Home জাতীয় বিএনপিকে ছাড় নয়, মাঠে পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগের

বিএনপিকে ছাড় নয়, মাঠে পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগের

বিএনপিকে রাজপথ ফাঁকা ছেড়ে দেবে না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিগত দিনের মতোই বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর কর্মসূচির দিনে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও। আজ ও আগামীকাল বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের জবাবে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার মতে, বিএনপি সুযোগ পেলেই রাজপথে সহিংসতার চেষ্টা করবে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলবে। এই শঙ্কা থেকেই রাজপথে থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা জানান, বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর প্রতি আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হয়নি। দলের কেন্দ্রীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, বিএনপি বিদেশি একটি গোষ্ঠীর মদদে সরকার উত্খাতের নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ফলে তাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।

তাদের কর্মসূচির ধরন বুঝে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে নিয়মিত মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগও। আজ শুক্রবার সারা দেশের জেলা পর্যায়ে ও আগামীকাল শনিবার মহানগরগুলোতে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এই কর্মসূচির বিপরীতে শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। রাজধানী ঢাকাসহ জেলা মহানগরগুলোতে শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।

আগামীকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিএনপির পক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তারা এখন বিদেশিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দেশের অভ্যন্তরে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করছে।

আমরা সেদিকে নজর রাখছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে থাকবেন।’

আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার মতে, বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা তাঁদের দলের নেতাদের নেতৃত্বকে ব্যর্থ মনে করছেন। সার্বিক পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এই নেতাকর্মীদের উদ্দীপ্ত করে মাঠে নামানো অনেক কঠিন হবে। ফলে বিএনপি, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা এখন বিদেশিদের যোগসাজশে কিভাবে সরকার পতন ঘটানো যায় সেই চেষ্টায় আছেন। ফলে যেকোনো সময় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সহিংসতার পথ বেছে নিতে পারে।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর আন্দোলন কর্মসূচি সহিংতার দিকে এগোনোর সন্দেহের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি সম্প্রতি দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন যে সহিংসতা বন্ধ আছে, এটাকে স্থায়ী বলা যায় না। এখন হয়তো তারা ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাইরে কথা বলছে। তারা শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার।’

আরও পড়তে পারেন-

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি থাকবে না। কিন্তু কর্মসূচির নামে জনজীবন বাধাগ্রস্ত করলে তা মানবে না ক্ষমতাসীনরা। এ ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যেন আগের মতোই কঠোর পদক্ষেপ নেয় সে তাগিদ দেবে আওয়ামী লীগ। দলের নেতাকর্মীরাও যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে মাঠে থাকবেন।

দলীয় একাধিক সূত্র মতে, বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলো যদি নাশকতার চেষ্টা চালায় তাহলে দলগুলোর কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের যাঁরা এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বিগত জাতীয় নির্বাচনের আগের মতোই কঠোর অবস্থানে থাকবে সরকার ও আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সমাজে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের রাজনীতির বিকাশ, নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের পরিপূর্ণ অধিকার অব্যাহত থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে রাষ্ট্রযন্ত্র তা সমুন্নত রাখতে আইনসংগত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। জনজীবন ও সম্পদ রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার সেই দায়িত্ব পালনে আন্তরিক থাকবে।’

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।