গাজার আল-শিফা হাসপাতালের প্রাঙ্গণে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ইসরায়েলি বোমা হামলার আঘাতে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে বলে আল জাজিরা আরবিকে জানিয়েছেন হাসপাতালের ডিরেক্টর জেনারেল আবু সালমিয়া।
এদিকে, ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফাও আল-শিফা হাসপাতালে ছয়জন নিহতের তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে আবু সালমিয়া জানিয়েছিলেন, ইসরায়লের হামলার পর অন্তত চারজন আহত হয়, তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা ছিল গুরুতর।
আবু সালমিয়া আরও জানান, হাসপাতালের প্রাঙ্গণে কিছু সাংবাদিকদের পাশে থাকা একদল বেসামরিক নাগরিক এ হামলায় হতাহত হন।
“এর আগে তারা হাসপাতালের খুব কাছে অবস্থিত একটি ভবনে বোমা হামলা করে। এখন হাসপাতালের একদম পাশেই ভারী বোমা হামলা চালানো হচ্ছে,” বলেন তিনি।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
আবু সালমিয়া বলেন, “হাসপাতালের এ দিকটায় একটা সেকেন্ডের জন্য বোমা হামলা থামছে না। এমনকি হাসপাতালের অনেক জানালাও ভেঙ্গে গেছে। সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকছেন চিকিৎসক, রোগী ও বাস্তুচ্যুত লোকজন।”
আজ ভোরে আল-শিফা হাসপাতালে হামলার পর গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা আল জাজিরা আরবিকে বলেছিলেন, এ হামলায় “নিহত বা আহত কেউ আছে কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য মেডিকেল টিম এলাকা পরিদর্শন করছে।”
গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফায় হাজারও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
মানবাধিকার আইনে হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুবিধা সুরক্ষিত রাখার কথা বলা থাকলেও, বেশ কিছুদিন ধরেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বারবার এ হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়ে আসছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ