Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন ‘কুরবানী’ মুমিন জীবনে যে শিক্ষা দিয়ে থাকে

‘কুরবানী’ মুমিন জীবনে যে শিক্ষা দিয়ে থাকে

- ফাইল ছবি।

।। শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ ।।

আর মাত্র কয়দিন পরেই মাহে যিলহজ্বের ১০ তারিখ উদযাপিত হবে, পবিত্র ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ। এ ঈদকে বকরা ঈদও বলা হয়। এ দিনে বিত্তবান মুসলমানগণ গরু, মহিষ, উট, দুম্বা ও বকরি যবেহের মাধ্যমে মহিমান্বিত পবিত্র কুরবানী সম্পন্ন করে থাকেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কোলাহল মুখর পরিবেশে তারা আনন্দ-উল্লাসের মাঝে যবেহ্কৃত পশুর গোশ্ত আহার করে ঈদ উদ্যাপন সম্পন্ন করে থাকেন।

প্রশ্ন থেকে যায়, কুরবানী কি? কি তার দাবী ও শিক্ষা? এ মহাখুশীর দিনে কিসের কুরবানী? কুরবানী মানে নিছক পশু যবেহ্, না ব্যাপকতর কোন কুরবানীর মহাদায়িত্ব মুসলমানদের স্কন্ধে রয়েছে? এ সবক’টি প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ জবাব পেতে হলে আমাদের দৃষ্টি সে দিকে নিতে হবে, যেখান থেকে এ কুরবানীর উৎপত্তি।

বস্তুতঃ মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ.)এর কৃত পবিত্র কুরবানীর মাঝেই আমাদের উপরোক্ত প্রশ্নাবলীর যথার্থ জবাব সন্নিহিত রয়েছে।

মুসলমান মাত্রই কমবেশী অবগত আছেন যে, আল্লাহ তাআলা সায়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম (আ.)এর কাছ থেকে তাঁর সর্বাধিক প্রিয় বস্তুটির কুরবানী চেয়েছিলেন। মানবিক সরলতায় তিনি পশু যবেহকেই কুরবানী মনে করেছিলেন। তাই তিনি প্রথমতঃ একশ’ উট যবেহ করেন। কিন্তু ওহী এলো, পশু যবেহ হয়েছে বটে, কুরবানী হয়নি। দ্বিতীয়বার আবার একশ’ উট যবেহ করলেন। কিন্তু এবারও একই অবস্থা, কুরবানী হয়নি। এবার তিনি গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন, ভাবতে লাগলেন, আমার মাওলা আমার কাছে কী চান? কী তাঁর মনশা? এসব ভাবতে ভাবেত ঘুমিয়ে পড়লেন। এক সময় তিনি স্বপ্নযোগে প্রকৃত কুরবানীর রূপরেখা পেয়ে গেলেন। দেখতে পেলেন, তিনি তার ঔরসজাত সন্তান হযরত ইসমাঈল (আ.)কে কুরবানী করছেন। এতে তিনি বুঝে গেলেন যে, “আল্লাহ্ তাআলা আমার কাছ থেকে আমার সর্বাধিক প্রিয় পুত্র বালক ইসমাঈল (আ.)এর কুরবানী চান”।

হযরত ইবরাহীম (আ.) ছিলেন মাওলার প্রেমে বিভোর। আপন মাওলার সন্তুষ্টি অর্জনই হল তাঁর জীবনের পরম চাওয়া ও পাওয়া। এজন্য তিনি যে কোন কুরবানী ও ত্যাগ করতে কুণ্ঠিত নন। মা’বূদের প্রতি এই নিরঙ্কুশ মুহাব্বত ও নিবেদিত প্রাণ হওয়ার কারণেই তিনি ‘খলীলুল্লাহ্’ উপাধী পেয়েছেন।

ইব্রাহীম (আ.) কালক্ষেপণ না করে কুরবানী করার জন্যে প্রস্তুত হয়ে গেলেন। বাকী রইল পুত্রের কুরবানী হওয়ার প্রস্তুতি। পিতা ইব্রাহীম (আ.) পুত্র ইসমাঈল (আ.)এর কাছে গেলেন। জানালেন তাকে আল্লাহর নির্দেশ ও নিজের সিদ্ধান্তের কথা। পুত্র নিজ কানেই আপন পিতার কথাগুলো শুনলেন। কিন্তু এতে তিনি মোটেও বিচলিত হলেন না। চেহারায় ভাবান্তরও পরিলক্ষিত হল না তাঁর। আল্লাহর নির্দেশ ও পিতার সিদ্ধান্তের সামনে নিজের মস্তক ঝুঁকিয়ে দিলেন নিঃসঙ্কোচে। ভক্তি ভরা কণ্ঠে বললেন, হে আমার আব্বাজান! আপনার প্রতি আল্লাহর আদেশ যথাযথভাবে পালন করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।

আরও পড়তে পারেন-

অবশেষে পিতা-পুত্র উভয়ে কুরবানীর জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলেন। পিতা নিজ হাতে পুত্রকে যবেহ করে দুনিয়ার মুহাব্বতের কুরবানী করবেন, আর পুত্র আল্লাহর নির্দেশকে সমুন্নত রাখতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিবেন। বিনিময়ে উভয়ে লাভ করবেন আল্লাহর মহান সন্তুষ্টি। বস্তুতঃ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মহান হলে, তার জন্যে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকা নবীগণের অমর শিক্ষা এবং এটাই মানুষকে সফলতার স্বর্ণ চূড়ায় অধিষ্ঠিত করে।

হযরত ইবরাহীম (আ.)এর অভিষ্ঠ লক্ষ্য ছিল মহান। এর চেয়ে মহান আর কোন লক্ষ্যই হতে পারে না। সেটি হল, ‘রেযায়ে মাওলা’ বা স্রষ্টার সন্তুষ্টি। মানব জীবনের সব চেয়ে বড় চাওয়া ও পরম পাওয়াও এটি। সৃষ্টির জীবনে এর চেয়ে বড় চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই। এজন্য ইবরাহীম (আ.) একমাত্র বালক পুত্রকে কুরবানী করতে কুণ্ঠিত হননি। বয়োবৃদ্ধ কালে আল্লাহ তাআলা এই নিয়ামত দিয়েছিলেন তাঁকে। ঔরসজাত সন্তানের প্রতি কার না মুহাব্বত-ভালবাসা থাকে? বিশেষ করে শেষ বয়সের সন্তানের প্রতি! এ ক্ষণস্থায়ী প্রেমকে কুরবানী করে আল্লাহর চিরস্থায়ী সন্তুষ্টি ও মুহাব্বত অর্জন করতেই তিনি ইসমাঈল (আ.)কে কুরবানী করতে উদ্যত হলেন।

পিতা-পুত্র কুরবানীর স্থলে হাজির। পিতার হাতে তীক্ষ্মধার ছুরি আর পুত্র যমীনে শায়িত। এক সময় পিতা পুত্রের গ-দেশে ছুরি চালাতে লাগলেন। কী রোমহর্ষক দৃশ্য! আকাশ-বাতাস, পাহাড়-পর্বত ও প্রকৃতির সমস্ত পরিবেশে নেমে এলো নিস্তব্ধতার করুণ ছায়া। ইব্রাহীম (আ.) আপন মনেই ছুরি চালাতে লাগলেন। কিন্তু একি? ছুরি যে ইসমাঈল (আ.)এর গলা কাটছে না! তারপরও তিনি ছুরি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ দৃশ্য যেমন পুরো প্রকৃতি অবলোকন করেছে, তেমনি দেখেছেন সর্বদ্রষ্টা মহান আল্লাহ তাআলা। যাঁর জন্যে ইবরাহীম (আ.)এর এ কুরবানী।

তিনি ওহী পাঠালেন, ইবরাহীম (আ.)! তোমার কুরবানী কবুল হয়েছে যদিও তোমার বালক পুত্র যবেহ হয়নি! সেস্থলে যবেহ হয়েছে জিব্রাঈল (আ.)এর আনিত বেহেশ্তী দুম্বা। পিতা-পুত্রের এ অপূর্ব ত্যাগ আল্লাহর এত বেশী পছন্দ হয়েছে যে, তিনি অমর গ্রন্থ কুরআনুল কারীমে এ ঘটনা বিবৃত করেছেন এবং সমগ্র মানব জাতিকে পরম প্রভুর তরে ত্যাগের দৃষ্টান্ত শিক্ষা দিয়েছেন। সাথে সাথে এ ঘটনার স্মারক হিসেবে উম্মতে মুহাম্মদীর উপর যিলহজ্বের দশ তারিখ পশু কুরবানীর বিধান জারি করেছেন। আর সেটিই আমাদের ঈদুল আযহা, সেটিই আমাদের কুরবানীর ঈদ বা বকরা ঈদ। সুন্নাতে ইব্রাহীমীর অমর নমুনা, যা আজো আমাদের মাঝে বিদ্যমান।

পিতার হাতে পুত্র যবেহের কুরবানী আল্লাহর ইচ্ছা নয়, তেমনি নিছক পশু যবেহও তাঁর কাম্য নয়। অন্যথায় সেদিন ইবরাহীম (আ.)এর পুত্র ইসমাঈল (আ.) যবেহ হয়ে যেতেন এবং দুশ’ উট যবেহের মাধ্যমে কুরবানী সম্পন্ন হতে পারতো। বরং কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি বান্দার একনিষ্ঠ আনুগত্য, আল্লাহ ভীতি ও মাওলাপ্রীতি কতটুকু, তা তিনি যাচাই করেন। মানুষ আল্লাহর নির্দেশের সামনে কতটুকু মস্তকাবনত করে, তা-ই তিনি দেখে থাকেন। কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে- “এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাক্বওয়া। (সূরা হজ্ব- ৩৭ আয়াত)।

আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, ঈদুল আযহার পশু যবেহ কেবল কুরবানী নয়, বরং এটি একটি মহিমান্বিত কুরবানীর স্মারক মাত্র। এদিনের পশু কুরবানী বৃহৎ কুরবানীর শিক্ষা দেয়। শিক্ষা দেয় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের লক্ষ্যে জাগতিক সকল মায়া-মুহাব্বত ত্যাগ করে আপনজন, আপনধন ও আপনপ্রাণ উৎসর্গের।

আমাদের আরো স্মরণ রাখতে হবে, যবেহ মানেই কুরবানী নয়, আর কুরবানী মানেই যবেহ নয়। বরং কুরবানী হল, আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। এটি এতই ব্যাপক যে, যার পরিধি পূর্ণ মানব হায়াত বিস্তৃত। প্রতিটি মুহূর্তে মুসলমানদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে কুরবানীর দাবী রয়েছে। নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত, দাওয়াত ও তাবলীগ, তা’লীম, তাসনীফ, ওয়ায-নসীহত, মাতা-পিতার সেবা, সন্তান-সন্ততির প্রতিপালন, সবই কুরবানীর আওতাধীন। এসব কিছুর জন্য অবশ্যই নিজের জান-মাল-সময় ত্যাগ করতে হয় এবং এগুলো একনিষ্ঠ আল্লাহর জন্য হয়ে থাকলে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব হয়।

বস্তুতঃ ত্যাগ ছাড়া ভোগ হয় না, বর্জন ছাড়া অর্জন হয় না। চাই তা পার্থিব বিষয়ে হোক কিংবা ধর্মীয় ক্ষেত্রে হোক। এজন্য বলা হয়, কুরবানীর কোন সুনির্দিষ্ট কাল নেই এবং তার কোন পরিসংখ্যান নেই। মুসলিম যিন্দেগীর প্রতিটি মুহূর্তই ত্যাগ ও কুরবানীর মহিমায় ভাস্বর। পূর্ণ যিন্দেগীতে অসংখ্য কুরবানীর দাবী ও দায়িত্ব তাদের উপর রয়েছে। সময়ের প্রেক্ষিতে এসব কুরবানীতে ভিন্নতা আসতে পারে। যেমন, রমযানে দিনের বেলা নিজের নফস ও উদরের চাহিদার কুরবানী করতে হবে, হজ্বের সময় নিজের অর্থ, আত্মীয়-স্বজন ও মাতৃভূমির মুহাব্বতকে কুরবানী করতে হবে, যিলহজ্বের দশ তারিখে বিত্তবান মুসলমানদেরকে পশু কুরবানী করে তার গোশত গরীব, মিসকীন ও আত্মীয়দের মাঝে বিলাতে হবে প্রভৃতি।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহান আদর্শ ও সাহাবায়ে কিরামের পবিত্র যিন্দেগী এ বাস্তবতাই আমাদের সামনে পেশ করে। হিজরতের নির্দেশ এসেছে, জন্মভূমি ও বাস্তুভিটার মায়া ত্যাগ করে তাঁরা হিজরত করেছেন। দ্বীনের জন্যে যুদ্ধে যাওয়ার ও অর্থ দান করার ডাক এসেছে, সাহাবায়ে কিরাম সোৎসাহে সাড়া দিয়ে শহীদ হয়েছেন কিংবা গাজী হয়েছেন। বস্তুতঃ শরীয়তের যখন যে নির্দেশ আসে এবং যখন যে কুরবানীর দাবী উত্থাপিত হয়, তখন তার জন্যে স্বীয় সত্তাকে পেশ করা মহান ব্যক্তি ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের মহান আদর্শ।

মুসলিম উম্মাহ্র বিরাজমান অবস্থার পর্যালোচনা করলে দিবালোকের ন্যায় প্রতিভাত হবে যে, মুসলমানদের বর্তমান দুরাবস্থার অন্যতম কারণ, কুরবানীতে কার্পণ্যতা। ত্যাগ ও কুরবানীর মহান সুন্নাত না থাকার কারণে আজ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত মুসলিম উম্মাহ। দাওয়াতের ময়দানে পর্যাপ্ত ত্যাগ-কুরবানী না থাকার কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুসলমানগণ কোণঠাসা। ইউরোপ, আমেরিকাসহ অন্যান্য অমুসলিম রাষ্ট্রের জনগণের ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি বিরূপ মনোভাবের একমাত্র কারণ দাওয়াতের ক্ষেত্রে আমাদের কুরবানীর অভাব। মধ্যম ও বিত্তহীন শ্রেণীর মাঝে ইসলামের চর্চা মোটামুটি থাকলেও সমাজের এলিট শ্রেণীর মাঝে দ্বীনের চর্চা খুবই হতাশাজনক পর্যায়ে। এর কারণ দ্বীনের দাঈ ও শিক্ষিত সমাজের দাওয়াতের ক্ষেত্রে পশ্চাদপদতা।

ইলমের ময়দানে পর্যাপ্ত কুরবানী না হওয়ার কারণে সমগ্র বিশ্ব ইল্মে ওহীর নূর হতে বঞ্চিত। অমুসলিম শক্তি তাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে বিশ্বায়নের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে মনস্তাত্ত্বিক গোলামে পরিণত করে চলেছে। এর জন্যে তারা হাজার প্রকারের পথ ও পদ্ধতি অবলম্বন করছে। বিলিয়ন ট্রিলিয়ন অর্থ এ খাতে বিনিয়োগ করছে। কিন্তু আমাদের একটি সার্বজনিন ইসলামী শিক্ষানীতি থাকা সত্ত্বেও এর বিশ্বায়ন করতে সক্ষম হইনি। এর কারণ, এক্ষেত্রে চিন্তাশীল ব্যক্তি ও তা বাস্তবায়নে মুসলিম নেতৃবৃন্দের সীমাহীন অনীহা ও অসহযোগিতা। ফলে ইসলামী শিক্ষার অভাবে বহু বিজাতির শিক্ষায় শিক্ষিতজন ইসলাম থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে ইসলামের মূলে কুঠারাঘাত করে চলছেন।

জুলুম, অত্যাচার ও বাতিলের প্রতিরোধে জিহাদের ময়দানে পর্যাপ্ত কুরবানী না হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জনপদে মুসলমানদের কি যে দুর্গতি ও যিল্লতী। বসনিয়ায় দশ লাখ মুসলমানকে শহীদ করা হয়েছে, কসোভোয় দুই লাখ মুসলমান শহীদ হয়েছেন। ৭০ হাজার মুসলমান শহীদ হয়েও কাশ্মীর এখনো স্বাধীন হতে পারেনি। চেচনিয়ায় রুশ ভল্লুকেরা ক্বিয়ামতের বিভীষিকা কায়েম করে চলছে। আরাকানের সামরিক জান্তা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করছে। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ায় ইঙ্গ-মার্কিন সামরিক অভিযানে স্মরণকালের বৃহত্তম হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। সমগ্র মুসলিম বিশ্বে কত শিশু নিহত হয়েছে, এতীম হয়েছে কত সন্তান, কত নারী পাশবিকতার শিকার হয়েছে, কত সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে তার হিসাব কেউ দিতে পারবে না।

প্রশ্ন জাগে এসব কিছুর কারণ কি? এ প্রশ্নের জবাব রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসে এভাবে এসেছে, “যখন তোমরা ন্যায়, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিহাদ পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তোমাদের উপর যিল্লতীকে চাপিয়ে দিবেন।” বস্তুতঃ তাই হচ্ছে! জিহাদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত কুরবানী না থাকার কারণে আমাদের এ দুর্দশা।

[পরবর্তী কিস্তিতে সমাপ্য]

লেখক: শায়খুল হাদীস ও সদরে মুদাররিস- আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।