Home লাইফ স্টাইল যে দুই বাক্যে কর্মীদের দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিতে শিখিয়েছেন ইলন মাস্ক

যে দুই বাক্যে কর্মীদের দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিতে শিখিয়েছেন ইলন মাস্ক

কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্যের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় আদর্শ নাও হতে পারেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক; তবে উভয় জীবনেই তিনি যোগাযোগের দুর্বলতা এবং খারাপ ব্যবস্থাপনার পরিণতি স্পষ্টভাবে বোঝেন। কয়েক বছর আগে মাস্ক তার এক কর্মীকে একটি ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন; পরবর্তীতে যে ই-মেইলটি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ পেয়ে যায়, সেখানে মাস্কের দেওয়া পরামর্শটি ছিল অনেকটা এরকম-

“যোগাযোগের কাজটি অবশ্যই স্বল্প সময়ে/সংক্ষিপ্ততম পথে হওয়া উচিত, এটি কখনই লম্বা ‘চেইন অব কমান্ডের’ মাধ্যমে হওয়া উচিত নয়।”

বার্তাটি স্পষ্টতই তার পরিচালকদের জন্য ছিল একটি সতর্কতামূলক পরামর্শ। কারণ মাস্ক জানেন, কর্মক্ষেত্রে সব সময় ‘চেইন অব কমান্ড’ বা নানান প্রোটোকল মেনে চলতে গেলে যোগাযোগ অনেকটাই ধীরগতি হয়ে পড়ে, সেইসঙ্গে এটি যেকোনো ধরনের নতুন উদ্ভাবনকেও বাধা দিতে পারে। চেইন অব কমান্ড অনুসরণের ক্ষেত্রে একজন কর্মীকে প্রথমে যেতে হবে তার ম্যানেজারের কাছে, এরপর পরিচালকের কাছে, এরপর তার ভিপির কাছে, এরপর আবার তিনি নিজের পরিচালকের কাছে ফিরে আসেন, সবশেষ আবারও নিজের ম্যানেজারের বা ব্যবস্থাপকের কাছে গিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় কাজের অনুমতি পান। পুরো প্রক্রিয়াটি কেবল জটিলতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

আর এই জটিলতাকেই পছন্দ করেন না বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

সংক্ষিপ্ত পথে তথ্য

অফিসের সমস্ত স্তর, পদমর্যাদা এবং অবস্থান নির্বিশেষে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথে তথ্য পৌঁছানো উচিত, মাস্ক এ বিষয়টি ভালোভাবেই বোঝেন। এই বিকেন্দ্রীয় এবং ‘বটম-আপ’ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিই নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ। মাস্কের কাছে যদি এমন কোনো বিষয় এসে হাজির হয় যা তার প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা এবং উত্পাদনশীলতা বাড়াবে, তাহলে তিনি চেষ্টা করেন সেই তথ্য বা বিষয়টি যেনো সবচেয়ে সহজ উপায়ে এবং কম দূরত্ব পার হয়ে জায়গামতো এসে পৌঁছায়।

আরও পড়তে পারেন-

তবে অনেকেই বলবেন, এটি বলা যত সহজ, করা ততটাই কঠিন; বিশেষ করে আপনি যদি বর্তমানে একটি টপ-ডাউন, কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল পরিবেশে নিজেকে খুঁজে পান। তবে মাস্কের মতে, কর্মক্ষেত্রে সেরা ফলটি পাওয়া জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল-

কর্মীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার, সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণের এবং কীভাবে কাজটি সর্বোত্তমভাবে সম্পন্ন করা যায়, তা নির্ধারণের স্বাধীনতা এবং সুযোগ দেওয়া। কারণ কর্মীরা উদ্যোক্তা ধরনের পরিবেশে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অর্থাৎ, কাজের দায়-দায়িত্ব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের লাইসেন্স তাদের নিজেদের ওপর ছেড়ে দিলেই কোম্পানি সর্বোত্তম ফলাফল পেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কর্মী যেনো দক্ষ ও বিচক্ষণ হয়; যদি তাদের মধ্যে সঠিক কর্মক্ষমতা এবং কর্মের সর্বোত্তম পদ্ধতি জানার দক্ষতা থাকে, তবেই আপনি কর্মীদের সেই স্বাধীনতা দিতে পারবেন। তাদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।

একজন দক্ষ নেতার সবচেয়ে বড় গুন হলো, তার কর্মীদের সাবলীলভাবে কাজ করার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ দেওয়া। এর মধাম্যেই মূলত যেকোনো সমস্যার সমাধানে তারা বিচক্ষণতার সঙ্গে সক্রিয় হতে এবং সর্বোত্তম ফলাফল অর্জনে কাজ করতে পারে।

শুরুটি অবশ্যই ভালো হতে হবে

নিজের কাজের জন্য তিরস্কারের ভয় মানুষের আত্মবিশ্বাসকে একেবারে চূর্ণ করে দিতে পারে। কর্মীদেরকে ভয়ে বা চাপে রেখে তাই সেরা ফলটি আপনি কখনোই আশা করতে পারেন না। কর্মীদের সঙ্গে পরিচালক ও ব্যবস্থাপকদের সম্পর্ক হতে হবে বন্ধুত্বপূর্ণ। ভুল করলে তা পরবর্তী নির্দেশনা দিয়ে শুধরে দিতে হবে, তবেই আপনি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে এবং সর্বোত্তম ফলটি পেতে পারেন।

সূত্র: ইঙ্ক ডট কম

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।