প্রশ্নঃ আব্বা যেখানে টাকা রেখেছেন সেখান থেকে কিছু টাকা তাঁকে না বলে মিসকীনকে দিয়ে দিয়েছি। এটা শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন হল?
- মুবাশ্বেরা বেগম, উত্তর কেরোয়া, রায়পুর, লক্ষীপুর।
উত্তরঃ এক হাদীসে হযরত আয়েশা (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- স্ত্রী যখন অপচয় না করে তার গৃহের খাদ্যসামগ্রী থেকে (স্বামীর স্পষ্ট অনুমতি নিয়ে, যদিও সে অনুমতি একদিনই নিয়ে থাকে) কিছু দান করে- সে যে দান করল, এজন্য তার সাওয়াব লাভ হয় আর স্বামী যে উপার্জন করল এজন্য স্বামীর সাওয়াব লাভ হয়। মাল রক্ষক খাজাঞ্চী তথা কোষাধ্যক্ষের জন্যও অনুরূপ সাওয়াব রয়েছে। এতে একের সাওয়াবের চেয়ে অন্যের সাওয়াবের কিছুই কম করা হবে না।
হযরত আবু হুরাইরা (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত আরেক হাদীসে আছে, হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- নিজের স্বামীর উপার্জন থেকে তার অনুমতি ব্যতীত স্ত্রী যখন দান করে (অর্থাৎ- বিনানুমতিতে দান করার কারণে স্বামী অসন্তুষ্ট হবে না একথা স্বামীর কথাবার্তা বা ভাবভঙ্গিমায় স্ত্রী বুঝে নিয়ে দান করে), তখন তার সাওয়াব হয় স্বামীর অর্ধ্বেক (আর সরাসরি অনুমতি নিয়ে দান করলে পূর্ণ সাওয়াব হয়, যদিও সে অনুমতি একদিনই নিয়ে থাকে)। (মিশ্কাত শরীফ-১/১৭২, মিরক্বাত-৪/৪৩০)।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
উপরোক্ত হাদীসদ্বয়ের আলোকে বোঝা গেল যে, জানার পর আপনার আব্বা কিছু বলবেন না বা অসন্তুষ্ট হবেন না; একথা নিশ্চিত হয়ে যদি তার অনুমতি ছাড়া আপনি এই দান করে থাকেন, তাহলে আপনিও সাওয়াবের অংশীদার হবেন। কিন্তু যদি জানার পর রাগারাগি করেন বা অসন্তুষ্ট হন, তাহলে সাওয়াবের ভাগিদার হবেন না। তখন আপনার পিতার কাছ থেকে এজন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। এবং ভবিষ্যতে এরূপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন- আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন
মুফতি, মুহাদ্দিস ও সহকারী পরিচালক-
জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম