Home শিক্ষা ও সাহিত্য তালিবে ইলম তথা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি

তালিবে ইলম তথা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি

।। শায়খ মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন ।।

তালিবে ইলমদের তরবিয়ত অত্যন্ত জরুরী বিষয়, কিন্তু তাও হতে হবে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে। নিম্নে তরবিয়তের কিছু নিয়ম-নীতি উল্লেখ করা হলো-

ভুলধরারপদ্ধতি : ছাত্ররা কোন ভুল করলে গাধা! ভুল কর! লজ্জা লাগে না, লেখা পড়া তো নেই, এখানে সময় নষ্ট করতে এসেছো, তোমার কপালে লেখা-পড়া নেই। এ ধরনের কথা কখনো বলতে নেই। এতে ছাত্রদের মন ভেঙ্গে যায়। লেখা-পড়ার আগ্রহ কমে যায়। তাই তাদেরকে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে সামনে অগ্রসর করতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে ভুল শুধরাতেন? বুযুর্গানে দ্বীন কীভাবে ভুল শুধরাতেন, আমাদেরকে তা অনুসরণ করে চলতে হবে। তবেই আমাদের তরবিয়ত ফলপ্রসু হবে।

একবার হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. মসজিদে প্রবেশ করা মাত্রই দেখেন ইমাম রুকতে, তিনি সেখানেই নিয়ত বেঁধে রুকুতে চলে গেলেন। অতঃপর আস্তে আস্তে হেঁটে হেঁটে কাতারে শামিল হলেন। নামায শেষ করে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম زادك الله حرصا “আল্লাহ তোমার আগ্রহকে আরো বৃদ্ধি করুন” বলে তাকে উৎসাহিত করলেন। অতঃপর বললেন, لا تعد অর্থাৎ আগামীতে আর এমন করবে না।

এখানে তিনি এভাবেও বলতে পারতেন যে, আবূ হুরায়রা! এখানে কি তুমি নামায পড়তে এসেছো, নাকি ব্যায়াম করতে এসেছো?। বেহাঙ্গাম! এখনও নামায শিখোনি। নামাযকে তামাশা বানিয়েছো। কিন্তু তিনি এগুলো না বলে কত সুন্দর পদ্ধতিতে তাঁকে শুধরে দিলেন। উক্ত হাদীস থেকে পরিস্কার ভাবে একথা বুঝা গেলো যে-

ক. কেউ ভুল করলে তা শুধরাতে হবে।
খ. মন ভাঙ্গা যাবে না, আগে উৎসাহ দিয়ে তারপর শুধরাতে হবে।
গ. যে ভুল করেছে তার জন্য দু’আও করতে হবে।

ভুল যে পর্যায়ের সংশোধনও সে পর্যায়ের

সামান্য ভুলের জন্যে আমরা অনেক সময় বাড়াবাড়ি করে ফেলি। এটা আসলে নিয়ম নয়। ভুল যে পর্যায়ের সংশোধনও হতে হবে সে পর্যায়ের। আমার নিজের জানা, এক ছেলে কানি ফাড়া জামা গায়ে দিয়ে ক্লাসে এসেছে। শিক্ষক তার জামার দুই কানি ধরে টেনে বগল পর্যন্ত চিরে দিলেন এবং ছাত্রকে ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে বললেন, গোল জামা ছাড়া ক্লাসে আসতে পারবে না।

ছাত্রটি বেরিয়ে গেলো। আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হলো। দাঁড়ি কাটলো। এখন এক এন.জি.ও তে চাকরি করছে। আরেক ছাত্রকে কানি ফাড়া জামা পরিধান করার অপরাধে কেচি এনে জামার কানি কেটে দেয়া হলো, এরপর ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হলো। ছাত্র বের হয়ে স্কুলে ভর্তি হলো, পরবর্তীতে নামাযও ছেড়ে দিয়েছে।

বলুন! ছাত্রগুলো যে বে-লাইনে চলে গেলো এদের দায়-দায়িত্ব কার উপর বর্তাবে? বিষয়গুলোতো এতো মারাত্মক কোন অন্যায় ছিলো না। انا لله وانا اليه راجعون. মুফতী আযম পাকিস্তান আল্লামা মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ. কিছু লোকেরা কেবলমাত্র আদব ও মুস্তাহাব বর্জন করার জন্য ভৎর্সনা আরম্ভ করে দেন, তাদের এ কর্মপদ্ধতি সঠিক নয়। আদব ও মুস্তাহাবের তালীম ও তাকীদতো অবশ্যই করবে। এর প্রতি উৎসাহ অবশ্যই যোগাবে। কেউ এগুলোর উপর আমল না করলে ভদ্রভাবে ও আদবের সাথে তাকে মনোযোগী করতে হবে। কিন্তু এ কারণে তাকে তিরস্কার করা মোটেও জায়েয নয়।

১ম স্তর: কোন ছাত্রকে গোয়েন্দাবৃত্তিতে ব্যবহার না করা

দারুল উলুম করাচীতে মাঝে মাঝে তাদরীবুল আসাতিজা বা শিক্ষক প্রশিক্ষণ নামে ১৫ দিন ব্যাপী সেমিনার হতো। কোন এক সেমিনারে বর্তমান মুফতী আযম পাকিস্তান হযরত মাওলানা মুফতী রফী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম একটি কথা বলেছেন, কোন কোন শিক্ষককে দেখা যায় তালিবে ইলমকে সি.আই.ডি হিসেবে ব্যবহার করে যে, তুমি দেখবে, কে কী করে না করে, কে কোথায় যায় না যায়। অতঃপর আমাকে জানাবে। হযরত বললেন, এটা নিয়ম নয়। এতে করে যাকে সি.আই.ডি রাখলাম তার জীবন শেষ হয়ে যাবে। এ ছাত্র সাধারণত মানুষ হবে না। এর বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন-

১. তাকে ছাত্ররা ভালো দৃষ্টিতে দেখে না; ২. তাকে কেউ ভালবাসে না; ৩. তার উপর অনেকের মনে কষ্ট থাকে; ৪. তাকে অনেকে বদ দু’আ দেয়; ৫. পরবর্তীতে তার আলোচনা প্রশংসা সম্বলিত হয় না; ৬. তাকে সি.আই.ডিগিরি করতে গিয়ে নিজের লেখাপড়া নষ্ট করতে হয়; ৭. অনেক সময় সে সুযোগকে প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে; ৮. এটা নিয়ে অনেক সময় অন্যদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়; ৯. এ দায়িত্ব পেয়ে সে নিজেকে অনেক বড় মনে করে, যা অহংকারের নামান্তর ; ১০. ছাত্রদের চোখে ধোকা দেয়ার জন্য অনেক সময় সে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে; ইত্যাদি।

২য় স্তর: মারহালায়ে তাসামুহ

তরবিয়তের ২য় মারহালা হবে তাসামুহের মারহালা। দেখেও দেখিনি, শুনেও শুনিনি, বুঝেও বুঝিনি। এভাবে চলতে হবে, এক সময় সে নিজেই ঠিক হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, যদি তার অন্যায় এত বৃদ্ধি পায় যে, না দেখার ভান করলে হবেনা অথবা সে বুঝে ফেলেছে যে, আমার এ অন্যায়ের সংবাদ হুযুর পেয়ে গেছেন। হুযুর বুঝে ফেলেছেন আমি অপরাধ করেছি। এখন আর তাসামুহ করলে হবেনা। তাহলে তার দুঃসাহসিকতা বেড়ে যাবে। এখন তার তরবিয়তের লক্ষ্যে প্রয়োজন বোধে শাস্তি দিতে হবে।

৩য় স্তর: বয়স যতই বেশি হোক তবুও সে ছাত্র

দ্বিতীয় কথা হলো ছাত্রতো ছাত্রই। বয়স যতই বেশি হোক সে ছাত্র। আমাদের কুমিল্লার প্রাচীনতম মাদরাসা বরুড়া মাদরাসা। ওখানে মাওলানা হিফজুর রহমান সাহেব (দা.বা.) এর কামরায় আমি বসে আছি। এক বুড়ো, চুল দাড়ি সব ধবধবে সাদা। একটি চিলুমচি এনেছেন আমাকে হাত ধোয়াতে। হাতে একটি পোটলা। আমি ভেবেছি হয়তো মাদরাসার কোন খাদেম হবেন। তাই আমি জিজ্ঞেস করলাম, মুরুব্বী আপনি কে? কেন আমাকে হাত ধোয়াবেন? সে বলল! হুযুর আমি এই মাদরাসার একজন ছাত্র, তালিবে ইলম, শরহে বেকায়া (এইচ.এস.সি) পড়ি।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, এতদিন কোথায় ছিলেন? উত্তরে বললেন, আমি হাইস্কুলের হেড মাষ্টার ছিলাম। তারপর রি-টায়ার্ড করে এখানে ইযাজদাহুমে (৪র্থ শ্রেণী) ভর্তি হলাম। মাত্র শরহে বেকায়া পর্যন্ত এসেছি। আমি বললাম, আমাকে হাত ধোয়াবেন কেন? আপনার হাতে এগুলো কী? তিনি বললেন, হুযুর! আমি বহুদিন থেকে আপনার নাম শুনে আসছি। আপনাকে দেখতে খুব মন চেয়েছে। কখনো দেখার সু্যোগ হয়নি, আজ হঠাৎ সংবাদ পেলাম আপনি এখানে এসেছেন। তাই আমি দৌঁড়ে গিয়ে বাজার থেকে মিষ্টি এনেছি আপনাকে খাওয়াতে, এটা আমার মনের আবেগ।

আরও পড়তে পারেন-

বেচারার আবেগ, তাই হাত ধুয়ে নিলাম। মিষ্টি একটু খেলাম। আমি খোঁজ রাখতাম মাওলানা হিফজুর রহমান সাহেবের কাছে। পরে জানতে পারলাম ঐ ছাত্র দাওরা হাদিস পাশ করেছে এবং ঐ মাদরাসার উস্তাদও হয়েছে। আমি হিফজুর রহমান সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম- ভাই! তিনি তো হেড মাষ্টার, তালিবে ইলমের যে সকল স্বভাব থাকে সেগুলোকি তার মধ্যেও আছে? না শিক্ষকের স্বভাব? বললেন যে, না ভাই! একচুলও বেশ কম নেই। তালিবে ইলমের যে স্বভাব তার মধ্যে পুরোপুরিই আছে। যদিও তিনি রি-টায়ার্ড করে এখানে এসেছেন।

তালিবে ইলম তালিবে ইলমই, বয়স যতই বেশি হোক না কেন। তার মধ্যে ছেলে মানুষী থাকবেই, শিশুত্ব থাকবেই। এটাই তার স্বভাব ও বৈশিষ্ট। এখন আপনি যদি তার প্রতিটি নকল ও হরকত, উঠা-বসা ধরতে যান, তাহলে আপনাকে সারাদিন এ কাজই কার লাগবে। লেখা-পড়া কিংবা অন্য কিছু করার সুযোগ পাবে না।

৩য় স্তরঃ রাগ ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা

তরবিয়তের নিয়ম ও বেতের শাস্তি বা শারীরিক শাস্তি সম্পর্কে হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদুল মিল্লাত শাহ্ আশরাফ আলী থানভী রহ.-এর একটি বক্তব্য “আল ইবকার” মধ্যে উল্লেখ আছে। হযরত বলেন, তালিবে ইলমের বে-উনওয়ানী, গোস্তাখী, বে-আদবী দেখলে মানুষ হিসেবে উস্তাদের গোস্বা আসাই স্বাভাবিক, গোস্বা আসবেই। এমন সময় আপনি যদি একটি বেত নিয়ে বেত্রাঘাত শুরু করেন তাহলে আপনিও সীমালঙ্ঘন করবেন।

কারণ, গোস্বা অবস্থায় মানুষ নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না। সেও সীমালঙ্ঘন করেছে বে-আদবী করেছে, আর আপনিও তরবিয়ত করতে গিয়ে সীমালঙ্ঘন করলেন, তাহলে সে আর আপনার মধ্যে পার্থক্য কী রইল? তাই এখন তাকে বেত্রাঘাত করা যাবে না। এখন তাকে শাসন করা যাবে না। শাসন কখন করব? গোস্বা ঠান্ডা হলে। গোস্বা ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

রাগ সংবরণ পদ্ধতি

রাগ কিভাবে দমন হবে? ১. তাকে সামনে থেকে সরিয়ে দিন, তাহলে গোস্বা ঠান্ডা হয়ে যাবে। ২. তাকে সামনে থেকে সরানো সম্ভব না হলে আপনি সরে যান। ৩. সরে গিয়েছেন তবুও ঠান্ডা হয়নি, তাহলে ঠান্ডা পানি পান করুন। ৪. ঠান্ডা পানি পান করলেন, এরপরও ঠান্ডা হয়নি, তাহলে দাঁড়ানো থাকলে বসে পড়ুন।

৫. এরপরও ঠান্ডা হয়নি, তাহলে শুয়ে পড়ুন। ৬. এরপরও ঠান্ডা হয়নি, তাহলে উযু করুন। ৭. এরপরও ঠান্ডা না হলে গোসল করুন ৮. এরপরও ঠান্ডা না হলে, والكا ظمين الغظ والغافين عن الناس বেশি বেশি পড়তে থাকুন।

৯. এরপরও ঠান্ডা না হলে, পড়তে থাকুন- اعوذ بالله من الشيطان الرجيم ১০. এর পরও ঠান্ডা না হলে বেশি বেশি, بسم الله الرحمن الرحيم পড়তে থাকুন। ইনশাআল্লাহ রাগ ঠান্ডা হয়ে যাবে। মোটকথা, রাগ ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখাই হলো আসল বীরত্ব। নবী কারীম ﷺ ইরশাদ করেন-

عن أبي هريرة- رضي الله تعالي عنه– عن النبي– صلي الله عليه وسلم – ليس الشديد بالصرعة، ولكن الشديد الذين يملك نفسه عند الغضب.

অর্থ- ঐ ব্যক্তি প্রকৃত বীর নয়, যে অন্যকে পরাজিত করে, বরং প্রকৃত বীর সেই, যে ক্রোধের মুহুর্তেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। (মুসনাদুল ইমাম আহমাদ, হাদীস নং ৭২৮৯) গোস্বা ঠান্ডা হয়েছে, তাহলে তাকে ডাকুন, তাকে ডেকেই কি একটি বেত হাতে নিয়ে বেত্রাঘাত শুরু করে দিবেন? না, এখনও সময় আসেনি, কি করতে হবে।

৪র্থ স্তরঃ অন্যায়ের পরিধি পরিমাপ করা

এখন তার অন্যায়ের পরিধি পরিমাপ করতে হবে। অন্যায় কী পরিমাণ, সে হিসেবে তাকে কী শাস্তি দেয়া যেতে পারে, এটা মাপতে হবে। মেপেই কি বেত্রাঘাত শুরু করব? না এখনও সময় আসেনি। এখন দেখতে হবে শাস্তি না দিলে চলে কিনা।

৫ম স্তরঃ শাস্তি না দিলে চলে কিনা, তা দেখা

যদি দেখেন এতটুকুই যথেষ্ট, ছাত্র জানতে পেরেছে যে, হুযুর আমার অন্যায়ের কথা জেনে গেছেন। অনেকের তরবিয়ত এর দ্বারাই হয়ে যায়। তাহলে তাকে আর অন্য কিছু করা যাবে না।

৬ষ্ঠ স্তরঃ ধমক দেয়া

যদি দেখেন যে, না, শুধু এতটুকুতে তার তরবিয়ত হবে না, আরো সামনে বাড়তে হবে, তাহলে সামনে বাড়া লাগবে। কিছু ধমকিও দিতে হবে, কেউ কেউ আছে একটু ধমক দিয়ে বিদায় দিলেই হয়ে যায়, তাহলে তাকে বেত্রাঘাত করা যাবে না। ধমক দিয়েই বিদায় করতে হবে। ধমক ও বদ-দু’আ সংমিশ্রণ হতে পারবে না। যথা সাধ্য দু’আর সংমিশ্রণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।

নোয়াখালী ইসলামীয়ার প্রিন্সিপাল ছিলেন হযরত মাওলানা কাসেম সাহেব রহ.। তিনি কোন ছাত্রের উপর রাগ হলে জোর আওয়াজে নেক বখত বলে ধমক দিতেন। একদিন বলা হলো, হুযুর! এটি কোন ধমক হলো?

হুযুর জবাব দিলেন যে, আমি এখানে মানুষ গড়তে এসেছি, কারো জীবন নষ্ট করতে আসিনি। আমি বদবখত বলে গালি দিলাম, আর তাই আল্লাহ পাকের দরবারে লেগে গেলো, ছাত্রের জীবন বরবাদ হয়ে গেলো। পক্ষান্তরে আমার নেকবখত গালি লেগে গেলে তার জীবনের পরিবর্তন ঘটে যাবে। সুবহানাল্লাহ্! কত গভীর ভাবনা! [চলবে]

[শায়খ আল্লামা মুফতি দিলাওয়ার হুসাইনের বয়ান থেকে সংকলিত]

সংকলক- মুহাম্মদ আশরাফ আলী, চান্দিনা, কুমিল্লা।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।