।। ডক্টর মুহাম্মদ মানজুরুর রহমান ।।
১.জ্বর হলে (সুনানুত তিরমিযী হা. ২০০১, ইবন মাজাহ/৩৫১৭ ও মুসনাদু আহমদ/২৫৯৩) এই দোয়া পড়তে হয়-
উচ্চারণ- “বিসমিল্লাহিল কাবীরি আউযু বিল্লাহিল আযীমে মিন সাররি কুল্লি ইরকিন নুয়্যারিন ওয়ামিন সারি্র হাররিন নার।”
অর্থ- “মহান আল্লাহর নামে, মহান আল্লাহর নিকট পানাহ চাই আগুন উদগীরণকারী রোগের অনিষ্ট হতে এবং আগুনের অনিষ্ট হতে।”
২. যে কোন ব্যথা বরাবর হাত রেখে ৩ বার বিসমিল্লাহ বলে এ দোয়া ৭ বার পড়বে-
উচ্চারণ- “আউযু বিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহী মিন সারি্র মা-আজিদু ওয়া উহাযিরু।”
অর্থ- “আল্লাহ ও তাঁর কুদরতের দ্বারা ঐ সব অনিষ্ট হতে পানাই চাই, যা আমাদের কাছে আসে ও আমরা তার ভয় করি।” (দ্র. সহীহ মুসলিম/২০৯, সুনানু ইবন মাজাহ- ৩৫১৭ ও সহীহ্ ইবনে হিব্বান- ৩৩০৯)।
৩. রোগী দেখবার দোয়া- اللهم عافه او اشفه (উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা আফীহি আও ইশফিহী)।
অর্থ- “হে আল্লাহ! তুমি তাকে শেফাদান করো ও রোগমুক্ত করো।” (সুনানুত তিরমিযী /৩৪৮৭)।
৪. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ার দোয়া-
উচ্চারণ- “আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি আফানী মিম্মা ইবতিলাকা বিহী ওয়া ফাদ্দালানী আলা কাসীরিন মিম্মা খুলিকা তাফদীলা”।
অর্থ- “আল্লাহর জন্য প্রশংসা, যিনি আমাদেরকে তোমার বিপদ থেকে মুক্ত রেখেছন এবং যিনি আমাকে অনেক সৃষ্টির উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন”। (তিরমিযী- ৩৩৫৩, ইবন মাজাহ- ৩৮৮২, হাকেম- ১৯৬১; সহীহ ইবন হিব্বান- ৫৩০৯ ও আল মু’জামুল কাবীর- ২২১)।
৫. রোগাক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকলে পড়বে-
উচ্চারণ- “আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাদাবিহী ওয়া ইকাবিহী ওয়া সাররি ইবাদিহী ওয়া মিন হামাযাতিস শায়াতীন ওয়াইন ইয়াহদারূন।” (তিরমিযী /৩৩৫৩,৩৩৫৪, মুয়াত্তা ইমাম মালেক/১৪৯৬)।
৬. আক্রান্ত হয়ে গেলে পড়তে হয়-
উচ্চারণ- “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি’ঊন, আল্লাহুম্মা ইনদিকা ইহতাসাবতু মুসীবাতী ফা’জুরনী ফীহা ওয়াআবদিলনী মিনহা খাইরান।” (তিরমিযী /৩৪৩৩, মারিফাতুস সাহাবা/৩৭৭৪)।
৭. আক্রান্ত হলে অপর দোয়া- حسبنا الله ونعم الوکیل علی الله توکلنا
উচ্চারণ- “হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল ‘আলাল্লাহি তাওাক্কালনা।” (তিরমিযী- ২৩৫৫, মুসনাদু আহমদ- ২৮৫৩)।
৮. আক্রান্ত থেকে মুক্তির দোয়া- اللهم لا تقتلنا بغضبک ولا تهلکنا بعذابک و عفانی قبل ذالک۔
(তিরমিযী- ২৩৩৭২, মুসনাদু আহমদ- ৫৫০৩)।
৯. আক্রান্ত থেকে মুক্তির অপর দোয়া-
(সুনানু আবী দাঊদ/১৩২৮)।
১০. আক্রান্ত থেকে মুক্তির অপর দোয়া-
(আবূ দাঊদ /৪৪১২; ইবন মাজাহ /৩৮৬১)।
১১. আক্রান্ত থেকে মুক্তির দোয়া, যখন হাসপাতাল অথবা লোকালয়ে যাবেন, তখন পড়বেন-
(সুনানুত তিরমিযী /৩৩৪৯)।
১২. আক্রান্ত থেকে মুক্তির অপর গুরুত্বপূর্ণ দোয়া-
উচ্চারণ- “আউযু বি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শারি্র মা৷ খালাক”। (আবূ দাঊদ /৩৩৯৯; তিরমিযী /৩৩৫৯: ইব্ন মাজাহ / ৩৫০৯)। তাছাড়া-
- বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত ।
- সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার।
- দুরূদ শরীফ।
- নফল নামায (তাহাজ্জুদ) পড়া দরকার।
এ হাদীস ما انزل الله داء الا انزل له شفاء (বুখারী- ৫২৪৬)এর আলোকে ঔষধ আবিষ্কার হবেই ইনশাআল্লাহ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস উপরোক্ত দোয়াগুলো আমল করলে করোনাভাইরাসে কোন ক্ষতি করতে পারবে না, ইনশাল্লাহ। কারণ দোয়াগুলো হাদীস এর কিতাব থেকে গবেষণা করে বের করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর শিখানো প্রতিটি দোয়াই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যপক অর্থবহ।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে আমল করার তাওফিক দান এবং সকল প্রকার রোগ ও বলামুসিবত থেকে হেফাজতে রাখুন। আমিন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com