Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন ‘কুরআন সংরক্ষণ ও ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে আলেমগণ অনন্য গৌরবময় দায়িত্ব পালন করছেন’

‘কুরআন সংরক্ষণ ও ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে আলেমগণ অনন্য গৌরবময় দায়িত্ব পালন করছেন’

[রাজধানীর অন্যতম বিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, উত্তরা জামেয়াতুন নূর আল-কাসেমিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও উত্তরা ১২নং সেক্টর বায়তুন নূর জামে মসজিদের খতীব আল্লামা হাফেজ নাজমুল হাসান কাসেমী শুক্রবার (৫ নভেম্বর) জুমায় মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেছেন, বিষয়বস্তুর গুরুত্ব বিবেচনা করে বয়ানের হুবহু অনুলিপি উম্মাহ পাঠক সমীপে উপস্থাপন করা হল -সম্পাদক]

বয়ানে বায়তুন নূর জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব আল্লামা নাজমুল হাসান কাসেমী জুমার বয়ানে বলেন, মুআয্যায মুহতারাম উলামায়ে কেরাম, মুসল্লিয়ানে ই’যাম, মহান রবের দরবারে লাখো কোটি শোকরিয়া যে, তিনি আমাদেরকে পূর্ণ সুস্থতার সাথে জুমুআর নামায আদায় করতে মসজিদে আসার তাওফীক দান করেছেন। আসুন, রবের এই দয়ার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আমরা সকলেই হৃদয়ের গহীন থেকে বলি- ‘আলহামদুলিল্লাহ!

আমরা আল্লাহর বান্দা, আর তিনি আমাদের রব ও পালনকর্তা। স্রষ্টা হিসেবে তিনি আমাদের উপর অনেক দয়া ও অনুগ্রহ করেছেন, তার মধ্য হতে অনন্য এক অনুগ্রহের নাম আল-কুরআন। তাই আমাদের আজকের বিষয়বস্তু “কুরআন সংরক্ষণের মাধ্যমেই আলেমগণ যুগে যুগে ইসলাম সংরক্ষণ করেছেন”।

প্রিয় ভাইয়েরা! আল্লাহ পাকের কালাম এই কুরআন শরীফ। পুরোটাই এক মহা ধনভান্ডার। যা আল্লাহর সিফাত। নাযিলকৃত ১১৪ চৌদ্দটি সূরা, অর্থাৎ পুরো কুরআন আল্লাহর সিফাত বা গুণ। মনে রাখা ভাল, আল্লাহর যেমন শুরু ও শেষ নাই, ঠিক তদ্রুপ তাঁর সিফাতেরও শুরু নাই, আবার শেষও নাই। আল্লাহ তায়ালা যেমন অনন্ত ও অসীম, ঠিক তদ্রুপ তাঁর গুণাবলীও।

কুরআন ও অন্যান্য আসমানী কিতাবের মাঝে পার্থক্য

কুরআনে কারীম সরাসরি কালামুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর কথা। এছাড়া বাকি সকল আসমানী কিতাব ‘কিতাবুল্লাহ’। অর্থাৎ আল্লাহর প্রেরিত পুস্তক।

এই জন্যে কুরআনের গুরুত্ব ও ফযীলত নিয়ে যতগুলো হাদীস আমাদের কাছে সহীহ পদ্ধতিতে পৌঁছেছে, তার মধ্য থেকে অনন্য এক হাদীস হলো- خيركم من تعلم القران وعلمه অর্থাৎ “তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিখায়!” সুবহানাল্লাহ।

এখানে একটি লক্ষণীয় বিষয় দেখুন! কুরআনের ছাত্র ও উস্তাদদের কত বড় সম্মানের কথা বলা হয়েছে। অথচ আমরা ধারণা করি, মক্তবের ছাত্র ও উস্তাদগণ যারা কুরআন পড়েন ও পড়ায় তাঁরা খুব ছোট। অথচ আল্লাহর নবী বলেছেন, তাঁরাই সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত। এমনকি এই কুরআন পাঠে প্রত্যেকটা অক্ষরে কমপক্ষে দশটি করে নেকি দেওয়া হয়, যদিও সে না বুঝে পড়ে। তাই তো আল্লাহর নবী বলেছেন ‘আলিফ, লাম, মীম’ তিনটা আলাদা আলাদা শব্দ, এমনকি এই তিনটার জন্য ত্রিশ নেকী পাওয়া যাবে। চাই তিলাওতকারী বুঝে পড়ুক অথবা না বুঝে পড়ুক।

অনেকেই মনে করেন কুরআন বুঝা বা বুঝে পড়াটা আসল। এই জন্যে অনেকেই বাংলা কুরআন কিনে তিলাওয়াত করে থাকেন, আর শেষ করে মনে করেন যে, আমি একদম পারফেক্ট কাজ করেছি। অথচ এভাবে তিলাওয়াত করে তিনি একটাও নেকি পান না! কারণ, তিনি কুরআনের মত করে কুরআন তিলওয়াত করেননি। এতে কুরআনের অর্থ বুঝার ফায়দা হলেও তিলাওয়াতের সওয়াব অর্জিত হবে না।

মোটা দাগে একটা কথা বলি, এটা মনে রাখবেন! আমরা আজ যেভাবে তিলওয়াত করছি এবং করি, ঠিক সেভাবেই আল্লাহর নবী মসজিদুল হারামে তিলওয়াত করতেন। রমজান মাসেও একইভাবে তিলওয়াত করি আমরা, যেভাবে চৌদ্দশত বছর আগে করা হত। যুগে যুগে আমরা সেটা সংরক্ষণ করেছি তাঁদের মত করে। আর এটা সম্ভব হয়েছে তাঁদের কারণেই।

অথচ তাওরাত, যবুর যেগুলো আজ রয়ে গেছে সেগুলো সম্পর্কে পোপ ও পাদ্রিদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, মূল আসমানী কিতাব বহাল নেই। এটা তারাও স্বীকার করতে বাধ্য। তার কারণ হল, তারা ভাষান্তরিত কিতাবগুলো পড়েছে এবং শিখেছে। আমরাও যদি শুধু ভাষান্তরিত কিতাব পড়তাম তাহলে আমাদেরও একই পরিণতি হত। কিন্তু আমরা সেটা করিনি। যথাযথ সংরক্ষণ করেছি এবং বলেছি আল্লাহর আয়াত তো সত্য, যা তিনি কোরআনে বলেছেন, وانا له لحافظون “আমি নিজেই তা সংরক্ষণ করব।”

আরেকটা কথা, ভাষান্তরিত কিতাব পড়লে মূল কিতাবের সওয়াব কোনদিনও আপনি পাবেন না। এটা চিরাচরিত সত্য।

আর সওয়াব হবেই বা কীভাবে? ভাষান্তরিত তিলওয়াত দিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ তো আর হয় না। আরবী খুতবা কেন আমরা সংরক্ষণ করি? কারণ সাহাবারা যেভাবে দিয়েছেন আমরাও সেভাবেই দিই এবং এটাই করণীয়, নয়তো খুতবার হক আদায় হবে না।

সম্মানিত মুসল্লিয়ান! ইতিহাস সাক্ষী, আমাদের সব সফলতাও ছিল কুরআনের এই ভাষাকে কেন্দ্র করে। আর সেজন্যেই যুগে যুগে কুরআনের এই ভাষার উপরে ইসলাম বিদ্বেষীরা এমন পরিকল্পনা এঁটেছে, যাতে কুরআনের এই ভাষা আমাদের উপর না থাকে, ব্রিটিশরা দুইশো বছর রাজত্বকালে আমাদের এই কুরআনের উপর আঘাত করেছে। আমরাও প্রথম এক শতাব্দী ১৭৫৭ – ১৮৫৭ সিপাহী বিপ্লবের পূর্বপর্যন্ত স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনা করেছি খালেস দীনদার ও বুজুর্গ ব্যাক্তিদের মাধ্যমে।

আরও পড়তে পারেন-

বেরলভী সহ অনেকেই তার প্রমাণ বহন করে। আহ্, উম্মাহর তরে জীবন দেয়া সেইসব মহা মনীষীদের কোনোদিন ভুলা যাবে না। শাহ আবদুল আজিজের বিপ্লবী ফতুয়া “দারুল হরব” ঘোষণার পর পুরো ভারতবর্ষে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের বৈধতা নিয়ে এসেছিল। তখনই হযরতের শাগরিদ বেরলভী ও ইসমাইল শহীদ সহ অনেকেই যুদ্ধ করে শহীদ হন।

আর ঠিক সেই সময়ে ব্রিটিশরা বুঝতে পারলো, আলেমদেরকে সরাতে না পারলে তাদের রাজত্ব স্থায়ী হবে না। সেজন্যে তারা দ্বীনি শিক্ষার পথ বন্ধ করে পুঁথি ভিত্তিক শিক্ষার পথ করে চালু করে দেয় এবং আদেশ জারি করে, মসজিদ মাদরাসায় শিক্ষার কোন প্রয়োজন নেই। আমরা যথাযথ শিক্ষার বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি।

অথচ তখন মানুষ মানুষের কাছ থেকে শিখতো, উস্তাদের থেকে শিখতো এবং মসজিদ মাদরাসা থেকে শিখতো। তখন ইংরেজরা পুঁথি শিক্ষার সূচনা করে বলেছেন ‘ভাল শিক্ষা বাথরুমের দেয়ালে থাকলেও গ্রহণ করো।’ এসব ছিল শিক্ষার মান কমানো এবং আলেমদের হটিয়ে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা স্থায়ী করার পাঁয়তারা।

ভাবা যায়! এই সামান্য শিক্ষা দিয়ে কীভাবে আমাদের এত বড় শিক্ষাকে উপেক্ষা করা হয়েছিল! অথচ আমাদের হাদীস সত্যের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ। কেননা আমরা সূত্র বলে দিতাম। মুহাদ্দিসগণ যাদের থেকে হাদীস নিতেন তাঁদের নাম বলে দিতেন। এবং তাঁরা সাহাবী পর্যন্ত নাম বলে দিতেন। এইজন্যে আমরা আমাদের শিক্ষায় বহুগুণ শক্তিশালী ছিলাম। যাতে ভুলের কোন আশংকা ছিল না।

ছোট্ট একটা ঘটনা বলি, একদা এক মুহাদ্দিস একজনের থেকে একটা হাদীস গ্রহণ করার সংকল্প নিয়ে ইরাক গমন করেন। অতঃপর দেখেন তিনি ঘোড়ার সঙ্গে প্রতারণাপূর্ণ ব্যবহার করছেন, খাবার না দিয়ে ডেকে এনে ধরপাকড় করছেন। তাই ভাবলেন ঘোড়ার সঙ্গে প্রতারণা করা লোক রাসূলের হাদীসের সঙ্গেও প্রতারণা করতে পারেন। তাই তিনি হাদীস গ্রহণ না করে ফিরে আসেন।

অনেকেই বলেন, হাদীস দুইশো বছর পরে সংরক্ষিত হয়েছে, তাই সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। দেখুন বাস্তবতা, কীভাবে আমরা সংরক্ষণ করেছি। এরপরেও কি মিথ্যা বলবেন? না, কোন সুযোগ নেই। আমরা তো জানি এই হাদীস- من كذب علي متعمدا فليتبوا مقعده في النار

“যে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নামে মিথ্যাচার করল সে যেন জাহান্নামে তার স্থান বানিয়ে নিল।” তাহলে কীভাবে আমরা হাদীস নিয়ে মিথ্যা বলতে পারি? আর এভাবেই সংরক্ষণ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, تركت فيكم امرين لن تضلوا لو تمسكتم بهما كتاب الله وسنه رسوله

“তোমাদের মাঝে আমি দুইটা জিনিস রেখে যাচ্ছি, ‘কুরআন ও সুন্নাহ’ এই দুইটা আকড়ে ধরলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না।”

মনে রাখবেন, কুরআন ধরে উম্মত সম্মানিত হয়েছে আর ছেড়ে লাঞ্ছিত হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী, কুরআন যারা ধরেছে আল্লাহ তাঁদেরকেই সম্মানিত করেছেন, আর যারা ছেড়েছে তাঁরাই চিরলাঞ্ছিত।

এইজন্যেই ব্রিটিশরা আমাদের থেকে কুরআন সরিয়ে পুঁথি শিক্ষা দিয়ে আমাদেরকে লাঞ্ছিত করার ষড়যন্ত্র করেছে। আর তাঁরা সেটা অনেক ভেবেচিন্তে করেছে, যার ধরণপ্রক্রিয়া ছিল এমন, ওয়াকফ স্টেটে নির্মাণ করা হয়েছিল সব মসজিদ-মাদরাসা, যা মোগল সম্রাট এবং বিভিন্ন নবাবদের ওয়াকফ করা, তাই ব্রিটিশরা সবকিছুকে অধ্যাদেশে বাতিল করে দিয়ে এনেমি প্রপার্টি বানিয়ে ফেলল। সাথে সাথেই সবকিছু সরকারি সম্পদ হয়ে গেল এবং বলে দিল, অনুৎপাদনশীল খাতে খরচ করা অবাঞ্ছনীয়। আর তখনই মুসলিমরা নিরুপায় হয়ে যায়। মুসলিমগণ সংকটে পড়ে গেলেন, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক মহাসংকটে।

তখন সরকারি লোকেরা বলল, তোমাদের শিক্ষার ব্যাবস্থা করে দিব আমরা, মাদরাসাও করে দিব, কিন্তু নিজেদের মত করে। তখন খ্রিস্টান দিয়েও মাদরাসা পরিচালিত হত, কেউ কোন আপত্তি করার সুযোগ পেত না। আসলে তারা এমনটা করেছিল ইসলাম ও মুসলিমদের ঈমানী চেতনাবোধ বিনষ্ট করে পরাভূত করার জন্য। কিন্তু আমাদের উলামাগণ বুঝে ফেললেন এসব কিছু কেবলই মানুষদেরকে ধর্মহীন, কুরানহীন ও ধর্মবিদ্বেষী করার জন্য। যা সুকৌশলে করছে ব্রিটিশ জবরদখলকারীরা। এরা যেই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছিল মূলত এর ফলেই আমাদের দেশে অনেক ধর্মবিদ্বেষী প্রফেসর এবং লেকচারার পাওয়া যায়, এসব মূলত তাদের দেওয়া বীজ। তাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাটাই এমন।

নয়তো দেখুন, আমাদের শিক্ষকরা কেমন ছিলেন আর এখন কেমন? পূতপবিত্র শিক্ষকগণ এখন কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত। অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। এইজন্যেই আমাদের উলামাগণ যারা আম্বিয়াদের ইলমের ওয়ারিশ তাঁরা (নবীদের ওয়ারিশ সম্পদের ক্ষেত্রে কেউ হন না, সেজন্যে ফাতেমা রা.ও মিরাছ পাননি) দেখলেন নবীর মিরাছ তো শেষ হয়ে যাবে। সেটা আমাদের আবার চালু করতে হবে। আর তখনই তাঁরা চালু করেন আজকের এই মসজিদ এবং মাদরাসা সিস্টেম। যাতে সরকারি কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না।

এই সিস্টেমটা আমাদের উলামায়ে দেওবন্দ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এটা হাজার বছর পর্যন্ত চলতে থাকবে ইনশা আল্লাহ্। যাতে কোন সরকারী অনুদান কিংবা সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। এমনকি আপনাদের এই মসজিদটা তাঁর সবচে বড় প্রমাণ। এই মসজিভিত্তিক দ্বীনি কার্যক্রমে কোন সরকারি হস্তক্ষেপ হয় না।

আর এভাবেই কওমি মাদরাসার গোড়াপত্তন হয় ১৮৬৬ সালে। দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার পর থেকে পুরোটা সময় সে তার সফলতা দেখিয়েছে বিশ্বকে। কোন ধরনের সরকারি সাহায্য ছাড়াই এখনও পর্যন্ত চলমান। সরকার যদি কখনও কোন সহযোগিতা করতে চেয়েছে উলামায়ে দেওবন্দ সর্বদা সম্মান ও বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আর এই সিলসিলায় আমাদের কওমি মাদরাসা ও মসজিদ সফলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে, আলহামদুলিল্লাহ। মনে রাখবেন, উলামায়ে কেরামের সাধনা ও আত্মত্যাগের বদৌলতেই বিশ্বের মুসলমানরা এখন শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারেন। তাও মাত্র ছয়মাসেই। খুব বেশি না। এমনকি উলামাদের চেষ্টার ফলেই বিশ্ববাসী শুদ্ধভাবে নামাজ পড়তে পারেন। ইবাদত করতে পারেন। নিঃসন্দেহে এটাই আমরা আলেমদের সফলতা। বিশ্ব আমাদের সফলতার গল্পটা জানে। আপনারাও জানেন। আমরা বিশ্বকে সর্বদা দিয়েই থাকি। বিশ্ব আমাদের ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবে না।

অনুলিখন- মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, জামিয়াতুন নূর আল-কাসেমিয়া, উত্তরা, ঢাকা।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।