Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন ‘পবিত্র কুরআন’ বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ

‘পবিত্র কুরআন’ বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ

।। মুফতি আবু সাঈদ ।।

পৃথিবীতে কোটি কোটি মুসলমান বসবাস করে। আর মুসলিম সমাজে শিশুকাল থেকেই কুরআন শেখার ব্যাপক একটি প্রচলন রয়েছে। তাই বলা যায়, অল্প-স্বল্প হলেও গড়ে অধিকাংশ মুসলমান কুরআনের পাঠক।

এদিকে প্রত্যেক মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় করা ফরজ। সেগুলোর আগে-পরে রয়েছে- বিতির নামাজ, সুন্নতে মুয়াক্কাদা, তারাবী, সুন্নতে যায়েদা, তাহাজ্জুদ, আওয়াবিন, ইশরাক, চাশত, তাওবা এবং মঙ্গল কামনার নামাজসহ আরো বহুপ্রকারের নফল নামাজ। যেগুলোর আদায় সহীহ-শুদ্ধ হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো, কুরআনের কিছু অংশ তাতে পাঠ করা।

সুতরাং এগুলোতে যে পাঠ বা তেলাওয়াত করা হয়ে থাকে তা সেই মহাগ্রন্থেরই তেলাওয়াত। এছাড়াও রাতে-দিনে, সকাল-সন্ধ্যা কুরআনের বিশেষ বিশেষ ফযিলতের সূরাগুলো পাঠ করা হয়ে থাকে।

প্রতি বছর রমযান আসলেই তারাবীতে চলে কুরআন পড়ার মধুময় কণ্ঠস্বর। একই সময়ে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে এই মহাগ্রন্থের পাঠ হতে থাকে ব্যাপকভাবে। এমন পাঠরত অবস্থা কতসহস্র হাজার মহলে হয়, আল্লাহ তা‘আলাই সে ব্যাপারে সর্বজ্ঞ।

আরও পড়তে পারেন-

একটির কথাই বলি, দারুল উলূম হাটহাজারীতে তারাবীর জামাত হয় প্রায় শতের কাছাকাছি। যেগুলোর কোনটা হয় তিন দিনে-পাঁচ দিনে। আবার সাত, দশ, বারো, পনেরো, বিশ, পঁচিশ, সাতাইশ সংখ্যক দিনেও কুরআন খতম করা হয়ে থাকে। ছোট ছোট সূরা দ্বারাও তারাবীর অনেক জামাত পড়া হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের এই একটি মহলের অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে পৃথিবীর আরো কতশত প্রতিষ্ঠানে, কত মহলে, আল্লাহর অনুগত বান্দা-বান্দীগণ কুরআন পাঠে সদা মগ্ন থাকেন, তা কি আন্দাজ করে বলা সম্ভব!!

কুরআন খতমে মনীষীদের প্রতিযোগিতা

ইমাম আবু হানিফা রহ. প্রতি রাতে নামাজের এক রাকাতে পূর্ণ কুরআন খতম করতেন। বর্ণিত আছে যে, তিনি সাত হাজার বার কুরআন খতম করেছেন।

ইমাম শাফেয়ী রহ. প্রতি দিনে-রাতে তিনবার কুরআন খতম করতেন। এভাবেই কুরআন-প্রিয় অনেক বান্দাদের এই অভ্যাস গড়ে উঠেছিল যে, তারা প্রতিদিন রাতে ও দিনে এক খতম করে কুরআন পড়তেন।

হযরত সাবেত বুনানী রহ. এবং আবু হাররা রাত-দিনে মিলে এক খতম কুরআন পাঠ করতেন।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর রাযি. এক রাতে এক খতম দিতেন। হযরত উসমান রাযি. অনেক সময় বিতিরের এক রাকাতেই পুরো কুরআন খতম করতেন। মানসুর ইবনে যাজান রহ. চাশতের নামাজে এক খতম এবং যোহর থেকে আছর পর্যন্ত সময়ে দ্বিতীয় খতম দিতেন। আল্লাহ তা‘আলার এমন আরো কত বান্দা রয়েছেন, তা তিনিই ভালো জানেন।

এমনই আরো অনেক মনীষী রয়েছেন যারা রাতে দিনে রীতিমত না হলেও এক খতম, দুই খতম বা তিন খতম দিয়ে থাকেন। তাদের সংখ্যা তো কল্পনাতীত!

– মুফতি আবু সাঈদ, সিনিয়র শিক্ষক- আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। খতীব- বারীয়া জামে মসজিদ, চট্টগ্রাম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।