বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, তৈরি পোশাক খাতে চলমান অস্থিরতা নিয়ে বিদেশি ক্রেতারা উদ্বিগ্ন এবং তারা আপাতত নতুন অর্ডার দিচ্ছে না।
রোরবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ফারুক হাসান বলেন, ‘ক্ষতি যেটা হলো, ক্রেতারা অর্ডার হোল্ড করে রেখেছেন। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তারা নতুন করে অর্ডার দেবে না।’
‘আমরা তাদের [ক্রেতাদের] বোঝানোর চেষ্টা করছি যে শুধু ৫ শতাংশ কারখানা [অস্থিরতার কারণে] প্রভাবিত হয়েছে, আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
ফারুক আরও বলেন, নতুন মজুরি বোর্ড নির্বাচনের আগে কার্যকর করতে হবে, যাতে এর মধ্যে ভোটের ইস্যু চলে না আসে।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে [সরকারকে] এই বিষয়ে অবহিত করব,’ বলেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রোববার পর্যন্ত ১৩০টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।
এ মুহূর্তে নতুন নিয়োগ কারখানাগুলোর ওপর বাড়তি বোঝা তৈরি করবে উল্লেখ করে ফারুক বলেন, ‘কোনো কারখানার যদি কাজ বেশি থাকে, তাহলে যে কারখানায় কাজ কম, সেখান থেকে কাজ করিয়ে নেবে। …এতে ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং যে অতিরিক্ত সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, তা কিছুটা প্রশমিত হবে।’
তবে চলমান অস্থিরতার কারণে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি বিজিএমইএ সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ