বৃদ্ধা রহিমা বেগমের (৭২) ছেলে আব্দুর রউব জেলে বন্দী। তার স্বামী ইয়ার উদ্দীন মারা গেছেন প্রায় ১৩ বছর আগে। প্রতিবেশীদের ভাষ্য, মায়ের নয়নের মণি ছিল ছেলে রউব। মাকে রেখে কোথাও গিয়ে রাত কাটাতেন না রউব। অথচ পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলায় সেই ছেলে মায়ের চোখের আড়াল প্রায় এক মাস। তাই সারাক্ষণ বৃদ্ধা মায়ের চোখের পানি ঝরত। হাউমাউ করে কান্না করতেন দুই অবুঝ নাতিকে জড়িয়ে ধরে। ছেলেকে শেষবারের মতো একবার দেখার আকুতি ছিল তার। তবে তা অপূর্ণই থেকে গেল। মাকে শেষ বিদায় জানাতে প্যারোলে তিন ঘণ্টার (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা) জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন রউব। কিন্তু এর আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন বৃদ্ধা মা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে আব্দুর রউফের মা নিজ বাড়িইে মারা যান। গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার জানাজা শেষে দাফন করা হয় গ্রাম্য কবরস্থানে।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
রউবের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চারুলিয়ায়। রউব বেলা ১১টার দিকে চারুলিয়ায় নিজ বাড়িতে পৌঁছালে তখন পরিবারের লোকজন তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের কান্না আর আকুতিতে কেদেছেন অন্যরাও।
মাকে শেষবারের মত দেখতে তিন ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পান আব্দুর রউফ। মুক্তিতে মায়ের জানাজা নামাজে শরিক শেষে দাফন কার্য সম্পন্ন করে পরিবারের লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
এসময় জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিমসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com
দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।