Home শীর্ষ সংবাদ সন্ত্রাস নয়, তৃণমূল পর্যায়েও যেন শান্তি থাকে: প্রধানমন্ত্রী

সন্ত্রাস নয়, তৃণমূল পর্যায়েও যেন শান্তি থাকে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও শান্তি প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়ে বলেছেন, তৃণমূল পর্যন্ত শান্তি বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেছেন, কোনো ধরনের সন্ত্রাস যেন না হয়। তৃণমূল পর্যায়েও যেন শান্তি থাকে, সেটাই চাই। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আপনাদের দোয়া চাই। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলার পাশাপাশি সব পৌরসভায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ নির্মাণে ২০১৭ সালে নেওয়া প্রকল্পের অধীনে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বোধন হলো ৩’শটি।
সম্মেলনে শেখ হাসিনা ইসলাম ধর্মের শান্তির বাণী প্রতিষ্ঠা, তাঁর যুদ্ধবিরোধী অবস্থান, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বাসনার কথা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা বা নির্যাতন না করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদেরকে তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখার জন্য কাজ করতে হবে যাতে আমরা দেশের আরও উন্নয়ন করতে পারি।

নিজেদের ধর্ম পালনের পাশাপাশি দেশে বসবাসকারি অন্য ধর্মাবলম্বী যারা রয়েছেন তারা যেন সঠিকভাবে নিজ নিজ ধর্ম কর্ম করতে পারেন তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি কোরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে এই বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। অন্যের ওপর কোন অন্যায়-অবিচার বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন সৃষ্টি না হতে পারে। কারণ, ইসলাম শান্তি সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। তিনি বলেন, আমাদের সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং ওলামায়ে কেরামদের অনুরোধ করবো-ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম। যা আমাদের নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সা:) শিখিয়েছেন। তাঁর যে বিদায় হজের বাণী সেই বাণীই আমরা অনুসরণ করি।

আরও পড়তে পারেন-

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই সে দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের দেশের কোন ছেলে- মেয়ে যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে সে জন্য আপনারা যথাযথ শিক্ষা দেবেন এবং সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য আমাদের প্রকৃত যে ধর্ম, শান্তির ধর্ম, বিশে^র সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সে দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্যই আপনাদের সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই আমাদের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। এ দেশকে আমরা আরো সমৃদ্ধ ও উন্নত করতে চাই। কেভিড-১৯ দেখা দেওয়ার পর তাঁর সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারাদেশে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করে দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের দরিদ্র মানুষসহ সমস্ত শ্রেনী পেশার জনগণকে আর্থিক সহায়তা ও প্রণোদনা দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সৌদি বাদশাহর সহযোগিতায় হজ ব্যবস্থার উন্নয়নে হজ ক্যাম্প স্থাপন ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, বর্তমান সরকার দেশে একটি আরবি ইসলামিক বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে সৌদি বাদশাহর অনুদানে আরবি ভাষা শিক্ষারও একটি ইনষ্টিটিউট গড়ে উঠবে। কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীসকে মাষ্টার্স ডিগ্রির সমমর্যাদা প্রদান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সংস্কার ও আধুনিকায়ন, ৩৫ হাজার মসজিদ ভিত্তিক পাঠাগার নির্মাণ, অর্থ ও বাংলা তরজমাসহ পবিত্র কোরআন শরিফের ডিজিটাল ভার্র্সণ তৈরি, জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ প্রণয়ন, সীড মানি দিয়ে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছে। বিত্তবানরাও এখানে সহায়তা দিতে পারেন।

দেশের ভূমিহীন গৃহহীন প্রত্যেক বিনা পয়সায় ঘর দেওয়া এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা বর্তমান সরকার করে দিচ্ছে উল্লেখ করে দেশকে সফলভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের আবারো নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল কতৃর্ক আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর যে আক্রমণ এবং নির্বিচারে ছোট্ট শিশু ও নারী হত্যা করা হচ্ছে আমরা এটা কখনো চাই না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাধ্যমত ফিলিস্তিনের নারী-শিশু ও সাধারণ জনগণের জন্য ওষুধ ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও মানবতার ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা চাই সকলে শান্তিতে বসবাস করুক। তাঁর সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফরেও তিনি বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের কাছে যুদ্ধ থামানোর আহবান জানান বলে উল্লেখ করেন তিনি।

দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি কাজে লাগানোর মাধ্যমে দেশের সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় আহ্বান জানিয়ে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যেটুকু জমি আছে তাতে ফসল ফলাতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলবো না। জাতির পিতা যে বলেছিলেন ‘তাঁর মাটি আছে, মানুষ আছে, তা দিয়েই তিনি দেশকে গড়ে তুলবেন, সেভাবেই আমরা দেশকে গড়ে তুলবো। কোন ভাবেই আমাদের দেশের মানুষ যেন খাদ্যের জন্য কষ্ট না পায়।

এ সময় জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মসজিদ-ই-নববীর ইমাম শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বুয়াইজান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তরিকত ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভারী, মাওলানা ড. মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী ও মাওলানা এহসাসুল হক আল মোজাদ্দেদী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলা মডেল মসজিদ এবং কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম-মুসল্লি ও বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে মডেল মসজিদটি উদ্বোধনকালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন ভূঁইয়া, পৌরসভা মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, ইমলামিক ফাউন্ডেশনের জেলার ফিল্ড অফিসার মো. সালেহ আবদুল্লাহ কাফি, মাষ্টার ট্রেইনার মো. আব্দুর রশিদ, সুপ্রীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ঠাকুরগাঁও জেলার মুসল্লিরা পেল এই মডেল মসজিদ। যেখানে অজুর জন্য আলাদা জায়গা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় নামাজ আদায়ের সুবিধা রয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা মডেল মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার টাকা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, এ উপলক্ষে সদর মডেল মসজিদের হলরুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক মো. জাবের হোসেনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, আলেম-ওলামাগনসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ওসমানীনগর উপজেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক হোসাইন মো. আল-জুনায়েদ, ভাইস চেয়ারম্যান আনা মিয়া, তাজপুর ইউয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক, উছমানপুর ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান ওলি উল্লাহ বদরুল, ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবেল আহমদ সেকেল, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ ফয়ছল আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার ইসমাইল আলী, মডেল কেয়ার টেকার কাজী খলিলুর রহমান প্রমুখ।

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এসময় মডেল মসজিদ হলরুমে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উন্নয়ন মানবসম্পদ খানজাদা শাহরিয়া বিন মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড.এম মতিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল সদর) রবিউল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার, প্রেসক্লাব সভাপতি এইচ এম ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মন্রিুজ্জামান খান, ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার ইমন, মো. কবির হোসেন বয়াতী বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, ইমাম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ।

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলাসংবাদদাতা জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নবনির্মিত মডেল মসজিদে সকালে মোনাজাত, দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়। কাপ্তাই উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় মডেল মসজিদ উদ্বোধনীতে সভাপতিত্ব করে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মহিউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুপারভাইজার মো. নুরুন নবী। বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল হক ও গণপূর্ত বিভাগ রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল। এসময় কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) উপ অধিনায়ক মেজর মো. লতিফুল বারী, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের প্রধানগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনপ্রতিনিধি, আলেম, ওলেমা, মুসুল্লি, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে

এদিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানবাধিকারের কথা বলা হয়, কিন্তু ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, এটা বন্ধ করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ড, যুদ্ধ আমরা চাই না। আমাদের কথা হচ্ছে ফিলিস্তিনের ন্যায্য দাবি যেন মেনে নেওয়া হয়। তাদের রাষ্ট্র যেন তারা ফেরত পায়, সেটা আমরা চাই।

সংসদে উত্থাপিত ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাবের ওপর গতকাল আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলায় জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব তোলেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রস্তাবটি সংসদে তোলা হলে তা সর্বসন্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।

মাহমুদ আলীর প্রস্তাবটি ছিল সংসদের অভিমত এই যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত নৃশংস গণহত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মানবাধিকারের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এই সংসদ ফিলিস্তিনে মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বের সব বিবেকবান জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কার্যকরভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে। এসময়ে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফিলিস্তিনে সেবাখাত খুলে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।