Home ইসলাম আল্লাহর নিরাপত্তা লাভের উপায়

আল্লাহর নিরাপত্তা লাভের উপায়

মো. আবদুল মজিদ মোল্লা: আল্লাহর দয়া, অনুগ্রহ ও সাহায্য ছাড়া কোনো ব্যক্তি নিরাপদ জীবন লাভ করতে পারে না। তাই মুমিনের উচিত সব সময় ও সব কাজে আল্লাহমুখী হয়ে থাকা এবং তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। আল্লাহর সব বিধান মান্য করা বান্দার জন্য আবশ্যক। তবে এমন কিছু বিধান রয়েছে, যেগুলো সংরক্ষণ করার প্রতি মহানবী (সা.) বারবার তাগিদ দিয়েছেন। যেমন—

১. ঈমান : ঈমান রক্ষা করা মুমিনের প্রথম কাজ। ঈমান তথা বিশ্বাস রক্ষার অর্থ হলো, ঈমানবিরোধী কথা ও কাজ পরিহার। ঈমানের পরিপন্থী জীবন থেকে দূরে থাকা এবং পার্থিব জীবনে মুমিন হিসেবে জীবন যাপন করা। আর ঈমান দৃঢ় হয় এমন কাজ বেশি বেশি করা। ঈমান রক্ষার নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে এবং তার ওপর দৃঢ় থাকে, তিনি অবশ্যই তাদের তাঁর দয়া ও অনুগ্রহে শামিল করবেন এবং তাদের সরলপথে পরিচালিত করবেন।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৭৫)

আরও পড়তে পারেন-

২. নামাজ : ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য স্থানে আল্লাহ নামাজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) জীবনের অন্তিম মুহূর্তে নামাজ সংরক্ষণের অসিয়ত করেন। নামাজ সংরক্ষণের অর্থ হলো, যথাসময়ে যথানিয়মে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায় করা। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নামাজের প্রতি যত্নবান হও এবং বিশেষত মধ্যবর্তী নামাজের।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩৮)

৩. পবিত্রতা : পবিত্রতা মুমিনজীবনের সৌন্দর্য। মুমিন দেহ ও মনের দিক থেকে সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করবে। অপবিত্রতা থেকে নিজের দেহ-মনকে রক্ষা করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) পবিত্রতা রক্ষায় মুমিনকে যত্নবান হতে উদ্বুদ্ধ করে বলেছেন, ‘প্রকৃত মুমিন ছাড়া আর কেউই অজুর প্রতি যত্নবান হয় না।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২২৪৩৬)

৪. মাথা ও পেটের হেফাজত : মাথা সংরক্ষণের অর্থ হলো, সুচিন্তা করা এবং ভালো ও পুণ্যের কাজে নিজের বিবেক-বুদ্ধি ও মেধাকে ব্যবহার করা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জ্ঞানার্জন করা। আর পেটের হেফাজতের অর্থ হলো, হারাম উপার্জন ও খাবার-পানীয় থেকে বিরত থাকা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহকে যথাযথ লজ্জা করার অর্থ হলো মাথা ও তা যা কিছু ধারণ করে, তার হেফাজত করা এবং পেট ও তাতে যা প্রবেশ করে, তা সংরক্ষণ করা।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৫৪)

৫. লজ্জাস্থানের হেফাজত : লজ্জাস্থানের সংরক্ষণের অর্থ হলো হারাম উপায়ে জৈবিক চাহিদা পূরণ না করা এবং আল্লাহর নির্দেশমতে বৈধ উপায়ে তা পূরণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি মুমিনদের বলুন! তারা যেন তাদের চোখ অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩০)

আল্লাহ সবাইকে নিরাপদ জীবন দান করুন। আমিন।

লেখক : সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন