়াজ করতে? দেখেননি। অথচ সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হওয়া মাত্রই তারা সমস্বরে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে।

কারণ সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতেই সেকুলাররা ঢালাওভাবে তথাকথিত ‘মৌলবাদ’ ও ‘সাম্প্রদায়িকতা’র হুজুগ তুলে ইসলামপন্থীদের ব্যাশিং করার সুযোগটা পায়। তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের মূল কারণ এটাই।

তাহলে এবার বুঝুন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকলে তো ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সেকুলাররা আরো নিত্যনতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠতো! এখন তো তাও রাষ্ট্রধর্ম পর্যন্তই তাদের ইসলামবিরোধী এজেন্ডা আটকে আছে। এদেরকে আপাতত পরাস্ত করে রাখতে রাষ্ট্রধর্ম ইস্যুটাই এদেশের আলেম-ওলামা ও ইসলামপন্থীদের অন্যতম হাতিয়ার। রাষ্ট্রধর্মের রাজনৈতিক গুরুত্ব মূলত এখানেই।

অন্যদিকে, আমাদের প্রতিবেশী বৃহৎ একটি রাষ্ট্রের অন্যতম আধিপত্যবাদী এজেন্ডা হলো বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করানো। আর এদেশের শাহবাগি বাম সেকুলাররা সেই আধিপত্যবাদী এজেন্ডারই ক্রীনড়ক।

আরও পড়তে পারেন-

আধিপত্যবাদী শক্তির মদদে রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের দাবিতে ইতোমধ্যে শাহবাগে আরেকটা গণ-পিকনিকের আয়োজনের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কল্কে পায়নি। কারণ ২০১৩ সালের মতো এবার আ’লীগের দলীয় এজেন্ডার সাথে আধিপত্যবাদী শক্তির এজেন্ডা খাপ খায়নি।

পিএম শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন, তিনি এটা করবেন না বলে জোর বিশ্বাস করি। তিনি নিশ্চয়ই ভালো করে জানেন, রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের দাবিতে লাফালাফি করার জন্য ওসব উচ্ছিষ্টভোগী সেকুলারদের কোথা থেকে কাতুকুত দেয়া হয়।

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম সেদিনই বাতিল হতে পারে, যেদিন এদেশের মুসলমানরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাহারা হয়ে পড়বে। স্মরণ করুন, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু অধ্যুষিত সমগ্র ভারতবর্ষকে ক্ষুদ্রসংখ্যক মুসলিম মোঘল বাদশাহরা শাসন করেছিল।

আর তখন ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা মুসলিম বাদশাহদের মানবিক ও ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে পেলেও আমাদের কপালে কেমন জুটতে পারে তা মোদি-অমিত-যোগী আদিত্যনাথকে দেখলেই বুঝা যায়। সুতরাং, এদেশের মুসলমানদের রাজনৈতিক শাসনক্ষমতা ধরে রাখতে ইসলামের কোনো বিকল্প হতে পারে না।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।