Home সোশ্যাল মিডিয়া ভাগনারের বিদ্রোহে কি সিআইএর হাত ছিল?

ভাগনারের বিদ্রোহে কি সিআইএর হাত ছিল?

ভাগনারের বিদ্রোহে কি সিআইএর হাত ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, অবশ্যই ছিল। আইআর প্র্যাক্টিশনার্সরা তাই মনে করে। ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনির মূলত দুইটা অভিযোগ ছিল। প্রথমমত রাশিয়ান সেনাবাহিনী তাদের কোনো কৃতিত্ব না দিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব দাবী করছিল। আর পর্যাপ্ত গোলাবারুদ না দিয়ে ইউক্রেনের সৈন্যদের মুখে ঠেলে দিচ্ছিল। এই অভিযোগটা ভাগনারের পক্ষ থেকে গত গত কয়েক মাস ধরেই আছে। রাশিয়া এর সমাধান না করে উল্টা ভাগনারের ক্যাম্পে বিমান হামলা করে সৈন্যদের হত্যা করেছে।

ভাগনারের সঙ্গে রাশিয়া যুদ্ধের চুক্তি করেছে। ভাগনার রাশিয়ান সামরিক কমান্ডের অধীনে যুদ্ধ করছে অর্থের বিনিময়ে। এখন তাদের যদি রাশিয়ার সঙ্গে বনিবনা না হয় তাহলে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে চলে যাবে। তাদের মস্কোতে অভিযানে যাওয়ার কথা না।
তাদের মস্কোর পথে নামিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভাগনারের মধ্যে অসন্তোষ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সিআইএসহ অন্যান্য রাশিয়া বিরোধী দেশের গোয়েন্দারা সক্রিয় হতে শুরু করবে। এটাই স্বাভাবিক। তাদের কাজ ছিল ক্ষোভটাকে পুতিনের দিকে ঠেলে দেওয়া। বাস্তবে হয়েছে তাই।

আরও পড়তে পারেন-

সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজির অংশ হিসাবে একটা দেশের কাজই হচ্ছে অন্যদেশের ঝামেলায় উস্কানি দেওয়া এবং সুযোগ নেওয়া। মার্কিনীরা তাদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সারা দুনিয়াতে তাই করে। রাশিয়ায় ভাগনারের ক্ষেত্রে তাই করছে।

কিন্তু একদল বলছে, এখানে সিআইএর কোনো হাত নেই। বেকুবদের পক্ষে এটা বুঝা সম্ভব না। যে যত বড় বেকুব তে তত শক্তভাবেই এটা অস্বীকার করবে। সমস্যা হচ্ছে ফেসবুকে যে পরিমান জিও পলিটিক্স ও স্ট্র্যাটেজি বিশেষজ্ঞ আছে IR স্কলার ওয়ার্ল্ডে তার সিকিভাগও নাই। এই বেকুবরা বুঝতে পারছে না যে, ভাগনারের ঘটনায় যদি সিআইএর কোনো ইন্ধন না থাকে তবে বুঝতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের দিন আসলেই শেষ হয়ে আসছে। রাশিয়া পর্যন্ত সিআইএর ঢুকতে না পারা বড় ধরনের ব্যর্থতা হিসাবেই চিহ্নিত হবে। রাশিয়ার শক্তি ক্ষয় করতে হলে সিআইএ কে এর ভিতরে ঢুকতে হবে এবং ঝোঁপ বুঝে কোপ মারতে হবে।

আমি মনে করি না সিআইএ এতটা দুর্বল হয়ে গেছে। তাই ভাগনারের ঘটনায় তাদের হাত অবশ্যই ছিল। এবং থাকাটাই স্বাভাবিক।

অনেকেই প্রশ্ন করবে এর প্রমাণ কি? এসপিওনাজের ততপরতা তো কেউ বলে কয়ে করে না। কেউ লিখবেও না। তবে মার্কিনীরা ভালো লোক। এরা কয়েকদশক পর ক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট প্রকাশ করে। এতে সিআইএর অনেক কথা বেরিয়ে আসে। যেমন, ইরানের ডা. মোসাদ্দেগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া ও মৃত্যুর পিছনে সিআইএ যে জড়িত ছিল এটা এতদিনে প্রকাশ করেছে।

অথচ ১৯৫২ সালে সবাই বলাবলি করছিল যে ইরানে অভ্যুত্থানের পিছনে সিআইএর হাত আছে। তখনো কিছু বেকুব হা হা করে বলে ছিল সব কিছুতেই সিআইএর হাত দেখতে পাওয়া গাধামি। অবশ্য ৭১ বছর পর এসে তারা নিজেরাই এখন গর্ধবে পরিনত হয়েছে সিআইএর গোপন দলির প্রকাশের পর।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

উম্মাহ২৪ডটকম:এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।