Home ইসলাম সন্তানের জন্য যে পরিমাণ সম্পদ রাখা সুন্নত

সন্তানের জন্য যে পরিমাণ সম্পদ রাখা সুন্নত

 ।। আহমাদ ইজাজ ।।

সাদ (রা.)-এর তিন পুত্র তাঁদের পিতার সূত্রে (যারা তাবেঈন ছিলেন এবং পরবর্তী প্রজন্ম ছিলেন) বর্ণনা করেন, মক্কায় নবী (সা.) সাদ (রা.)-এর অসুখ দেখার জন্য তাঁর কাছে আসেন। সাদ (রা.) কেঁদে ফেলেন। নবী (সা.) বললেন, তুমি কেন কাঁদছ? তিনি বলেন, আমি ভয় পাচ্ছি, যে স্থান থেকে হিজরত করেছি, সেথায় না আমি মারা যাই; যেভাবে মারা গিয়েছেন সাদ ইবনু খাওলা (রা.)। নবী (সা.) বলেন, ইয়া আল্লাহ, সাদকে সুস্থতা দান করুন তিনবার বলেন।

সাদ (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমার প্রচুর সম্পদ আছে। আর একমাত্র কন্যাই আমার উত্তরাধিকার হবে। তবে কি আমার সমুদয় সম্পদ ওয়াসিয়্যাত করতে পারি? তিনি বলেন, না। সাদ (রা.) বললেন, তবে কি দুই-তৃতীয়াংশ? তিনি বলেন, না। সাদ (রা.) বলেন, তাহলে অর্ধেক? তিনি বলেন, না। সাদ বলেন, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ?

আরও পড়তে পারেন-

তিনি বলেন, হ্যাঁ, এক তৃতীয়াংশ আর এক-তৃতীয়াংশই অনেক। তোমার সম্পদ থেকে তুমি যা সদকা করো তা তো সদকা-ই এবং তোমার পরিবারের জন্য যা খরচ করো তাও সদকা; আর তোমার সম্পদ থেকে তোমার স্ত্রী যা খায় তাও সদকা। তোমার পরিবার-পরিজনকে যদি তুমি সম্পদশালী রেখে যাও, অথবা বলেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে রেখে যাও, তবে তা তাদের মানুষের কাছে হাতপাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার তুলনায় ভালো। আর এ কথা বলতে তিনি নিজ হাত দিয়ে ইশারা করলেন। (মুসলিম, হাদিস : ৪১০৭)

হাদিসের শিক্ষা : প্রত্যেকের নিজের অর্জিত সম্পদে অন্যের অধিকার আছে। ব্যক্তির জীবদ্দশায় ইসলাম উপার্জিত অর্থের অতিরিক্ত অংশ পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও আল্লাহর পথে ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যক্তির মৃত্যুর পর তা তার সন্তান, স্বজন ও অসিয়ত পালনে খরচ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সন্তান ও স্বজনের মধ্যে বণ্টনের প্রতি।

মিরাস বা উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনের নীতিমালা কোরআনে সবিস্তারে আলোচিত হয়েছে। মাতা-পিতা, স্ত্রী/স্বামী, ভাই-বোন, দাদা-দাদি প্রমুখের জন্য আলাদা আলাদা অংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সন্তানের অংশের প্রতি সর্বাধিক যত্নবান থাকতে বলা হয়েছে। তবে হ্যাঁ, সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি অসিয়তের মাধ্যমে দান করে দেওয়ার সুযোগ আছে।

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।