Home সাক্ষাৎকার হিন্দুত্ববাদ দর্শনটিই ভুল: বিশেষ সাক্ষাৎকারে আল্লামা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী

হিন্দুত্ববাদ দর্শনটিই ভুল: বিশেষ সাক্ষাৎকারে আল্লামা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী

আল্লামা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী। - ফাইল ছবি।

।। অনুবাদ: ইমতিয়াজ বিন মাহতাব ।।

[জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের প্রেসিডেন্ট হযরত মাওলানা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানির সাথে কয়েকবার সাক্ষাৎ ও কথা বলার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু ১৯ মে শুক্রবার তার সাথের সাক্ষাৎকার ও আলাপচারিতা সম্ভবত কখনো ভুলতে পারব না। কেননা এ সাক্ষাৎকারে কোনো তাড়াহুড়ো ছিল না এবং আলাপচারিতার মধ্যে কোথাও বিরতি দিতে হয়নি। আমি প্রশ্ন করেই গেছি, আর মাওলানা জবাব দিয়েই গেছেন। এক মুহূর্তের জন্যও এটি মনে হয়নি যে, তিনি কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে চাচ্ছেন না, কিংবা জবাবটি অস্পষ্টভাবে দেয়ার চেষ্টা করছেন। আলাপের বিষয় ছিল জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের সমাবেশ, যেটি ২১ মে আজাদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মাওলানা আরএসএস, সঙ্ঘপ্রধান (সারসঙ্ঘচালক) মোহন ভাগবত, বিজেপি ও কংগ্রেসের সাথে ঘটা বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। কিছুটা সান্ত্বনা দিয়েছেন, কিছুটা পরামর্শ দিয়েছেন। আলাপচারিতার চুম্বকাংশ পেশ করা হলো- শাকিল রশিদ।]

প্রশ্ন : মুম্বাই শহরে জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের সমাবেশ এমন এক সময় হচ্ছে, যখন দেশের পরিস্থিতি সংখ্যালঘুদের বিশেষত মুসলিমদের জন্য বেশ উদ্বেগজনক হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে এ সমাবেশ কী ভূমিকা পালন করবে?

আরশাদ মাদানি : এ সমাবেশের ভূমিকা বা লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নের কথা আসলে আমি বলব, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের দর্শন সর্বদাই ভালোবাসা সম্পর্কিত। আমরা তো এটিই চাইব; বরং চাই যে, এ দেশে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগরিষ্ঠরা যেভাবে জীবনযাপন করে আসছে, সেভাবেই করবে এবং যে স্বাধীনতা নিয়ে একে অপরের সাথে মিলেমিশে থাকছে সেভাবেই থাকবে। দেশের স্বাধীনতার আগে আজকের যে দর্শন অর্থাৎ ‘আমরা ধর্মের ভিত্তিতে দুটো জাতি, আমরা একসাথে থাকতে পারব না’ দর্শন যখন সম্মুখে এলো, তখন জমিয়ত তার নিজস্ব দর্শন উপস্থাপন করে যে, দেশের ভিত্তিতে আমরা এক জাতি। কিন্তু তারা আমাদের এ দর্শনকে মেনে নেয়নি।

প্রশ্ন : কারা মেনে নেয়নি?

আরশাদ মাদানি : আজ যারা বিজেপির লোক, তারাই মেনে নেয়নি। তারা বলে, ধর্মের ভিত্তিতে এক সাথে থাকা যাবে না। কিন্তু যেমনটি আমি বলেছি, আমরা আমাদের ভালোবাসার চিন্তাধারার ওপর অটল আছি। আমরা চৌদ্দ শ’ বছর ধরে এ চিন্তাধারাকেই উপস্থাপন করে আসছি। আজ হিন্দুত্ববাদের দর্শনের কী এমন প্রয়োজন দেখা দিলো? এই হিন্দুত্ববাদ দর্শনটিই ভুল।

প্রশ্ন : আরএসএস নেতা মোহন ভাগবতসহ অপর নেতাদের সাথে আপনার দেখা-সাক্ষাৎ হয়েই থাকে। আপনি কি নিজেদের মতামত তাদের সামনে তুলে ধরেছেন? তাদের কি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, আমাদের এই ভালোবাসার দর্শনটিই সঠিক?

আরশাদ মাদানি : আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মোহন ভাগবত ও অন্যরা এটি মনে করেন যে, জমিয়তের দর্শনটি সঠিক। তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। তারা আমাদের অনেক কথার সাথে সহমত পোষণ করেছেন। ভাগবত আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যদি আমরা আপনাকে আমাদের সমাবেশে আমন্ত্রণ জানাই, তাহলে কি আপনি আসবেন? আমি বলেছিলাম, অবশ্যই আসব, আপনি আমন্ত্রণ করে দেখুন।

প্রশ্ন : তিনি কি আপনাকে আমন্ত্রণ করেছেন?

আরশাদ মাদানি : না। আমার মনে হয় তিনি এমন পরিবেশ তৈরি করতে পারেননি, যেখানে তিনি তাদের সমাবেশে আমাকে আমন্ত্রণ জানাবেন এবং তার লোকেরা সেখানে আমার উপস্থিতি মেনে নেবে। আমি এতটুকু জানি, মোহন ভাগবত তার দল, সংগঠন ও দেশের জন্য একনিষ্ঠ। তিনি মুসলমানদের সাথে সমঝোতাও চান। কিন্তু তিনি সঙ্ঘের পুরনো দর্শনকে বদলাতে পারবেন না। বর্তমানে তো নয়ই।

প্রশ্ন : আপনি মোহন ভাগবতের মুসলমানদের সাথে সমঝোতার ইচ্ছার কথা বললেন। এটি কিভাবে সম্ভব? তিনি তো এটি চান যে, মুসলমান নিজেদের হিন্দু বলবে?

আরশাদ মাদানি : হ্যাঁ, মোহন ভাগবত এটি বলেন যে, মুসলমান নিজেকে হিন্দু বলবে। এটি তার অর্থাৎ সঙ্ঘের দর্শন। আমরা এ দর্শন মানি না। ওই সংলাপ সম্পর্কে আরো একটি কথা বলি। মোহন ভাগবতের সাথে যখন আমার সাক্ষাৎ হলো এবং মতবিনিময় সুলভ পরস্পর কিছু কথা হলো, তখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে বিশেষ করে পারভিন তোগাড়িয়ার পক্ষ থেকে এ পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিবাদ আসে। তোগাড়িয়া বলেন- ‘এটি কীভাবে হয়?’

প্রশ্ন : মোহন ভাগবতের সাথে আপনার কথাবার্তা কি শুধু সমঝোতার সংলাপকেন্দ্রিকই হয়েছে, নাকি আরো অন্য কথাও হয়েছে?

আরশাদ মাদানী : মূলত মোহন ভাগবত আমাদের দর্শন জানতে চাচ্ছিলেন। আর আমাদের দর্শন তো প্রকাশ্য। আমরা বিজেপির দর্শনের বিপরীতে ভালোবাসায় বিশ্বাসী। এমতাবস্থায় এ কথা বললে কম মানুষই বিশ্বাস করবেন যে, আরএসএসের লোকেরা বিজেপির প্রতি সন্তুষ্ট নয়।

প্রশ্ন : কিভাবে, বিজেপি তো সঙ্ঘেরই রাজনৈতিক শাখা?

আরশাদ মাদানি : সঙ্ঘের বেশ কিছু লোকের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা এ কথা স্বীকার করেন, বিজেপি নয়, দেশকে কংগ্রেসই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

আরও পড়তে পারেন-

প্রশ্ন : কংগ্রেসের প্রসঙ্গ এলো যখন, কর্নাটকের বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে কথা বলা যাক। কর্নাটকের জয়-পরাজয়ে দেশের মধ্যে কী প্রভাব পড়বে?

আরশাদ মাদানি : আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি, দেশের আজ যে অবস্থা, তাতে নিজেদের দর্শনের ভিত্তিতে বিজেপি কর্নাটকে সব শক্তি প্রয়োগ করেছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। পরাজয় বরণ করেছে। এখন তাদের মধ্যে বাড়তি কোনো শক্তি নেই। অথবা এভাবে বলুন যে, এর চেয়ে বেশি শক্তি তাদের কাছে নেই। জনগণ দেখেছে, কংগ্রেস বিজেপির ওপর চরম আঘাত করেছে। বজরঙ্গ দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা পর্যন্ত করে দিয়েছে। আর জনগণ তাদের এ ঘোষণাকে গ্রহণও করেছে। এটি বিজেপির দর্শনের সবচেয়ে বড় পরাজয়। যেটি কর্নাটকে হয়েছে, সেটি কর্নাটকের বাইরেও হতে পারে।

প্রশ্ন : মুসলমানরা কি কংগ্রেসের ওপর ভরসা করবে?

আরশাদ মাদানি : যদি দেশে থাকতে হয়, তাহলে যে রাজনৈতিক দলের চিন্তাধারা বা দর্শন সঠিক, সেটিকে গ্রহণ করতেই হবে।

প্রশ্ন : কংগ্রেসের অতীতের আচরণ…

আরশাদ মাদানি : যদি তারা তাদের চিন্তাধারা ও দর্শন থেকে সরে যায়, তাহলে আমরা বলতে পারব; বরং জিজ্ঞাসা করতে পারব, শুধু কি ভোট পাওয়ার জন্যই ওয়াদা করেছিলেন?

প্রশ্ন : বিজেপি যেভাবে হিন্দুত্ববাদ প্রচার করেছে, তাতে মানুষের মধ্যে মারাত্মক কট্টরতা এসেছে। আপনি কি তাতে কোনো কমতি দেখতে পাচ্ছেন?

আরশাদ মাদানি : মানুষ দেখতেই পাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ পরিচালনা করেননি। তার কাছে এ কথা ছাড়া আর কিছুই নেই যে, যদি আমাদের ভোট না দেয়া হয়, তাহলে হে হিন্দু, মুসলমানরা তোমাদের গিলে ফেলবে।

প্রশ্ন : বিজেপির একটি ইস্যু হচ্ছে, অভিন্ন সিভিল কোড। এর কি কোনো প্রভাব পড়বে না?

আরশাদ মাদানি : আমার মনে হয় না, এ দেশের এত বিশাল সংখ্যালঘু গোষ্ঠী অভিন্ন সিভিল কোড মেনে নেবে। আমরা মুসলমানরা তো প্রতিবাদ করেই যাচ্ছি। কিন্তু এটি শুধু মুসলমানদেরই সমস্যা নয়। অন্য জাতিরাও দেখছে। তারা মনে করছে, নিশানা তাদের দিকে নয়, মুসলমানদের দিকে রয়েছে। কিন্তু যখন তারা এটি অনুভব করবে যে, নিশানা তাদের দিকেও রয়েছে, তখন তারা সামনে আসবে। আমরা সুপ্রিম কোর্টেও গেছি। কিন্তু এটি আইনি সমস্যা নয়। এটি রাজনৈতিক সমস্যা।

প্রশ্ন : গরুর নামে সহিংসতা, মসজিদগুলোর প্রতি কুদৃষ্টি এবং মাদরাসাগুলোকে টার্গেট করা। এ ব্যাপারে কী বলবেন?

আরশাদ মাদানি : যেদিন থেকে গরুর নাম নিয়ে হট্টগোল-হাঙ্গামা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আমরা বলে আসছি যে, আপনারা ঘোষণা দিন, ‘গরু জাতীয় পশু’। এ ব্যাপারে আমরা শতভাগ আপনাদের সাথে রয়েছি। আমরা গরুর গোশত খাই না, খাবো না। জবাইও করব না। কিন্তু তারা গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা দিচ্ছে না, দেবেও না এবং দিতে পারবেও না। মিজোরাম, মেঘালয়, গোয়া ও অন্য রাজ্যগুলোতে মানুষ গরুর গোশত খায়। তারা গোহত্যার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞাই দেয়নি, এ ইস্যু শুধু মুসলমানদের অস্থির করার জন্য উত্থাপন করা হয়। এ ইস্যুটিও কোনো ধর্মীয় নয়; বরং রাজনৈতিক। আর এই যে জ্ঞানবাপি ও মথুরার শাহী মসজিদ ইস্যু, সেগুলোও রাজনৈতিক ইস্যু। তা ছাড়া আজ (১৯ মে) সুপ্রিম কোর্ট জ্ঞানবাপী মসজিদে সার্ভের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন।

প্রশ্ন : তাহলে বিষয়টি কি এমন নয় যে, এসব ইস্যু উত্থাপন করে মুসলমানদের মধ্যে ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে? মুসলমানরা কি ভীতসন্ত্রস্ত?

আরশাদ মাদানি : কিসের ভয়? আমি মনে করি না, মুসলমানরা ভীতসন্ত্রস্ত। কথা হচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের লোকদের মনন ও চিন্তাদর্শনে পার্থক্য আছে। দক্ষিণ ভারতে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়। উত্তর ভারতে মানুষের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যায়। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে- উত্তর ভারতে জাত-পাত, ধর্ম ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে ভোট ভাগ হয়ে যায়। কর্নাটকে এটি হয়নি। মানুষ একতাবদ্ধ থেকেছে। সুতরাং বিজেপিকে হারানোর জন্য রাজনৈতিক দলসহ সবাইকে এক হওয়া আবশ্যক।

প্রশ্ন : মুসলমানদের একটি সামাজিক ও ধর্মীয় সমস্যা বর্তমানে বেশ জটিল আকার ধারণ করেছে। সেটি হচ্ছে- মেয়েদের ধর্মত্যাগ করা। এর সমাধান কী?

আরশাদ মাদানি : দুইকে ২০ বলে দিন। এটি হতে পারে। কেননা তার মধ্যে দুই তো আছেই। সমাধান হচ্ছে, মেয়েদের জন্য মুসলমানদের নিজস্ব পৃথক স্কুল-কলেজ বানাতে হবে। আইনত এর অনুমতি আছে। ধনাঢ্য ব্যক্তিরা কেন মেয়েদের জন্য স্কুল-কলেজ খুলছে না? এতে শতভাগ না হোক, তবে অবশ্যই অনেকাংশে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। আমরা দেওবন্দে বালিকাদের একটি স্কুল শুরু করেছি। বাপুড়ে এলাকায় একটি স্কুল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে জমিয়তে ওলামা স্কুল খোলার প্রস্তুতি নিয়েছে। এসব স্কুল-কলেজে হিন্দু মেয়েরাও পড়লে ভালো হবে।

প্রশ্ন : ধর্ম ত্যাগের কী কারণ থাকতে পারে?

আরশাদ মাদানি : ধর্ম ত্যাগের মৌলিক কারণ শুধু মিশ্রিত সহশিক্ষাই নয়; বরং মোবাইল, বাড়ির ভেতর টিভি ও অবাধ স্বাধীনতা দেয়া। ঘরের পরিবেশ ভালো করতে হবে। পরিবেশটা যেন ধর্মীয় হয়। স্বাধীনতারও একটি সীমা থাকা উচিত।

প্রশ্ন : আরএসএস ও সাধুসন্তুদের সাথে আপনি আলাপ-আলোচনা করেন, কিন্তু মোদির সাথে করেন না কেন?

আরশাদ মাদানি : এ সরকারের একটি দর্শন আছে। আর এ দর্শনের ওপরই সরকার চলছে। এ সরকার এটিকে পরিবর্তন করতে চাইবে না। আমি গিয়ে বললাম, মুসলিম পার্সোনাল ল’য়ের দর্শন এটি। এটি নিয়ে ভাবতে হবে। এ সরকার কখনো এটি নিয়ে ভাববে না। তাহলে আমি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলব? যখন এ সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন মন বলছিল, আলাপ-আলোচনা করব। কিন্তু যখন জানা গেল, তারা নিজেদের দর্শন থেকে সরতে প্রস্তুত নয়। ফলে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে সাক্ষাৎ করে আলাপ-আলোচনার চিন্তাভাবনা পরিত্যাগ করি।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন- ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট শাকিল রশিদ।

[মুম্বাই থেকে প্রকাশিত দৈনিক মুম্বাই উর্দু নিউজ ২১ মে, ২০২৩ এর উর্দূ বর্ণনা থেকে ভাষান্তর করেছেন ইমতিয়াজ বিন মাহতাব]

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।