Home প্রবন্ধ-নিবন্ধ জ্বালানি নিরাপত্তার সন্ধানে দিশেহারা বিশ্ব

জ্বালানি নিরাপত্তার সন্ধানে দিশেহারা বিশ্ব

ড্যানিয়েল ইয়েরগিন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন থাকার দিন বিদায় নিয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তির সংকটে আজ দেশে দেশে শোরগোল; পণ্য পরিবহন ও উৎপাদনের দুইয়ের খরচ বাড়ছে তাতে। চড়া মূল্যস্ফীতির আঘাতে ক্ষুদ্ধ জনতা, অনেক দেশেই চলছে বিক্ষোভ।

অথচ গত এক দশকে জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ অনেকটাই দূর হতে দেখা গিয়েছিল; যার পেছনে মূল অবদান ছিল যুক্তরাষ্ট্রে মহাদেশীয় শিলাস্তর বা শেল থেকে ফ্র্যাকিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাশ্ম তেল উৎপাদন বৃদ্ধির। ফলে বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি ভোক্তা হয়ে ওঠে শীর্ষ উৎপাদক। কয়েক দশক ধরেই এ অর্জনের অঙ্গীকার দিয়ে আসছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদেরা, শেষপর্যন্ত তা অর্জিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে স্বনির্ভরতার অঙ্গীকারও পূরণ হয়।

এতে আরেকটি বড় সুবিধাও দেখা দেয়। আমেরিকা যেহেতু বিশ্ববাজারের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পেরেছিল—সেকারণে মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বের অন্যত্র প্রধান জ্বালানি উৎপাদক অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার আঘাত থেকে জ্বালানি বাজার অনেকটাই সুরক্ষিত হয়ে উঠেছিল। তেমন অবস্থা দেখা দিলে, আমেরিকাও উৎপাদন বাড়িয়ে দাম কম রাখার উদ্যোগ নিত।

একারণেই ২০১৯ সালে যখন সৌদি আরবের একটি বিশাল তেল শোধনাগারে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে—যা আগের যেকোনো সময়ে হলে জ্বালানির দর আকাশছোঁয়া হতো—তখন আমেরিকার উৎপাদনের কারণে বিশ্ববাজারে মূল্যের আঘাত সেভাবে পড়েনি। এমনকী দাম ওঠানামা করেছিল সামান্যই।

অনেক বিশেষজ্ঞ ধারণা করেছিলেন, ২০১৯ সালেই সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যাবে তেলের চাহিদা। তারপর থেকে বিকল্প নবায়নযোগ্য উৎসগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি বাজার দখল করে নিতে থাকবে। করোনা মহামারির চরম প্রাদুর্ভাবের সময় লকডাউনের কারণে তেলের চাহিদায় যে ধস দেখা দেয়—তাতে এই আভাসকে বাস্তবই মনে হচ্ছিল। বিশেষজ্ঞরা ধরে নেন, প্রচলিত জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে—যার পেছনে ভূমিকা রাখছে বিভিন্ন প্রধান অর্থনীতির সরকারের নীতি-সমর্থন।

রূঢ় বাস্তবের দেওয়ালে আঘাত খেয়ে ভেঙ্গেছে এ ধারণা। লকডাউনের কাল শেষ হয়ে, অধিকাংশ অর্থনীতি সচল হতে শুরু করা মাত্র, হু হু করে বাড়তে থাকে তেল ও গ্যাসের চাহিদা। এসময় চাহিদার সাথে তাল মেলাতে হিমশিম খায় জ্বালানির বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা; যার পেছনে অনেকাংশে দায়ী ছিল প্রচলিত জ্বালানি উৎপাদনে প্রয়োজনের তুলনায় কম বিনিয়োগ।

শক্তিশালী চাহিদা ও দুর্বল সরবরাহ গত শরৎকালেই বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের উপযুক্ত প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। এসময় উল্লম্ফন দেখা দেয় তেল, গ্যাস ও কয়লার দামে। ফলে গত বছরের শেষদিকে ইউরোপীয়রা প্রাকৃতিক গ্যাসের স্বাভাবিক সময়ের যে দাম—তার চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি দিয়েছে। আমেরিকার পাম্পগুলোতেও দাম বাড়ছিল গ্যাসোলিনের।

জ্বালানি ও অর্থনীতির ক্রমে স্ফীত সংকটকে ভূরাজনৈতিক রূপ দিয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন। জ্বালানির দর এরপর মহাকাশ ছুঁয়েছে বললেও কম বলা হয়। প্রায় অর্ধ-শতাব্দী ধরে প্রথম সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পরবর্তীতে তার প্রধান উত্তরসূরি রাশিয়া ছিল প্রধানত ইউরোপ এবং বাকি বিশ্বের তেল ও গ্যাস চাহিদা পূরণে সবচেয়ে “নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী”। এই ধারণাটি ইউরোপে ব্যাপক ভিত্তি লাভ করে যে, জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সাথে সহযোগিতা উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে। ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্কের মাধ্যমে রাশিয়াকে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করে তোলা যাবে—এমন কৌশলও ছিল, বিশেষ করে জার্মানদের—যাকে তারা বলে ‘বাণিজ্যের মাধ্যমে পরিবর্তন’।

এই সম্পর্কে জার্মানদের আস্থা এতটাই ছিল যে, ২০১১ সালে তারা পারমাণবিক শিল্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়—যা ওই সময়ে তাদের সিংহভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতো। আর সেই ঘাটতি মেটাতে আরও বেশি ব্যবহার হতে থাকে রাশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লা ও গ্যাস।

আরও পড়তে পারেন-

ইউক্রেন যুদ্ধ আরম্ভের সময় মস্কো ধরেই নিয়েছিল, ইউরোপ এক পর্যায়ে ইউক্রেন দখল হয়ে যাওয়াকে মেনে নিতে বাধ্য হবে। সে ধারণা ভুল প্রমাণিত করে, পুতিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইইউ। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপের বিরুদ্ধে জ্বালানি যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া—বন্ধ করছে গ্যাস সরবরাহ; এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করে ইউরোপের জনজীবনে যতটা সম্ভব দুরবস্থা সৃষ্টি করতে চাইছে। একারণে যে রাষ্ট্রগুলি আগে জ্বালানি নিরাপত্তা তৈরিতে মনোযোগী হয়নি—তারা এখন জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ পাওয়ার চেষ্টা করতে বাধ্য হচ্ছে।

এর মধ্যেই নিজস্ব সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনাকে জোরদার করছে ইউরোপ। তবে নবায়নযোগ্য এসব উৎসের বিদ্যুৎ- প্রয়োজনীয় মাত্রায় উৎপাদনে যথেষ্ট সময় লাগবে; আর তাতেও সংকটের আংশিক সমাধান হবে মাত্র। জ্বালানি নিরাপত্তা ছাড়া, নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন ও বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রচলিত উৎস থেকে সরে আসার রুপান্তর অর্জন করাও যাবে না। এজন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বিকল্প নানান জ্বালানি প্রস্তুত করতে আরও কয়েক দশক লাগবে।

রাশিয়ার গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা পরিবর্তনের চেষ্টা জার্মানির মতো করে কোনো দেশই করছে না। এই চেষ্টাকে ‘জেইটেনওয়েন্ড’ বা ‘ঘুরে দাঁড়ানো’ বলছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। দেশকে কীভাবে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের নির্ভরশীলতা থেকে বের করে আনা যায় তার উপায় সন্ধানে জার্মানির জ্বালানি শিল্পের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন গ্রিন পার্টির নেতা ও অর্থনীতি-মন্ত্রী রবার্ট হাবেক। তবে তেল থেকে সরে আসা সহজ হলেও, গ্যাসের ক্ষেত্রে তা কঠিন হবে। এজন্য এলএনজি আমদানিতে দরকারি বৃহৎ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বার্লিন। যদিও আগের কয়েক দশক জার্মানি এ উদ্যোগগুলি নিয়ে মাথা ঘামায়নি। কিন্তু, এখন আগামী শীতের আগেই পর্যাপ্ত গ্যাসের মজুদ করতে সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে জার্মান সরকার। গ্যাসের ওপর চাপ কমাতে কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করা হচ্ছে।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের সরকারও রাশিয়ার তেল বর্জনে ঐক্যবধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এনিয়ে গত জুনে রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার নোভাক বলেন, ‘রাশিয়াকে ইউরোপের জ্বালানি বাজার থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।’

এর আরও অর্থ- আগে তারা যেসব উৎস থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহে উদ্যমী ছিল না মোটেও—সেদিকেই ছুটতে হচ্ছে ইউরোপকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ফ্রান্সের কথা; ২০১৭ সালে নিজের প্রথম মেয়াদে দেশটির ১৪টি পরমাণু চুল্লি বন্ধের প্রস্তাব দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ফ্রান্সের পরমাণু শক্তি নির্ভরশীলতা কমাতেই তিনি এ প্রস্তাব করেন—যা ওই সময়ে দেশটির ৭৫ শতাংশ বিদ্যুতের যোগান দিত। সেই ফরাসি প্রেসিডেন্টই এখন ছয়টি নতুন চুল্লি নির্মাণের কথা বলছেন। জানিয়েছেন আরও আরও আটটি স্থাপনের পরিকল্পনা।

ইংলিশ চ্যানেলের ওপারে যুক্তরাজ্যও সচেষ্ট। উত্তর সাগরে আরও ছয়টি গ্যাস ক্ষেত্র উন্নয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আরও তেল, গ্যাস ও কয়লার সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকায় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের পাঠাচ্ছে ইউরোপীয় সরকারগুলো। ইসরায়েল ও মিশরের সমুদ্রসীমায় থাকা বিপুল মজুদের পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নকে সমর্থন দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই ক্ষেত্রের সরবরাহ রাশিয়ান জ্বালানির ওপর নির্ভরতা অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জ্বালানি নিরাপত্তা গুরুত্বকে নতুনভাবে উপলদ্ধি করছে ওয়াশিংটন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দূষণহীন নবায়নযোগ্য উৎসে জোরদানের অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় আসেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। কিন্তু, আমেরিকানরা যখন পাম্পে গিয়ে বাড়তি দামে জ্বালানি কিনতে বাধ্য হয়, তখন বাইডেন প্রশাসন মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতি আরও বেশি বেশি তেল ও গ্যাস উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন জানিয়েছে, এই বছরজুরে আমেরিকার তেল উৎপাদন দৈনিক ৮ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। আর বর্তমানে উত্তোলিত জ্বালানি পরিশোধনে পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ করছে শোধনাগারগুলি। অর্থাৎ, তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ও রয়েছে। তাই বাইডেন প্রশাসন নবায়নযোগ্য শক্তিতে রুপান্তরের পরিকল্পনা থেকে সরে না আসলেও, বিশ্বের যে আরও তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অতিদ্রুত দরকার—সে বিষয়টি হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করছে।

মিত্র ইউরোপকে আরও এলএনজি চালান পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বাইডেন। তার প্রশাসন বিশেষত সৌদি আরবসহ অন্যান্য প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশকে তাদের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চাপ দিচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই সৌদি আরব যাচ্ছেন বাইডেন, সেখানেও উৎপাদন বৃদ্ধির তাগাদা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তেল ও গ্যাসের বৈশ্বিক চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার বিষয়টি মারাত্মক আশঙ্কাজনক। পুতিনের জ্বালানি যুদ্ধের ফলে আগামী মাসগুলোয় তা আরও ভয়াল রূপ নিবে এমন আশঙ্কার দৃঢ় ভিত্তি রয়েছে। করোনার শাটডাউন থেকে বেড়িয়ে আসায় ‘পৃথিবীর কারখানা’খ্যাত চীনের অর্থনীতিতে জ্বালানি চাহিদাও হু হু করে বাড়ছে। এতে জ্বালানি বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যেকার টান টান ভারসাম্য ঘাটতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

জ্বালানি তেল এক আবশ্যক নিত্যপণ্য। বিশ্ব বাণিজ্যের প্রাণশক্তি, অর্থনীতির চালিকাশক্তি। একারণেই দৈনিক ১০ কোটি ব্যারেলের বেশি তেল বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্যত্র পরিবহন করা হয়। কিন্তু, বাজার টান টান থাকার অর্থ, এই সরবরাহে বিচ্ছিন্নতার ঝুঁকিও বহুগুণে বেড়ে যাবে। আর এই বিচ্ছিন্নতা দেখা দিতে পারে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও—তেল ও গ্যাসের বৈশ্বিক পাইপলাইন ব্যবস্থাপনা কাঠামোয় রাশিয়ান হ্যাকারদের সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে।

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কোনো সর্বাত্মক যুদ্ধ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে আমেরিকার জ্বালানি শোধনাগারগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও—ঘাটতিতে পড়বে বাজার। অর্থাৎ, ছোটবড় সব ঘটনাই এখন জ্বালানি নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে থাকবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে জ্বালানি চাহিদা কমে বাজার স্বাভাবিক একমাত্র তখনই হতে পারে, যদি বিশ্ববাজারে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির কঠোর মুদ্রানীতির পদক্ষেপে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। আর মন্দার সম্ভাবনা ভবিষ্যৎ আরও অনিরাপদ হওয়ারই বার্তাবহ।

লেখক: ড্যানিয়েল ইয়েরগিন এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের সহ-সভাপতি এবং ‘দ্য নিউ ম্যাপ’ গ্রন্থের রচয়িতা

সূত্র- দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।